<article class="text-token-text-primary w-full" dir="auto" data-testid="conversation-turn-8" data-scroll-anchor="true">
<div class="text-base my-auto mx-auto py-5 [--thread-content-margin:--spacing(4)] @[37rem]:[--thread-content-margin:--spacing(6)] @[72rem]:[--thread-content-margin:--spacing(16)] px-(--thread-content-margin)">
<div class="[--thread-content-max-width:32rem] @[34rem]:[--thread-content-max-width:40rem] @[64rem]:[--thread-content-max-width:48rem] mx-auto flex max-w-(--thread-content-max-width) flex-1 text-base gap-4 md:gap-5 lg:gap-6 group/turn-messages focus-visible:outline-hidden" tabindex="-1">
<div class="group/conversation-turn relative flex w-full min-w-0 flex-col agent-turn">
<div class="relative flex-col gap-1 md:gap-3">
<div class="flex max-w-full flex-col grow">
<div class="min-h-8 text-message relative flex w-full flex-col items-end gap-2 text-start break-words whitespace-normal [.text-message+&amp;]:mt-5" dir="auto" data-message-author-role="assistant" data-message-id="3465dc1e-d82d-476c-8b90-055c6c4219c4" data-message-model-slug="gpt-4o">
<div class="flex w-full flex-col gap-1 empty:hidden first:pt-[3px]">
<div class="markdown prose dark:prose-invert w-full break-words light">
<p data-start="48" data-end="294">আসন্ন অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে কেন্দ্র করেই কর আদায়ের কৌশল নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলোর তথ্য অনুযায়ী, এবার মধ্যবিত্ত আয়করদাতাদের ওপর দ্বিগুণ হারে কর আরোপ করা হচ্ছে, যা তাদের জন্য বাড়তি চাপ তৈরি করবে।</p>
<p data-start="296" data-end="602">বর্তমানে ব্যক্তিশ্রেণির করমুক্ত আয়সীমা ৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা। প্রস্তাবিত বাজেটে এই সীমা বাড়িয়ে ৩ লাখ ৭৫ হাজার টাকা করা হচ্ছে। একই সঙ্গে প্রথম কর-স্ল্যাব ৫% থেকে বাড়িয়ে ১০% করা হচ্ছে এবং সেই স্ল্যাবের আওতাও বাড়ানো হয়েছে। আগে যেখানে ১ লাখ টাকার ওপর ৫% কর দিতে হতো, এখন সেখানে ৩ লাখ টাকার ওপর ১০% কর দিতে হবে।</p>
<p data-start="604" data-end="884">উদাহরণ হিসেবে ধরা যাক, একজন করদাতার বার্ষিক আয় ৭ লাখ ২০ হাজার টাকা, যার এক-তৃতীয়াংশ করমুক্ত। তার করযোগ্য আয় দাঁড়ায় ৪ লাখ ৮০ হাজার টাকা। বিদ্যমান কাঠামোয় এই করদাতা কর দেন ৮ হাজার টাকা। কিন্তু নতুন কর কাঠামো অনুযায়ী তাকে কর দিতে হবে ১০ হাজার ৫০০ টাকা&mdash;অর্থাৎ আড়াই হাজার টাকা বাড়তি।</p>
<p data-start="886" data-end="1061">এই পরিবর্তনের ফলে সাধারণ মধ্যবিত্ত চাকরিজীবী বা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের মাসিক বাজেট আরও চাপে পড়বে। বিশেষ করে যাদের আয় ৪-৮ লাখ টাকার মধ্যে, তারা সরাসরি এই করবৃদ্ধির আওতায় পড়বেন।</p>
<p data-start="1063" data-end="1255">এছাড়া নিরাপদ সঞ্চয় হিসেবে পরিচিত সরকারি ট্রেজারি বিল বা বন্ড যেগুলোতে অনেক মধ্যবিত্ত বিনিয়োগ করেন, সেখানেও উৎসে কর দ্বিগুণ করা হচ্ছে। এর ফলে সঞ্চয়ের ওপর প্রাপ্ত সুদের প্রকৃত পরিমাণ কমে যাবে।</p>
<p data-start="1257" data-end="1496">তবে কিছু স্বস্তির খবরও রয়েছে বাজেটে। প্রথমবার আয়কর রিটার্ন দাখিল করবেন&mdash;এমন করদাতাদের জন্য সর্বনিম্ন করের সীমা ১ হাজার টাকা থেকে ৫ হাজার টাকার মধ্যে রাখা হচ্ছে। নতুন করদাতাদের করভীতি দূর ও করের আওতা বাড়ানোর লক্ষ্যেই এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।</p>
<p data-start="1498" data-end="1736">এছাড়া নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য যেমন ধান, গম, আলু, পেঁয়াজ, ডাল, তেল, চিনি, লবণ, মসলা ও ফলমূল ইত্যাদি আমদানিতে স্থানীয় ঋণপত্র ব্যবহারের সময় উৎসে কর ১% থেকে কমিয়ে ০.৫০% করা হচ্ছে। এতে কিছুটা হলেও মূল্যস্ফীতির চাপ নিয়ন্ত্রণে আসার আশা করা যাচ্ছে।</p>
<p data-start="1738" data-end="2037">সব মিলিয়ে, প্রস্তাবিত বাজেট একদিকে নতুন করদাতাদের জন্য উৎসাহব্যঞ্জক হলেও, পুরোনো ও মধ্য আয়ের করদাতাদের জন্য এটি বাড়তি বোঝার নাম হয়ে উঠতে পারে। মধ্যবিত্ত শ্রেণির দীর্ঘদিনের চাহিদা ছিল ন্যায্য কর কাঠামো ও কিছুটা করছাড়ের সুবিধা, কিন্তু বাস্তবে দেখা যাচ্ছে তাদের দিকেই এবার করনীতির কড়াকড়ি সবচেয়ে বেশি।</p>
<p data-start="2039" data-end="2176" data-is-last-node="" data-is-only-node="">নীতিনির্ধারকদের প্রতি তাই প্রত্যাশা থাকবে&mdash;এই শ্রেণির অবদান ও সক্ষমতা মূল্যায়ন করে করনীতিকে আরও ভারসাম্যপূর্ণ ও সহানুভূতিশীল করে তোলা হোক।</p>
</div>
</div>
</div>
</div>
<div class="mt-3 w-full empty:hidden">
<div class="text-center">&nbsp;</div>
</div>
</div>
<div class="absolute">
<div class="flex items-center justify-center">&nbsp;</div>
</div>
</div>
</div>
</div>
</article>
<div class="pointer-events-none h-px w-px" aria-hidden="true" data-edge="true">&nbsp;</div>

