<article class="text-token-text-primary w-full" dir="auto" data-testid="conversation-turn-10" data-scroll-anchor="true">
<div class="text-base my-auto mx-auto py-5 [--thread-content-margin:--spacing(4)] @[37rem]:[--thread-content-margin:--spacing(6)] @[72rem]:[--thread-content-margin:--spacing(16)] px-(--thread-content-margin)">
<div class="[--thread-content-max-width:32rem] @[34rem]:[--thread-content-max-width:40rem] @[64rem]:[--thread-content-max-width:48rem] mx-auto flex max-w-(--thread-content-max-width) flex-1 text-base gap-4 md:gap-5 lg:gap-6 group/turn-messages focus-visible:outline-hidden" tabindex="-1">
<div class="group/conversation-turn relative flex w-full min-w-0 flex-col agent-turn">
<div class="relative flex-col gap-1 md:gap-3">
<div class="flex max-w-full flex-col grow">
<div class="min-h-8 text-message relative flex w-full flex-col items-end gap-2 text-start break-words whitespace-normal [.text-message+&amp;]:mt-5" dir="auto" data-message-author-role="assistant" data-message-id="2a52d03e-272f-4a08-a756-75faea6665ab" data-message-model-slug="gpt-4o">
<div class="flex w-full flex-col gap-1 empty:hidden first:pt-[3px]">
<div class="markdown prose dark:prose-invert w-full break-words light">
দেশের কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ অব্যাহত, কোথাও কোথাও স্বস্তির সম্ভাবনা
বাংলাদেশের বেশ কিছু জেলার ওপর দিয়ে এখনো মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে চলেছে, তবে কিছু এলাকায় সেই তাপপ্রবাহের তীব্রতা কিছুটা কমে আসতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়, রংপুর ও রাজশাহী বিভাগের বেশ কিছু জায়গা ছাড়াও টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, মৌলভীবাজার, ফেনী, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, বাগেরহাট, যশোর, কুষ্টিয়া ও চুয়াডাঙ্গায় মৃদু তাপপ্রবাহ বইছে। তবে এর মধ্যে কিছু এলাকায় তাপপ্রবাহ কমে আসার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের কিছু অঞ্চলে অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি মাত্রার বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একই সঙ্গে রংপুর, রাজশাহী, ময়মনসিংহ ও ঢাকা বিভাগের দু-একটি জায়গায়ও বৃষ্টি হতে পারে। দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী বর্ষণের আশঙ্কাও রয়েছে।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, সারাদেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রায় তেমন কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই, অর্থাৎ তাপমাত্রা প্রায় একই থাকবে।
সিনপটিক বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বর্তমানে মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের ওপর সক্রিয় নয় এবং উত্তর বঙ্গোপসাগরে এটি দুর্বল থেকে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
গতকাল বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী, ঈশ্বরদী, রংপুর ও ডিমলায়&mdash;যেখানে তাপমাত্রা ছিল ৩৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল বান্দরবানে, ২৪.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে কুতুবদিয়ায়, ৪১ মিলিমিটার।
আবহাওয়ার এমন বৈচিত্র্যময় চিত্র জনজীবনে একদিকে যেমন গরমের কষ্ট দিচ্ছে, অন্যদিকে কোথাও কোথাও স্বস্তির বৃষ্টিও এনে দিচ্ছে।
</div>
</div>
</div>
</div>
<div class="mt-3 w-full empty:hidden">&nbsp;</div>
</div>
<div class="absolute">&nbsp;</div>
</div>
</div>
</div>
</article>

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ, কোথাও কমার আভাস

<h3 data-start="209" data-end="301">ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বর্জনের আহ্বানে প্রধান উপদেষ্টা: &ldquo;এটা মানবজাতির আত্মবিধ্বংসী পথ&rdquo;</h3>
 জাতীয় বৃক্ষরোপণ অভিযান ও বৃক্ষমেলা ২০২৫&ndash;এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূস দেশের নাগরিকদের ওয়ান টাইম প্লাস্টিক ব্যবহার পরিহারে আন্তরিক আহ্বান জানিয়েছেন। চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে তিনি একটি সোনালু গাছ রোপণের মধ্য দিয়ে অভিযানের উদ্বোধন করেন এবং প্লাস্টিক দূষণকে জলবায়ু সংকটের এক ভয়াবহ দিক হিসেবে চিহ্নিত করেন।
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, &ldquo;পৃথিবী আজ যুদ্ধ, প্রযুক্তি অপব্যবহার এবং জলবায়ু সংকটের সম্মুখীন। আমরা বুঝতেই পারছি না, আসল সংকট কী&mdash;এটা প্রকৃতির রোষ নয়, বরং মানবজাতির অপরিণামদর্শী কর্মকাণ্ডের ফল। আমরা প্রকৃতির সঙ্গে তাল না মিলিয়ে চলি, বরং তার বিরুদ্ধে লড়াই করি।&rdquo;
তিনি প্লাস্টিক ব্যবহারের ভয়াবহতা তুলে ধরে বলেন, &ldquo;এই উপাদান আজ এমন এক বিপজ্জনক স্তরে পৌঁছেছে যেখানে মনে হয়, হয় মানুষ থাকবে, না হয় প্লাস্টিক। আমাদের জলাশয়গুলো পলিথিনে ঢেকে যাচ্ছে, নদীর তলদেশে জমেছে পুরু স্তরের প্লাস্টিক। মাইক্রোপ্লাস্টিক পৌঁছে যাচ্ছে মায়ের দুধে, শিশুর দেহে, এমনকি ইলিশ মাছের অন্তর্গত কোষেও।&rdquo;
বাংলাদেশ বিশ্বে নবম অবস্থানে রয়েছে প্লাস্টিক দূষণের দিক থেকে&mdash;এই তথ্য তুলে ধরে তিনি বলেন, &ldquo;এটা কোনো গর্বের বিষয় নয়। বরং এটি প্রমাণ করে, আমরা আত্মবিধ্বংসী পথেই হাঁটছি।&rdquo;
সরকার ইতোমধ্যেই পলিথিন শপিং ব্যাগ নিষিদ্ধ করার পথে পদক্ষেপ নিয়েছে উল্লেখ করে তিনি জানান, &ldquo;একটি প্রতীকী পদক্ষেপ হিসেবে বোতলজাত পানির বিরুদ্ধে জনসচেতনতা শুরু করেছি। শুরুতে অনেকে হাসাহাসি করেছে, কিন্তু এখন আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে। সবচেয়ে আশার কথা&mdash;আমাদের তরুণ প্রজন্ম বিষয়টি নিয়ে বেশি সচেতন।&rdquo;
তিনি প্লাস্টিক ব্যবহারে ধাপে ধাপে নিয়ন্ত্রণের প্রস্তাব দিয়ে বলেন, &ldquo;সপ্তাহে একদিন প্লাস্টিক ব্যবহার বন্ধ করা হোক, পরে সেটা বাড়িয়ে সাত দিন। এভাবেই অভ্যাস তৈরি হবে। ইতোমধ্যে সরকারি দপ্তরগুলোতে ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বন্ধের জন্য নির্দিষ্ট সময়সীমা বেঁধে দেওয়া হয়েছে।&rdquo;
জাতিসংঘের উদ্যোগে প্রণীত প্লাস্টিক দূষণ বিরোধী বৈশ্বিক আইনের প্রতি সমর্থন জানিয়ে তিনি বলেন, &ldquo;বাংলাদেশ এই প্রক্রিয়ায় সক্রিয় অংশ নিচ্ছে। বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই দেশের শালবন, চুনতি ও সোনাদিয়ার মতো বনাঞ্চল পুনরুদ্ধারে উদ্যোগ নিয়েছে। নদী দখলমুক্ত ও দূষণমুক্ত করাও আমাদের অগ্রাধিকার।&rdquo;
তিনি তরুণদের প্রতি বিশেষ আহ্বান জানিয়ে বলেন, &ldquo;তোমরাই পারো এই যুদ্ধে নেতৃত্ব দিতে। কার্বন নিঃসরণ শূন্যের পথে হাঁটতে এখনই শুরু করো। একদিন নয়, প্রতিদিনই আমাদের পরিবেশের জন্য কিছু করতে হবে।&rdquo;
পরিবেশের ক্ষতি করে যেকোনো উন্নয়নকে তিনি &lsquo;ভ্রান্ত উন্নয়ন&rsquo; বলে অভিহিত করে বলেন, &ldquo;নদী ধ্বংস, বন উজাড়, জীববৈচিত্র্য নিধন&mdash;এসব দিয়ে কোনো উন্নয়ন হয় না। আমাদের উন্নয়নের সংজ্ঞা বদলাতে হবে। প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে টেকসই পথে এগোতেই হবে।&rdquo;
অবশেষে তিনি বলেন, &ldquo;এই পৃথিবী আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের। আমরা যদি এখনই জেগে না উঠি, আমাদের অস্তিত্বই থাকবে না। ওয়ান টাইম প্লাস্টিক বর্জন হোক সেই জাগরণের প্রথম পদক্ষেপ।&rdquo;

