বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী ইলন মাস্ক সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ‘বিগ বিউটিফুল’ কর ও ব্যয় বিলকে ‘জঘন্য’ আখ্যা দিয়ে প্রশাসনিক পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপর থেকেই দুজনের মধ্যে প্রকাশ্য বাকযুদ্ধ শুরু হয়, যা ক্রমেই তীব্রতর হচ্ছে।
গত বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউজে জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ ম্যার্ৎসের সঙ্গে বৈঠকের সময় ট্রাম্প সাংবাদিকদের কাছে ইলন মাস্ক নিয়ে বলেন, “ইলনের সঙ্গে আমার দারুণ সম্পর্ক ছিল। সেটা আর থাকবে কি না জানি না। আমি ভীষণ হতাশ। কারণ, তিনি অন্য যেকোনো ব্যক্তির চেয়ে বিলটির ভেতরের খুঁটিনাটি ভালো জানতেন। অথচ হঠাৎ করেই এ নিয়ে তার সমস্যা শুরু হয়েছে।”
ট্রাম্পের এই মন্তব্যের পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেননি মাস্ক। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে একের পর এক পোস্টে ট্রাম্পকে আক্রমণ করে মাস্ক লেখেন, “আমি না থাকলে ট্রাম্প নির্বাচনে হেরে যেতেন। ডেমোক্র্যাটরা হাউজের নিয়ন্ত্রণ নিত এবং সেনেটে রিপাবলিকানদের ৫১-৪৯ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়তে হতো। অথচ ট্রাম্প এখন অকৃতজ্ঞ আচরণ করছেন।”
বিশ্লেষকদের মতে, এ দ্বন্দ্ব এখন চূড়ান্ত রূপ নিচ্ছে। দুই পক্ষই পরস্পরকে দোষারোপ করে চলেছেন। মাস্ক ট্রাম্পকে ‘অকৃতজ্ঞ’ বলার পাশাপাশি তাঁর প্রতি গভীর অসন্তোষ প্রকাশ করেন, আর ট্রাম্পও মাস্ককে ‘ভীষণ হতাশাজনক’ বলে উল্লেখ করেন।
এই টানাপড়েনের প্রভাব ইতিমধ্যেই পড়তে শুরু করেছে টেসলার ব্যবসার ওপর। বৃহস্পতিবার টেসলার শেয়ারদরে বড় ধরনের পতন ঘটে।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে রিপাবলিকান প্রার্থীদের সমর্থনে ইলন মাস্ক প্রায় ২৭ কোটি ডলার ব্যয় করেছিলেন। সে সময় ট্রাম্পের সঙ্গে তার সুসম্পর্ক গড়ে উঠলেও বর্তমানে তা ভেঙে পড়েছে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।