নতুন বাজেটে মধ্যবিত্তের কাঁধে বাড়তি করের চাপ

<p>খেলাপি ঋণ ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি ছাড়াল, প্রকাশ পাচ্ছে আগের সরকারের লুকানো চিত্র:</p>
<p data-start="213" data-end="543">বাংলাদেশের ব্যাংকিং খাতে খেলাপি ঋণের পরিমাণ আরও বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের সদ্য প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, ২০২৫ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার ৩৩৫ কোটি টাকা। গত বছরের ডিসেম্বর শেষে এই অঙ্ক ছিল ৩ লাখ ৪৫ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকা। ফলে চলতি বছরের প্রথম তিন মাসেই খেলাপি ঋণ বেড়েছে ৭৪ হাজার ৫৭০ কোটি টাকা।</p>
<p data-start="545" data-end="804">বিশেষজ্ঞদের মতে, পূর্ববর্তী সরকারের সময়ে গোপন রাখা ঋণের প্রকৃত তথ্য এখন প্রকাশিত হওয়ায় এ ঋণের পরিমাণ হঠাৎ বেড়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন বলছে, আগে অনেক ঋণ &lsquo;নিয়মিত&rsquo; হিসেবে দেখানো হলেও নতুন সরকারের সময়ে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সেগুলোকে পুনঃমূল্যায়নের আওতায় এনেছে।</p>
<p data-start="806" data-end="1087">বিশেষ করে কিছু ব্যাংক, যা আগে আলোচিত প্রভাবশালী গ্রুপের নিয়ন্ত্রণে ছিল, এখন সেসব ব্যাংকের আর্থিক চিত্র স্বচ্ছভাবে তুলে ধরার চেষ্টা চলছে। এসব ব্যাংকের মধ্যে রয়েছে এস আলম গ্রুপের প্রভাবমুক্ত ব্যাংকগুলো, যেগুলো বর্তমানে আগের &lsquo;নিয়মিত&rsquo; হিসেবে দেখানো ঋণগুলোকে খেলাপি হিসেবে চিহ্নিত করছে।</p>
<p data-start="1089" data-end="1393">খেলাপি ঋণের তালিকায় আরও উঠে এসেছে বেক্সিমকো, বসুন্ধরা, ওরিয়ন, সিকদার গ্রুপ এবং সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীর ঋণের বিষয়টিও। পূর্ববর্তী সরকারের সময় এই ঋণগুলো নিয়মিত হিসেবে দেখা হলেও এখন সেগুলো খেলাপির অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। এর ফলে ব্যাংক খাতের খেলাপির হার ২০.২০ শতাংশ থেকে বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৪.১৩ শতাংশে।</p>
<p data-start="1395" data-end="1685">বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের মার্চ শেষে খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল ১ লাখ ৮২ হাজার ২৯৫ কোটি টাকা। এক বছরে তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ লাখ ২০ হাজার কোটির বেশি। বর্তমানে দেশের মোট বিতরণ করা ঋণের পরিমাণ ১৭ লাখ ৪১ হাজার ৯৯২ কোটি টাকা, যেখানে তিন মাস আগে এই পরিমাণ ছিল ১৭ লাখ ১১ হাজার ৪০২ কোটি।</p>