<h3 data-start="169" data-end="264">Prime Adviser Calls for Ban on Single-Use Plastic: &ldquo;This Is a Path to Self-Destruction&rdquo;</h3>
At the inauguration of the National Tree Plantation Campaign and Tree Fair 2025 held at the China-Bangladesh Friendship Conference Center, Prime Adviser Muhammad Yunus made a passionate call to all citizens to stop using single-use plastic. Planting a Sonalu tree as a symbolic gesture, he warned that plastic pollution has emerged as a central driver of the global climate crisis.
"The world is currently entangled in crises&mdash;wars, the misuse of technology, and climate emergencies," Yunus said. "We are failing to recognize the most devastating challenge of all: the wrath of nature. But it&rsquo;s not nature&rsquo;s fault. It&rsquo;s ours. We humans, instead of moving in harmony with nature, have turned against it."
Highlighting the environmental damage caused by plastics, he stated, "Plastic has become a terrifying force. It seems to be telling us, &lsquo;Either we stay, or you do. We can&rsquo;t both survive.&rsquo; Our rivers are layered with thick plastic waste; microplastics have now been detected in mother&rsquo;s milk and even inside hilsa fish. This isn&rsquo;t just alarming&mdash;it&rsquo;s terrifying."
Bangladesh ranks ninth globally in plastic pollution, a fact Yunus mentioned with deep concern. &ldquo;Should we be proud or ashamed? I can&rsquo;t say. But it certainly proves that we&rsquo;re on a suicidal path.&rdquo;
He noted that the interim government has already initiated action against polythene shopping bags and has targeted bottled water as a symbolic enemy of sustainability. &ldquo;People mocked the initiative at first, but at least it&rsquo;s triggered serious discussion. The encouraging part is that the younger generation is taking this matter far more seriously than we, the older generation, ever did.&rdquo;
Urging a gradual reduction in plastic use, Yunus proposed a step-by-step commitment. &ldquo;Start by choosing one day a week to live plastic-free. If you can do it one day, then try two, then three. Eventually, it can become a habit. Without such conscious decisions, we will remain stuck in destructive patterns.&rdquo;
He also revealed that all government offices have been directed to phase out single-use plastics within a specific timeline.
Referring to global efforts, Yunus expressed support for the United Nations' upcoming international treaty on plastic pollution and confirmed Bangladesh&rsquo;s active participation in the process. &ldquo;Our Ministry of Environment will play a proactive role. We&rsquo;ve already initiated actions to reclaim degraded forests like Salban, Chunati, and Sonadia, and to restore major rivers from pollution and encroachment.&rdquo;
Addressing the youth directly, Yunus said, &ldquo;You are the greatest hope. We saw your immense strength during the July uprising. Now is your time to lead in the fight against climate crisis and environmental decay. Take the pledge to move toward zero carbon emissions in your daily life. Start now, step by step.&rdquo;
Rejecting the notion that development can come at the cost of nature, he concluded, &ldquo;Destroying rivers, clearing forests, and eliminating biodiversity&mdash;none of these are signs of true development. We must fundamentally redefine what progress means. If we want to survive, we must align ourselves with the natural world, not against it.&rdquo;
&ldquo;This Earth belongs to the generations after us. If we fail to act now, there may be no future left. Let us make the rejection of single-use plastic the first step in that awakening.&rdquo;

‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক’ ব্যবহার বন্ধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

Prime Adviser Calls for Ban on Single-Use Plastic: “This Is a Path to Self-Destruction”

<h3 data-start="182" data-end="282">নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশনের সংকটে সাড়ে ছয় কোটি মানুষ, ঢাকায় প্রতিদিন খোলা জলাশয়ে ২৩০ টন মানববর্জ্য</h3>
 বাংলাদেশে এখনো সাড়ে ছয় কোটিরও বেশি মানুষ নিরাপদ পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা থেকে বঞ্চিত। শুধু রাজধানী ঢাকাতেই প্রতিদিন গড়ে ২৩০ টন মানববর্জ্য সরাসরি উন্মুক্ত জলাশয়ে পড়ছে, যা জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক হুমকি তৈরি করছে। এই চিত্র তুলে ধরা হয় &lsquo;ইন্টারন্যাশনাল টয়লেট কনফারেন্স ২০২৫&rsquo;-এর উদ্বোধনী দিনে মঙ্গলবার।
দুই দিনব্যাপী এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন দেশি-বিদেশি জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ, উন্নয়ন সংস্থার প্রতিনিধি এবং সংশ্লিষ্ট নীতিনির্ধারকরা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে ইউনিসেফের প্রতিনিধি রানা ফ্লাওয়ার্স বলেন, &ldquo;খোলা জায়গায় মলত্যাগ শিশুদের স্বাস্থ্য, পুষ্টি এবং মানসিক বিকাশের জন্য বড় প্রতিবন্ধক। তবে বাংলাদেশ এ ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে, যা অন্যান্য দেশের তুলনায় প্রশংসনীয়।&rdquo;
তিনি বলেন, &ldquo;তবে এই অগ্রগতি সহজে হারিয়ে যেতে পারে। যেমন, গত বছরের ফেনীর বন্যা অনেক এলাকায় শিশুদের আবার খোলা জায়গায় মলত্যাগে বাধ্য করেছে। একটি নিরাপদ ও স্বাস্থ্যকর বেড়ে ওঠার পরিবেশ শিশুদের অধিকার, যা নিশ্চিত করতে হলে টেকসই পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা অপরিহার্য।&rdquo;
 বক্তারা বলেন, বর্তমানে দেশে অনুন্নত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থার কারণে প্রতিবছর প্রায় ৪২০ কোটি ডলারের আর্থিক ক্ষতি হয়, যা ২০১৮ সালের জিডিপির প্রায় ১.৫ শতাংশ। এই খাতে অগ্রগতি অব্যাহত রাখতে বিনিয়োগ বৃদ্ধির পাশাপাশি বেসরকারি খাতকে সম্পৃক্ত করাও জরুরি।
ওয়াটারএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর হাসিন জাহান বলেন, &ldquo;এই সম্মেলন কেবলমাত্র একটি আলোচনার জায়গা নয়, বরং এটি পুরনো ও অকার্যকর অভ্যাসগুলোর বিরুদ্ধে একপ্রকার চ্যালেঞ্জ। আমাদের টেকসই ভবিষ্যতের জন্য উন্নত স্যানিটেশন ব্যবস্থাপনা মানবাধিকার ও পরিবেশগত ন্যায়ের অংশ হয়ে উঠতে হবে।&rdquo;
বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে বাংলাদেশকে বর্তমান গতির তুলনায় অন্তত আট গুণ দ্রুত কাজ করতে হবে। তারা নিরাপদ স্যানিটেশনকে জনস্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারী-শিশুর নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির একটি কেন্দ্রীয় উপাদান হিসেবে গুরুত্ব দেওয়ার আহ্বান জানান।
সম্মেলনটি যৌথভাবে আয়োজন করেছে গেটস ফাউন্ডেশন, কিম্বার্লি-ক্লার্ক, নেদারল্যান্ডস দূতাবাস, সুইডেনের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা (Sida) এবং যুক্তরাজ্যের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ডিপার্টমেন্ট।

