নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণে একক দল বা ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা বিমাতাসুলভ আচরণ: এনসিপি
একক কোনো রাজনৈতিক দল কিংবা ব্যক্তির সঙ্গে আলোচনা করে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণের প্রয়াস গণতান্ত্রিক চেতনার পরিপন্থী এবং দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক শক্তির প্রতি এক ধরনের বিমাতাসুলভ আচরণের শামিল বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)-এর যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন একটি স্বাধীন সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে কেবল একটি দলের প্রত্যাশা নয়, বরং জাতীয় ঐকমত্য এবং সর্বস্তরের জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে নির্বাচন আয়োজনের অভিভাবকসুলভ ভূমিকা পালন করবে—এই প্রত্যাশা জাতি করে। নির্বাচন কমিশনের উচিত দেশের রাজনৈতিক বাস্তবতা ও জনসাধারণের ইচ্ছাকে গুরুত্ব দিয়ে দায়িত্ব পালন করা।
শনিবার রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির শফিকুল কবির মিলনায়তনে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির ২১তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন এনসিপির নেতা।
তিনি আরও বলেন, রাষ্ট্রের যে গভীর রাজনৈতিক ও প্রশাসনিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে, তা কোনো একক রাজনৈতিক দলের উদ্যোগে সমাধান সম্ভব নয়। বর্তমান সংকট কেবলমাত্র একটি শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের ইস্যু নয়—এটি একটি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা অগণতান্ত্রিক চর্চা, প্রশাসনিক জবাবদিহির অভাব এবং রাজনৈতিক অসমতার বহিঃপ্রকাশ।
এই প্রেক্ষাপটে তিনি জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে একটি অন্তর্বর্তী জাতীয় সরকার গঠনের দাবি জানান, যা একটি গণপরিষদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নেবে। একইসঙ্গে তিনি সরাসরি গণভোটের আহ্বান জানান, যাতে দেশের ভবিষ্যৎ কাঠামো কেবল রাজনৈতিক দলগুলোর আলোচনায় সীমাবদ্ধ না থেকে শ্রমজীবী মানুষ, তরুণ প্রজন্ম, ছাত্রসমাজ, নারী এবং সাধারণ জনগণের মতামতকে প্রতিফলিত করে।
আরিফুল ইসলাম বলেন, "ভবিষ্যৎ রাষ্ট্র ব্যবস্থার ভিত্তি হতে হবে অংশগ্রহণমূলক, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও জবাবদিহিমূলক। জনগণের সক্রিয় মতামত ও অংশগ্রহণ ছাড়া কোনো রাজনৈতিক ব্যবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে না।"