<p data-start="1687" data-end="2020">ব্যাংক ধরনের ভিত্তিতে দেখা যাচ্ছে, রাষ্ট্রমালিকানাধীন ব্যাংকগুলোতে খেলাপির হার সবচেয়ে বেশি। মার্চ শেষে এসব ব্যাংকের মোট ঋণ ৩ লাখ ১৯ হাজার ৭০৮ কোটি টাকা, যার মধ্যে ১ লাখ ৪৬ হাজার ৪০৭ কোটি খেলাপি। বেসরকারি ব্যাংকে খেলাপির হার ২০.১৬ শতাংশ, যেখানে মোট বিতরণকৃত ঋণ ১৩ লাখ ১০ হাজার ৩৮৪ কোটি টাকার মধ্যে ২ লাখ ৬৪ হাজার ১৯৫ কোটি টাকা খেলাপি।</p>
<p data-start="2022" data-end="2166">বিদেশি ব্যাংকগুলোতে খেলাপি ঋণ ৪.৮৩ শতাংশ এবং বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোতে ১৪.৪৭ শতাংশ, যার পরিমাণ যথাক্রমে ৩ হাজার ২৩৯ কোটি এবং ৬ হাজার ৪৯৪ কোটি টাকা।</p>
<p data-start="2168" data-end="2330">বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে, মেয়াদোত্তীর্ণ ঋণ নবায়নে বিলম্ব, পুনঃতফসিল ঋণের কিস্তি পরিশোধ না হওয়া, বড় ঋণের শ্রেণিকরণ এবং সুদের পুনরারোপ&mdash;এসব কারণে খেলাপির পরিমাণ বেড়েছে।</p>
<p data-start="2332" data-end="2722">বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক প্রধান অর্থনীতিবিদ মোস্তফা কে মুজেরী মনে করেন, আগের সরকারের সময়ে ঋণ পুনঃতফসিল, সুদ মওকুফসহ নানা সুবিধা দিয়ে খেলাপির সংস্কৃতিকে উৎসাহিত করা হয়েছিল। সেই সংস্কৃতি ব্যাংক ব্যবস্থাকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে। তিনি বলেন, "বর্তমান সরকারের কাছ থেকে জনগণ আশা করেছিল, খেলাপির সংস্কৃতিকে বন্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। কিন্তু বাস্তবে এখনও কার্যকর কোনও দৃশ্যমান পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।"</p>
<p data-start="2724" data-end="3061">২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ যখন ক্ষমতায় আসে, তখন খেলাপি ঋণের পরিমাণ ছিল মাত্র ২২ হাজার ৪৮১ কোটি টাকা। সেই তুলনায় বর্তমানে খেলাপি ঋণের পরিমাণ প্রায় ২০ গুণ বেড়েছে। অর্থনীতিবিদরা দীর্ঘদিন ধরেই অভিযোগ করে আসছেন যে, ব্যাংক ব্যবস্থাকে রাজনৈতিক প্রভাবের ছত্রছায়ায় ব্যবহার করে বিপুল পরিমাণ অর্থ আত্মসাত করা হয়েছে এবং তার বড় একটি অংশ বিদেশে পাচার হয়েছে।</p>
<p data-start="3063" data-end="3374">২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ক্ষমতার পালাবদলের পর থেকে ব্যাংকগুলোতে আগের সরকারের সময়ে গোপন রাখা ঋণচিত্র প্রকাশ পেতে শুরু করেছে। নতুন সরকার ঋণ পুনঃশ্রেণিকরণের ক্ষেত্রে কঠোরতা আরোপ করায় খেলাপি হিসাবগুলো আর &lsquo;নিয়মিত&rsquo; হিসেবে দেখানোর সুযোগ কমে এসেছে। ফলে এখন বাস্তব চিত্র উঠে আসছে এবং ব্যাংকিং খাতের প্রকৃত অবস্থা স্পষ্ট হচ্ছে।</p>

Menu

অর্থনীতি

সাম্প্রতিক অর্থনীতি শিরোনাম

নতুন বাজেটে মধ্যবিত্তের কাঁধে বাড়তি করের চাপ

খেলাপি ঋণে রেকর্ড বৃদ্ধি: পরিমাণ ছাড়াল ৪ লাখ ২০ হাজার কোটি টাকা

নতুন বাজেটে মধ্যবিত্তের কাঁধে বাড়তি করের চাপ