<h3 data-start="127" data-end="244">Over 65 Million in Bangladesh Lack Safe Sanitation; 230 Tons of Human Waste Dumped Daily in Dhaka Waterbodies</h3>
 More than 65 million people in Bangladesh still lack access to safe sanitation facilities, according to data presented at the International Toilet Conference 2025 held in Dhaka on Tuesday. Alarmingly, an estimated 230 tons of human waste are dumped into open water bodies in the capital every single day, posing serious threats to public health and the environment&mdash;particularly affecting marginalized communities and children.
The two-day conference, featuring participants from both local and international health and development organizations, emphasized that inadequate sanitation remains a major public health concern in Bangladesh.
Speaking at the inaugural session, UNICEF Representative in Bangladesh Rana Flowers highlighted the danger of open defecation, especially for children. &ldquo;Open defecation is a serious barrier to children&rsquo;s health and development. Bangladesh has made commendable progress in ending this harmful practice, faster than many other countries. However, climate shocks&mdash;like the floods in Feni last year&mdash;can quickly reverse these gains, forcing children back into unsafe practices.&rdquo;
She stressed that children have the right to grow up in a clean and healthy environment, and without proper sanitation systems, that right is jeopardized. &ldquo;To ensure safe sanitation, particularly for women, children, and marginalized groups, Bangladesh must enhance private sector engagement and significantly increase investments in water, sanitation, and hygiene (WASH).&rdquo;
WaterAid Bangladesh Country Director Hasin Jahan stated, &ldquo;This conference is not just a discussion platform&mdash;it&rsquo;s a call to challenge outdated practices. We urge stakeholders to recognize proper sanitation as essential for human rights, sustainable environments, and economic growth.&rdquo;
According to the organizers, poor sanitation results in an estimated economic loss of USD 4.2 billion annually, which is equivalent to 1.5% of Bangladesh&rsquo;s 2018 GDP. To meet the Sustainable Development Goals (SDGs), the pace of progress must accelerate by at least eight times the current rate.
The event was jointly organized by the Bill &amp; Melinda Gates Foundation, Kimberly-Clark, the Embassy of the Kingdom of the Netherlands, the Swedish International Development Cooperation Agency (Sida), and UK International Development.
Experts at the conference reiterated the need to treat sanitation not merely as an infrastructure issue but as a critical pillar of health, dignity, and inclusive development.

ঢাকায় প্রতিদিন ২৩০ টন মানববর্জ্য মিশছে জলাশয়ে, টয়লেট সম্মেলনে তথ্য

Over 65 Million in Bangladesh Lack Safe Sanitation; 230 Tons of Human Waste Dumped Daily in Dhaka Waterbodies

<h3 data-start="145" data-end="251">বিশ্বের দূষিত শহরের তালিকায় ঢাকার অবস্থান চতুর্থ: বায়ুমানের সূচক পৌঁছেছে &lsquo;খুবই অস্বাস্থ্যকর&rsquo; স্তরে</h3>
 সাপ্তাহিক ছুটির দ্বিতীয় দিন শনিবার, সুইসভিত্তিক বৈশ্বিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণ সংস্থা আইকিউএয়ার প্রকাশিত এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) অনুযায়ী, বাংলাদেশের রাজধানী ঢাকা বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত শহরের তালিকায় চতুর্থ অবস্থানে উঠে এসেছে। তালিকায় ঢাকার ওপরে রয়েছে ভারতের তিনটি শহর&mdash;দিল্লি, কলকাতা ও মুম্বাই&mdash;যা দক্ষিণ এশিয়ার ভয়াবহ বায়ুদূষণের চিত্র আরও স্পষ্ট করে তোলে।
শনিবার সকাল ১১টায় ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ১৯৮, যা সাধারণ জনগণের জন্য &lsquo;অস্বাস্থ্যকর&rsquo; বলে চিহ্নিত। একই সময়ে বাংলাদেশ সরকারের পরিবেশ অধিদপ্তর কর্তৃক প্রকাশিত রিয়েলটাইম তথ্যে ঢাকার একিউআই স্কোর ছিল ২০১, যা &lsquo;খুবই অস্বাস্থ্যকর&rsquo; স্তরের বলে ধরা হয়। এই অমিলটি যেমন জরুরি সতর্কতার ইঙ্গিত দেয়, তেমনি রাজধানীর পরিবেশ সংকটের গভীরতাও তুলে ধরে।
বায়ুর মান মূলত নির্ধারণ করা হয় বাতাসে থাকা সূক্ষ্ম ধূলিকণা (PM10), অতিসূক্ষ্ম ধূলিকণা (PM2.5), সালফার ডাই-অক্সাইড (SO₂), কার্বন মনো-অক্সাইড (CO), নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড (NO₂) এবং ওজোন গ্যাসের উপস্থিতির ওপর ভিত্তি করে। একিউআই যত বাড়ে, স্বাস্থ্যঝুঁকি ততই বেশি হয়&mdash;বিশেষত শিশু, বৃদ্ধ ও শ্বাসকষ্টে আক্রান্ত মানুষের জন্য।
 আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী একিউআই স্কোর:
<ul data-start="1314" data-end="1507">
<li data-start="1314" data-end="1330">
০&ndash;৫০: ভালো
</li>
<li data-start="1331" data-end="1353">
৫১&ndash;১০০: সহনযোগ্য
</li>
<li data-start="1354" data-end="1404">
১০১&ndash;১৫০: সংবেদনশীল শ্রেণির জন্য অস্বাস্থ্যকর
</li>
<li data-start="1405" data-end="1442">
১৫১&ndash;২০০: সবার জন্য অস্বাস্থ্যকর
</li>
<li data-start="1443" data-end="1475">
২০১&ndash;৩০০: খুবই অস্বাস্থ্যকর
</li>
<li data-start="1476" data-end="1507">
৩০১ বা তদূর্ধ্ব: বিপজ্জনক
</li>
</ul>
 পরিবেশ অধিদপ্তরের বায়ুমান ব্যবস্থাপনা পরিচালক জিয়াউল হক বলেন, &ldquo;শীতকালে একিউআই ২০০-এর নিচে রাখা অত্যন্ত কঠিন। পূর্ববর্তী শীত মৌসুমগুলোতে এই সূচক প্রায়ই ২৫০ থেকে ৩০০-র মধ্যে উঠে গেছে, যা অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। এবার আমরা ২০০-এর নিচে রাখার চেষ্টা করছি, তবে তা খুবই চ্যালেঞ্জিং।&rdquo;
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পরিবেশ অধিদপ্তর সারা দেশে ১২টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করছে, যার মধ্যে ঢাকা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় ৮টি আদালত সার্বক্ষণিক কাজ করছে।
 জিয়াউল হক আরও বলেন, &ldquo;বায়ুদূষণ শুধু পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের একার পক্ষে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। এটি পরিবহন, শিল্প, ব্যবসা-বাণিজ্য এবং নাগরিক অভ্যাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িত। ঢাকার বাইরের জেলা থেকেও দূষণ রাজধানীতে প্রবেশ করছে। তাই সমন্বিত প্রচেষ্টা ছাড়া এটি নিয়ন্ত্রণ সম্ভব নয়।&rdquo;
এই সংকট মোকাবিলায় সরকার নতুন ইটভাটার অনুমোদন ও পরিবেশ ছাড়পত্র স্থগিত করেছে এবং কালো ধোঁয়া নির্গতকারী পুরনো যানবাহন অপসারণে ছয় মাসের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।
 এদিকে পরিবেশ অধিদপ্তর নিয়মিতভাবে তাদের ওয়েবসাইটে ঢাকাসহ আশপাশের অঞ্চলের দূষণের মাত্রা সম্পর্কে সতর্কতা প্রকাশ করছে। তারা জনগণকে বাইরে বের হওয়ার সময় মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে এবং শিশু, বয়স্ক ও শ্বাসকষ্ট রোগীদের অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
 বিশেষজ্ঞদের মতে, নাগরিক সচেতনতা, পরিবহন ও শিল্পনীতি সংস্কার এবং কার্যকর বাস্তবায়নের মাধ্যমেই দীর্ঘমেয়াদে বায়ুমান উন্নয়ন সম্ভব। এই সংকট শুধুই পরিবেশগত নয়&mdash;এটি এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য এক তাৎক্ষণিক জরুরি অবস্থা।

<h3 data-start="205" data-end="307">Dhaka Ranks 4th Among World&rsquo;s Most Polluted Cities: Air Quality Reaches &lsquo;Very Unhealthy&rsquo; Level</h3>
On Saturday, the second day of the weekly holiday, Bangladesh's capital Dhaka ranked fourth among the world&rsquo;s most polluted cities, according to the Air Quality Index (AQI) report published by IQAir, a Swiss-based global air monitoring organization. Only three Indian cities&mdash;Delhi, Kolkata, and Mumbai&mdash;ranked above Dhaka on the list, reflecting the alarming air pollution levels across South Asia.
At 11 AM on that day, Dhaka&rsquo;s AQI score stood at 198, classified as "Unhealthy" for the general population. Simultaneously, Bangladesh&rsquo;s Department of Environment (DoE), which provides real-time air quality updates, reported an AQI of 201 for the city&mdash;categorizing the air as "Very Unhealthy." The discrepancy underscores the critical environmental challenge facing the country&rsquo;s most densely populated urban center.
Air quality is measured by concentrations of airborne particulate matter&mdash;especially PM2.5 (ultrafine particles) and PM10 (fine particles)&mdash;along with pollutants such as sulfur dioxide (SO₂), carbon monoxide (CO), nitrogen dioxide (NO₂), and ground-level ozone (O₃). As AQI levels rise, the potential health risk increases, particularly for vulnerable populations like children, the elderly, and individuals with respiratory illnesses.
According to international AQI standards:
<ul data-start="1603" data-end="1818">
<li data-start="1603" data-end="1645">
A score between 0&ndash;50 is considered good;
</li>
<li data-start="1646" data-end="1667">
51&ndash;100 is moderate;
</li>
<li data-start="1668" data-end="1712">
101&ndash;150 is unhealthy for sensitive groups;
</li>
<li data-start="1713" data-end="1744">
151&ndash;200 is unhealthy for all;
</li>
<li data-start="1745" data-end="1775">
201&ndash;300 is very unhealthy;
</li>
<li data-start="1776" data-end="1818">
Above 300 is hazardous to public health.
</li>
</ul>
Officials at the Department of Environment acknowledge that maintaining air quality below an AQI score of 200 during winter is becoming increasingly difficult. Ziaul Haque, Director of the Air Quality Management division of the DoE, stated in an interview that, &ldquo;In past winters, AQI levels have often exceeded 250 or even 300, making the air extremely hazardous. This year, we are working hard to keep it under 200, though this remains a significant challenge.&rdquo;
To combat the crisis, 12 mobile courts are operating across the country to monitor and enforce pollution controls. Of these, 8 are functioning around Dhaka and neighboring districts on a continuous basis. Haque emphasized that controlling air pollution is not solely the responsibility of the environment ministry. &ldquo;It is deeply tied to transport systems, industrial practices, commercial operations, and everyday public behavior. Even pollution from adjacent districts is contributing to Dhaka&rsquo;s worsening air quality.&rdquo;
As part of its strategy, the Department of Environment has announced a moratorium on approving new brick kilns and issuing environmental clearance certificates. A six-month deadline has also been set to phase out older vehicles emitting black smoke&mdash;one of the major contributors to urban air pollution.
With pollution levels frequently veering from "very unhealthy" to "hazardous," the Department is urging citizens to wear masks when outdoors and has advised sensitive individuals, such as asthma patients and the elderly, to remain indoors unless absolutely necessary. Public announcements on the department&rsquo;s website regularly warn about deteriorating air quality conditions in and around Dhaka.
Experts assert that without multi-sectoral coordination and citizen involvement, long-term air quality improvement will remain elusive. Structural reforms in transport policy, industrial emissions standards, and civic behavior are crucial. The fight against air pollution in Dhaka is not only an environmental issue&mdash;it is a public health emergency.

‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থা নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ

Dhaka Ranks 4th Among World’s Most Polluted Cities: Air Quality Reaches ‘Very Unhealthy’ Level

<h3 data-start="191" data-end="248">বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫: প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে এখনই সময়</h3>
 প্রতি বছরের মতো এ বছরও ৫ জুন পালিত হচ্ছে বিশ্ব পরিবেশ দিবস। জাতিসংঘ ঘোষিত এ দিবসটি বিশ্বব্যাপী পরিবেশ সুরক্ষায় সচেতনতা বৃদ্ধি এবং কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের অগ্রণী মঞ্চ হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। প্রতিবছর নির্দিষ্ট একটি প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়, যা পরিবেশের একটি জরুরি ইস্যুকে সামনে আনে। এ বছর প্রতিপাদ্য হলো &lsquo;প্লাস্টিক দূষণ আর নয়&rsquo; এবং স্লোগান &lsquo;প্লাস্টিক দূষণ আর নয়, বন্ধ করার এখনই সময়&rsquo;। প্লাস্টিক ও প্লাস্টিকজাতীয় দ্রব্যের ব্যাপক উৎপাদন ও ব্যবহারের ফলে মানবস্বাস্থ্য ও পরিবেশের ওপর যে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে, তার প্রেক্ষিতে এই প্রতিপাদ্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও সময়োপযোগী।
প্লাস্টিক একটি কৃত্রিম বস্তু, যা আবিষ্কারের পর তার বহুমুখী ব্যবহার ও সুবিধার কারণে দ্রুত মানুষের দৈনন্দিন জীবনে অপরিহার্য হয়ে উঠেছে। ওজনে হালকা, নমনীয় এবং দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় এটি নানা ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হচ্ছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর থেকে প্লাস্টিকের উৎপাদন ব্যাপক হারে বেড়েছে; ১৯৫০ সালে যেখানে মাত্র ১.৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক ব্যবহৃত হতো, সেখানে ২০২০ সালে তা দাঁড়িয়েছে ৩৬৭ মিলিয়ন টনে। তবে এর ব্যাপক ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে এর নেতিবাচক প্রভাবও দিন দিন প্রকট হয়ে উঠছে। আজ প্লাস্টিক দূষণ পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি পরিবেশে, পাহাড়, নদী, বন ও সমুদ্রসহ ছড়িয়ে পড়েছে এবং মানবসহ অন্যান্য জীবের স্বাস্থ্য ও বাস্তুতন্ত্রকে মারাত্মকভাবে বিপন্ন করছে।
 প্লাস্টিক দূষণের প্রভাব তার আকার ও রূপের ওপর নির্ভরশীল। এটি মূলত তিন ভাগে বিভক্ত: ম্যাক্রোপ্লাস্টিক (৫ মিমি বা তার বেশি), মাইক্রোপ্লাস্টিক (৫ মিমির কম) এবং ন্যানোপ্লাস্টিক (১ মাইক্রোমিটারের কম)। ম্যাক্রোপ্লাস্টিক মাটির স্বাভাবিক গঠন ও পুষ্টি চক্র ব্যাহত করে, জলাবদ্ধতা সৃষ্টি ও জীববৈচিত্র্যের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। মাইক্রোপ্লাস্টিক খাদ্যশৃঙ্খলের মাধ্যমে মানুষের দেহে প্রবেশ করে, যা স্বাস্থ্যঝুঁকি বৃদ্ধি করে। এটি শ্বাসকষ্ট, হরমোনজনিত সমস্যা, দৈহিক বিকাশে বাধা, প্রজননশক্তি হ্রাস ও ক্যান্সারসহ বিভিন্ন রোগের কারণ হতে পারে।
কৃষি খাতে প্লাস্টিকের ব্যবহার সবচেয়ে বেশি, যেখানে মালচিং, ছাউনি, সার-বীজ সংরক্ষণ, পানি পরিবহন ও ফসল রক্ষায় প্লাস্টিক ব্যাপকভাবে ব্যবহার হয়। তবে এই প্লাস্টিকের প্রভাব মাটির উর্বরতা কমিয়ে ফসলের উৎপাদনশীলতাকে হুমকির মুখে ফেলেছে। বিশ্বব্যাপী বছরে কৃষিতে প্রায় ২.২৫ মিলিয়ন টন প্লাস্টিক ব্যবহার হয়, যা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যকে বিপন্ন করছে। বাংলাদেশে যথাযথ প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনার অভাব থাকায় ক্ষতিও বহুমাত্রিক।
 বিশ্বব্যাপী প্লাস্টিক ব্যবহারে দেশভেদে বড় পার্থক্য রয়েছে। উন্নত দেশে মাথাপিছু ব্যবহার বেশি (যেমন: যুক্তরাষ্ট্র ২২০ কেজি), আর উন্নয়নশীল দেশে কম (বাংলাদেশ ৯ কেজি)। তবে প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নশীল দেশগুলো পিছিয়ে, যেখানে বাংলাদেশে ৮৩.২% প্লাস্টিক বর্জ্য সঠিকভাবে ব্যবস্থাপিত হয় না। এই বাস্তবতা নির্দেশ করে যে, বর্জ্য ব্যবস্থাপনার উন্নতি আইন প্রণয়ন ও কঠোর বাস্তবায়নের ওপর নির্ভর করে।
প্লাস্টিক দূষণ রোধে করণীয়ের মধ্যে রয়েছে সচেতনতা বৃদ্ধির মাধ্যমে জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিতকরণ, স্কুল ও গণমাধ্যমে নিয়মিত তথ্য প্রচার, ও কঠোর আইন প্রয়োগ। পরিবেশবান্ধব বিকল্প সামগ্রী উৎপাদন ও ব্যবহারে উৎসাহ দিতে ভর্তুকি ও প্রণোদনা দেওয়া যেতে পারে। এককালীন প্লাস্টিক ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে, যেমন প্লাস্টিকের পাত্র, গ্লাসের পরিবর্তে সিরামিক বা ধাতব পাত্র ব্যবহার। প্লাস্টিক পণ্য পুনর্ব্যবহারযোগ্য করা ও বর্জ্য সুষ্ঠুভাবে সংগ্রহ ও ব্যবস্থাপনার মাধ্যমে ক্ষতি কমানো সম্ভব।
পরিশেষে, প্লাস্টিক দূষণের ভয়াবহতা রোধে আর দেরি করা যাবে না। বাংলাদেশসহ ঘনবসতিপূর্ণ দেশগুলোতে প্লাস্টিক দূষণের নেতিবাচক প্রভাব থেকে রক্ষা পেতে এখনই সক্রিয়, দীর্ঘমেয়াদী ও ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ জরুরি। শুধুমাত্র দিবস পালন নয়, বরং বছরভর এই দূষণের বিরুদ্ধে নিবিড় কাজ করে তবেই আমরা স্থায়ী ফলাফল অর্জন করতে পারব।

<h3 data-start="72" data-end="133">World Environment Day 2025: Time to End Plastic Pollution</h3>
As every year, World Environment Day is observed on June 5th. Established by the United Nations, this day plays a vital role in raising global awareness about environmental protection and inspiring effective action by countries worldwide. Each year, a specific theme is chosen to highlight a critical environmental issue. This year&rsquo;s theme is &ldquo;Beat Plastic Pollution&rdquo; with the slogan &ldquo;Beat Plastic Pollution &ndash; It&rsquo;s Time to Act.&rdquo; Given the widespread production and use of plastic and plastic-based products and their severe adverse effects on human health and the environment, this theme is both timely and highly relevant.
Plastic is a synthetic material that, since its invention, has become an indispensable part of everyday life due to its versatility, lightweight nature, flexibility, and durability. After World War II, plastic production and consumption surged dramatically&mdash;from about 1.5 million tons annually in 1950 to 367 million tons in 2020. While plastic&rsquo;s widespread use brought convenience, its harmful impacts have escalated alarmingly. Today, plastic pollution pervades mountains, rivers, forests, land, and oceans, severely threatening human health, biodiversity, and ecosystems.
Plastic pollution is categorized mainly by particle size: macroplastics (&ge;5 mm), microplastics (&lt;5 mm), and nanoplastics (&lt;1 micrometer). Macroplastics disrupt soil structure, nutrient cycling, and natural microbial activity, causing waterlogging and impairing ecosystem functions. Microplastics and nanoplastics enter the food chain through plants and animals, ultimately reaching humans, where they pose serious health risks&mdash;including hormone disruption, respiratory issues, impaired growth and reproduction, and increased risks of disabilities and cancers.
Agriculture is among the sectors with the highest plastic use. From plastic mulching films, seedling covers, containers for fertilizers and pesticides, to irrigation pipes and bird scarers, plastic products are extensively used throughout the crop production cycle. However, plastic contamination degrades soil fertility and reduces crop productivity. Globally, approximately 2.25 million tons of plastic are used annually in agriculture, contributing significantly to environmental and health hazards. In Bangladesh, insufficient waste management amplifies these harmful effects, disproportionately impacting children and low-income populations.
Worldwide, plastic consumption varies significantly between countries. Developed nations tend to have much higher per capita plastic use&mdash;for example, the United States at 220 kg per person annually&mdash;while developing countries like Bangladesh average much less, around 9 kg per person. Nevertheless, developing countries often rank poorly in plastic waste management. Bangladesh&rsquo;s unmanaged plastic waste rate is approximately 83.2%, highlighting a pressing need for improved systems. This disparity underscores that effective waste management depends more on sound policies and enforcement than merely on consumption levels.
Combating plastic pollution requires a multipronged approach: raising awareness across all societal levels, incorporating plastic pollution education into school curricula, and continuous public information campaigns through media. Enforcing existing laws to prohibit production and marketing of banned plastic products is essential. Encouraging production and use of eco-friendly alternatives through subsidies and incentives can reduce dependence on plastics. Single-use plastics&mdash;such as disposable cups, plates, and straws&mdash;should be replaced by reusable materials like ceramics or metals. Establishing efficient systems for recycling and proper collection of plastic waste can significantly minimize environmental harm.
In conclusion, the alarming growth of plastic pollution demands urgent action. Without immediate and sustained efforts, countries like Bangladesh, with high population density, will face severe consequences for public health, biodiversity, and agricultural productivity. World Environment Day should not be a mere symbolic observance but a catalyst for year-round, concerted initiatives to tackle plastic pollution and safeguard our planet&rsquo;s future.

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫: প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে এখনই সময়

World Environment Day 2025: Time to End Plastic Pollution

<h3 data-start="383" data-end="442">পরিবেশ, ভূরাজনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতি: বাংলাদেশ কোন পথে?</h3>
 বিশ্ব এখন এক অদ্ভুত সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে&mdash;জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি, ভূরাজনৈতিক সংঘর্ষ, খাদ্য ও জ্বালানি সংকট এবং বৈশ্বিক অর্থনীতির টালমাটাল অবস্থান একে অন্যের সঙ্গে নিবিড়ভাবে জড়িত। এই বৈশ্বিক বাস্তবতায় বাংলাদেশের অবস্থান একটি সংকটপূর্ণ অথচ কৌশলগত দৃষ্টিকোণ থেকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, একদিকে এটি জলবায়ু পরিবর্তনের শিকার, অন্যদিকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার শক্তির দ্বন্দ্ব, অভিবাসন প্রবাহ এবং উন্নয়ন তহবিল বিতরণের কেন্দ্রবিন্দুতে।
উত্তর গোলার্ধের শিল্পোন্নত দেশগুলো শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে কার্বন নির্গমন করে পৃথিবীর তাপমাত্রা বাড়িয়েছে। অথচ এর ভয়াবহ পরিণতি ভোগ করছে বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশগুলো। খরা, অতিবৃষ্টি, নদীভাঙন ও ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষয়ক্ষতি দিনে দিনে বাড়ছে, অথচ বৈশ্বিক জলবায়ু তহবিল থেকে এখনো পর্যাপ্ত সহায়তা মেলেনি। &lsquo;লোস অ্যান্ড ড্যামেজ&rsquo; ফান্ড বাস্তবায়নে বিলম্ব এবং উন্নত বিশ্বের প্রতিশ্রুত তহবিল না আসা উন্নয়নশীল রাষ্ট্রগুলোর প্রতি একধরনের নৈতিক অমানবিকতা।
অন্যদিকে, ভূরাজনৈতিক বাস্তবতাও বাংলাদেশের পরিবেশ নীতিকে জটিল করে তুলছে। ভারত, চীন ও যুক্তরাষ্ট্র&mdash;তিনটি শক্তিধর রাষ্ট্রের ভূকৌশলগত আগ্রহে বাংলাদেশ পড়েছে এক কৌশলগত মেরুকরণের চাপে। চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ, ভারতের আঞ্চলিক কর্তৃত্ববাদ ও যুক্তরাষ্ট্রের &lsquo;ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল&rsquo;&mdash;এই ত্রিমাত্রিক চাপ পরিবেশবান্ধব নীতির চেয়ে অর্থনৈতিক ও কৌশলগত সুবিধাকে অগ্রাধিকার দিতে বাধ্য করছে। উদাহরণস্বরূপ, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রে চীনের বিনিয়োগ কিংবা এলএনজি আমদানিতে পশ্চিমা তত্ত্বাবধান&mdash;উভয়ই জলবায়ু সংকটকে উপেক্ষা করছে।
বৈশ্বিক অর্থনৈতিক অস্থিরতা, বিশেষ করে ইউক্রেন যুদ্ধ পরবর্তী জ্বালানি সংকট এবং মার্কিন ডলারের আধিপত্য, বাংলাদেশের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে। সবুজ জ্বালানিতে রূপান্তরের সুযোগ থাকলেও ফিনান্সিং ও প্রযুক্তির অভাবে তা বাস্তবায়ন ব্যাহত হচ্ছে। জলবায়ু অভিযোজন ও নবায়নযোগ্য শক্তির খাতে বিদেশি সহায়তা আসলেও তা প্রায়শই শর্তযুক্ত এবং কৌশলগত দখলের মাধ্যম হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এতে করে বাংলাদেশের নীতিকৌশল স্বাধীনতা খর্ব হয়।
তবে বাংলাদেশের জন্য বিকল্প পথও উন্মুক্ত। আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরো কার্যকর জলবায়ু কূটনীতি, দক্ষিণ-দক্ষিণ সহযোগিতা জোরদার, এবং স্থানীয় প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক পরিবেশ নীতির বাস্তবায়নের মাধ্যমে নিজস্ব কণ্ঠস্বর জোরালো করা সম্ভব। বাংলাদেশ যদি জলবায়ু অভিবাসন, পরিবেশ-নির্ভর খাদ্যনিরাপত্তা এবং টেকসই নগরায়নে নেতৃত্ব দিতে পারে, তাহলে এটি শুধু একটি &ldquo;জরুরি সংকটের দেশ&rdquo; নয়, বরং হয়ে উঠতে পারে একটি &ldquo;জলবায়ু নেতৃত্বের রাষ্ট্র&rdquo;।

Environment, Geopolitics, and the Global Economy: Which Way for Bangladesh?
The world today stands at a crossroads where climate change, geopolitical rivalries, food and energy crises, and economic instability are deeply interconnected. In this shifting global landscape, Bangladesh occupies a fragile yet strategically vital position. It is both a frontline victim of climate change and a pivotal player caught between the great power politics of South and Southeast Asia, global migration flows, and development funding dilemmas.
Historically, industrialized nations of the global North have emitted vast amounts of carbon, warming the planet over centuries. Yet, countries like Bangladesh are disproportionately bearing the consequences&mdash;frequent floods, cyclones, droughts, and river erosion are becoming increasingly devastating. Despite being a climate victim, Bangladesh still receives insufficient support from global climate finance mechanisms. Delays in implementing the "Loss and Damage" fund and unmet financial commitments by developed nations amount to a moral failure in global justice.
Geopolitical dynamics further complicate Bangladesh's environmental policies. With strategic pressure from India, China, and the United States, the country faces a triangular tug-of-war. China&rsquo;s Belt and Road Initiative, India&rsquo;s regional assertiveness, and the US Indo-Pacific Strategy are pushing Bangladesh toward a polarized geopolitical environment. In this contest, environmental sustainability is often sacrificed for short-term economic or strategic gains. Investments in coal power plants from China or LNG imports under Western supervision demonstrate this contradiction.
The global economic disorder&mdash;worsened by the Russia-Ukraine war and the dominance of the US dollar&mdash;has created new challenges for Bangladesh. Although green energy transition is urgent, financial and technological constraints are slowing the process. International support for renewable energy and climate resilience is often conditional, entangled with geopolitical interests that restrict Bangladesh's policy autonomy.
Still, there is a path forward. Through more assertive climate diplomacy, enhanced South-South cooperation, and a bottom-up implementation of environmental policies grounded in local technology and knowledge, Bangladesh can amplify its own voice. If it leads on climate-induced migration, food security, and sustainable urbanization, Bangladesh may no longer be seen as merely a &ldquo;victim nation,&rdquo; but rather as a &ldquo;climate leadership state&rdquo; in the Global South.

পরিবেশ, ভূরাজনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতি: বাংলাদেশ কোন পথে?

Environment, Geopolitics, and the Global Economy: Which Way for Bangladesh?

বাংলাদেশের রাস্তাঘাট এশিয়ায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট বিশ্বব্যাপী সড়কের মান নির্ণয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কী অবস্থানে রয়েছে? বিশ্বব্যাপী সড়ক অবকাঠামোর মান নিয়ে অনুষ্ঠিত একটি সাম্প্রতিক জরিপের ফলাফল জানাচ্ছে, ১৩৮টি দেশের মধ্যে সড়ক যোগাযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে উন্নত অবস্থানে রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। অপরদিকে, তালিকার নিকৃষ্টতম অবস্থানটি দখল করেছে মাদাগাস্কার। এ তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ১১৩তম, যা এশিয়া মহাদেশের দেশগুলোর মধ্যে সর্বনিম্ন।
বাংলাদেশের এই অবস্থান দেশের অবকাঠামোগত উন্নয়নে একটি বড় সংকেত হিসাবে ধরা হচ্ছে। বিশ্লেষকদের মতে, দেশের সড়ক অবস্থা উন্নয়নের জন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সংশ্লিষ্ট সকল অংশীদারের একাত্ম উদ্যোগ প্রয়োজন। একই সঙ্গে এটি দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও জনসাধারণের জীবনমান উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
এই জরিপে উল্লেখ করা হয়েছে, এশিয়ায় বাংলাদেশের নিকৃষ্ট সড়কের অবস্থানের আগে মাত্র একটি দেশ রয়েছে, সেটা হলো নেপাল। নেপালের সড়ক অবস্থা বাংলাদেশের থেকেও অনেক বেশি দুর্বল। এই তথ্যগুলো এশিয়ার উন্নয়নশীল দেশগুলোর অবকাঠামোগত দুর্বলতা ও পরিকল্পনার ঘাটতির একটি প্রতিফলন।
এশিয়ায় সড়ক যোগাযোগের দিক থেকে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে রয়েছে সিঙ্গাপুর, যা বিশ্ব তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। এশিয়ার অন্যান্য উন্নত দেশের মধ্যে জাপান ও তাইওয়ানের অবস্থান যথাক্রমে পাঁচ ও ১১তম। দক্ষিণ কোরিয়া এবং মালয়েশিয়া যথাক্রমে ১৪ ও ২০তম স্থানে রয়েছে। বিশ্বে চীনের অবস্থান যথাক্রমে ৩৯তম, যা ক্রমবর্ধমান উন্নতির প্রতীক। চীন বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ মহাসড়ক জালের মালিক; যার দৈর্ঘ্য প্রায় ৮৫ হাজার কিলোমিটার।
দক্ষিণ এশিয়ার অন্য দেশগুলোর তুলনায় ব্রুনাই এবং শ্রীলঙ্কার অবস্থান অপেক্ষাকৃত ভালো। ভারতের অবস্থানও উন্নতি লাভ করেছে; এটি ৫১তম স্থানে রয়েছে যা থাইল্যান্ড ও পাকিস্তানের চেয়ে ভালো, যাদের অবস্থান যথাক্রমে ৬০ ও ৭৭।
যদিও বিভিন্ন সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও ভুটানের অবস্থান ৮০তম। ভিয়েতনাম এবং লাওস এখনও সড়ক যোগাযোগে যথেষ্ট বিনিয়োগ করেনি বলে তাদের অবস্থান তুলনামূলক নিচে। কম্বোডিয়ার অবস্থান ৯৩তম; শহর ও গ্রামাঞ্চলে সড়কের পরিমাণ খুবই কম। পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে ফিলিপাইনের সড়ক অবস্থা তুলনামূলকভাবে খারাপ।
বিশ্বব্যাপী সড়ক যোগাযোগ উন্নয়নে অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও জনসাধারণের জীবনমান বৃদ্ধির মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। উন্নত সড়ক নেটওয়ার্ক পণ্য পরিবহনকে সহজ ও দ্রুত করে তোলে, যা ব্যবসা-বাণিজ্যকে উৎসাহিত করে। আর দুর্বল সড়ক যোগাযোগ নানা ক্ষেত্রে যেমন ব্যবসা-বাণিজ্যে বিলম্ব, দুর্ঘটনা, পরিবেশ দূষণ, এবং জনস্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশে সড়ক যোগাযোগের অবস্থা এখনো দুর্বল হওয়ায় এসব সমস্যা প্রকট।
বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো উন্নয়নে রয়েছে নানা ধরনের বাধা। যেমন, অপরিকল্পিত নগরায়ন, যথাযথ রক্ষণাবেক্ষণের অভাব, যানবাহনের অতিরিক্ত চাপ, এবং পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নের মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি। এছাড়া, সড়কের নিরাপত্তা ব্যবস্থা উন্নত না থাকায় দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যাচ্ছে।
 সরকার জাতীয় অবকাঠামো উন্নয়ন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সড়ক উন্নয়নে বেশ কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। যেমন, মহাসড়ক নির্মাণ ও সম্প্রসারণ, ব্রিজ নির্মাণ, বাইপাস ও রিং রোড উন্নয়ন, এবং পরিবহন ব্যবস্থার আধুনিকীকরণ। এসব প্রকল্পের বাস্তবায়নে সরকারি ও বেসরকারি খাতের সমন্বিত প্রচেষ্টা প্রয়োজন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নে সড়কের অবকাঠামোর গুরুত্ব অপরিসীম। একটি কার্যকর ও নিরাপদ সড়ক নেটওয়ার্ক দেশের অভ্যন্তরীণ ও আন্তঃজাতিক বাণিজ্যের গতিশীলতা বাড়ায়, পর্যটন শিল্পকে প্রসারিত করে, এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টি করে। একই সঙ্গে সড়ক উন্নয়নে বিনিয়োগ দেশের প্রতিযোগিতামূলক অবস্থান উন্নত করে।
বাংলাদেশের জনগণের জীবনে সড়কের অবস্থা সরাসরি প্রভাব ফেলে। দুর্বল সড়ক যোগাযোগ স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, এবং অন্যান্য সামাজিক সেবায় পৌঁছাতে বাঁধা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকার মানুষের জীবনে এ সমস্যার মাত্রা বেশি। সড়কের উন্নয়ন না হলে গ্রামীণ ও শহুরে জীবনের মধ্যকার দুরত্ব কমানো কঠিন হবে।
বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থা ও উন্নয়ন অংশীদার বাংলাদেশের সড়ক উন্নয়নে সহায়তা প্রদান করছে। উন্নত প্রযুক্তি ও পরিকল্পনার মাধ্যমে সড়ক নির্মাণ ও রক্ষণাবেক্ষণে উন্নতি করা সম্ভব। পাশাপাশি, সড়ক নিরাপত্তা ও যানবাহন ব্যবস্থাপনার ওপরও গুরুত্ব দিতে হবে।
পরিবেশগত প্রভাবও বিবেচনায় নিতে হবে সড়ক উন্নয়নে। অপরিকল্পিত সড়ক নির্মাণ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। তাই টেকসই ও পরিবেশবান্ধব পরিকল্পনা গ্রহণ অত্যন্ত জরুরি।
দেশের উন্নয়নের জন্য আধুনিক ও কার্যকর সড়ক অবকাঠামো গড়ে তোলা সময়ের দাবি। এতে সব স্তরের মানুষের জীবনমান উন্নত হবে এবং দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ত্বরান্বিত হবে। সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে সবাইকে সহযোগিতা ও দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের প্রয়োজন।
 বাংলাদেশের নিকৃষ্টতম সড়ক অবস্থানকে উত্তরণ করতে সরকার, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং জনগণের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টা জরুরি। পরিকল্পিত বিনিয়োগ, দক্ষ ব্যবস্থাপনা, ও আধুনিক প্রযুক্তির ব্যবহার একসঙ্গে হলে বাংলাদেশের সড়ক অবকাঠামো আন্তর্জাতিক মানে পৌঁছানো সম্ভব।
বিশ্বব্যাপী চলমান প্রযুক্তিগত ও অর্থনৈতিক পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে বাংলাদেশের সড়ক নেটওয়ার্ককে উন্নত করতে হবে। উন্নত সড়ক যোগাযোগ দেশের সকল সেক্টরের উন্নয়নে প্রাথমিক অবকাঠামো হিসেবে কাজ করবে।
সমাপ্তিতে বলা যায়, সড়কের মান বৃদ্ধিই দেশের অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। বাংলাদেশকে এশিয়ার মানচিত্রে উন্নত ও নিরাপদ সড়ক যোগাযোগ সম্পন্ন একটি দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে হলে এখন থেকেই গুরুত্ব দিয়ে কাজ শুরু করতে হবে।

Where does Bangladesh stand in terms of road quality? According to a recent survey conducted by the World Economic Forum covering 138 countries, the United Arab Emirates (UAE) ranks first globally for having the best road infrastructure, while Madagascar ranks lowest. Bangladesh is placed at 113th position overall, making it the country with the poorest road quality in Asia.
This ranking highlights the significant challenges Bangladesh faces in developing its road infrastructure. Experts emphasize that comprehensive long-term planning and coordinated efforts among all stakeholders are essential to improve the situation. Upgrading road quality is crucial not only for economic growth but also for enhancing the quality of life for its citizens.
Among Asian countries, only Nepal ranks below Bangladesh, indicating that Nepal&rsquo;s road conditions are even more deteriorated. This data reflects broader infrastructural weaknesses and planning gaps prevalent in many developing Asian nations.
Singapore tops the list in Asia for road quality, holding the second position globally. Following Singapore are Japan and Taiwan, ranked 5th and 11th worldwide, respectively. South Korea and Malaysia rank 14th and 20th. China stands at 39th globally, showing consistent improvement; notably, China has the world&rsquo;s longest highway network, spanning approximately 85,000 kilometers.
Compared to other South Asian countries, Brunei and Sri Lanka have relatively better road conditions. India&rsquo;s ranking has improved to 51st, ahead of Thailand (60th) and Pakistan (77th). Despite various limitations, Bhutan ranks 80th, while Vietnam and Laos have lower rankings due to limited investment in road infrastructure. Cambodia is positioned at 93rd, with a notably low amount of roads in both urban and rural areas. Among East Asian countries, the Philippines&rsquo; road quality is comparatively poor.
Globally, road infrastructure plays a vital role in economic development and improving living standards. Efficient road networks facilitate faster and more reliable transportation of goods, thereby boosting trade and commerce. Conversely, poor road conditions cause delays, accidents, increased pollution, and adverse public health effects. Bangladesh&rsquo;s current road conditions exacerbate many of these issues.
Multiple factors hinder Bangladesh&rsquo;s road infrastructure development, including unplanned urbanization, inadequate maintenance, excessive vehicle loads, and a lack of coordination between planning and implementation. Furthermore, insufficient road safety measures contribute to rising accident rates.
The government has initiated several infrastructure projects to improve roads, including highway construction and expansion, bridge building, development of bypasses and ring roads, and modernization of the transport system. Successful implementation requires cooperation between public and private sectors.
Road infrastructure is indispensable for economic growth. A modern and safe road network stimulates domestic and international trade, promotes tourism, and creates employment opportunities. Investment in roads also enhances the country&rsquo;s competitiveness.
The state of roads directly affects people&rsquo;s daily lives, especially in rural areas, where poor connectivity hampers access to healthcare, education, and social services. Without improved road infrastructure, bridging the rural-urban divide remains a daunting challenge.
International organizations and development partners support Bangladesh&rsquo;s efforts to upgrade its road infrastructure. The adoption of advanced technologies and sound planning can significantly improve road construction and maintenance. Emphasis must also be placed on road safety and effective traffic management.
Environmental considerations are crucial in road development. Unplanned construction can harm ecosystems, so sustainable and eco-friendly approaches are necessary.
Building a modern, efficient, and sustainable road network is a pressing need for Bangladesh&rsquo;s progress. This will improve living standards across all segments of society and accelerate economic growth. It requires a collective effort and a shift in mindset among all stakeholders.
To overcome its low road quality ranking, Bangladesh needs strategic investments, efficient management, and the adoption of modern technologies. With a coordinated approach, the country can elevate its road infrastructure to international standards.
Keeping pace with ongoing global technological and economic changes, Bangladesh must develop a road network that supports all sectors of the economy. High-quality roads serve as foundational infrastructure for the country&rsquo;s comprehensive development.
In conclusion, improving road quality is key to Bangladesh&rsquo;s social and economic advancement. To establish itself as a country with safe and efficient road networks in Asia, focused and sustained efforts must begin immediately.

বাংলাদেশের রাস্তাঘাট এশিয়ায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট

Dhaka Correspondent: Where does Bangladesh stand in terms of road quality?

<h3>বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু: ক্রমবর্ধমান সংকট ও আমাদের ভবিষ্যৎ</h3>
 জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাংলাদেশ আজ এক ভয়াবহ মানবিক সংকটের মুখোমুখি। প্রতিবছর হাজার হাজার মানুষ তাদের বসতভিটা হারিয়ে জলবায়ু উদ্বাস্তুতে পরিণত হচ্ছেন। এই সমস্যা দিন দিন এমন ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে যে, বিশেষজ্ঞরা আশঙ্কা করছেন আগামী কয়েক দশকে এটি বাংলাদেশের অর্থনীতি ও সমাজ কাঠামোকে আমূল বদলে দিতে পারে।
সম্প্রতি প্রকাশিত বিশ্বব্যাংকের একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০৫০ সাল নাগাদ বাংলাদেশের প্রায় ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবে বাস্তুচ্যুত হতে পারেন। এই বাস্তুচ্যুতির প্রধান কারণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, নদীভাঙন এবং চরম আবহাওয়া ঘটনাকে।
উপকূলীয় অঞ্চলে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির প্রভাব সবচেয়ে মারাত্মক। নাসার গবেষণা অনুযায়ী, বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা প্রতি বছর ৩ থেকে ৮ মিলিমিটার হারে ডুবে যাচ্ছে। এই প্রক্রিয়ায় সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকাগুলোতে লবণাক্ত পানির অনুপ্রবেশ বেড়ে যাচ্ছে, যার ফলে কৃষিজমির উর্বরতা নষ্ট হচ্ছে। অনেক কৃষক তাদের ঐতিহ্যবাহী পেশা ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছেন।
নদীভাঙন বাংলাদেশের আরেকটি বড় সমস্যা। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) এক গবেষণায় দেখা গেছে, প্রতিবছর ১০ থেকে ১৫ হাজার মানুষ নদীভাঙনের শিকার হন। পদ্মা, মেঘনা ও যমুনা নদীর তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসরত মানুষদের জীবনযাত্রা আজ হুমকির মুখে। নদী তাদের ঘরবাড়ি, জমিজমা গ্রাস করছে, আর তারা ঢাকা, চট্টগ্রামের মতো বড় শহরে আশ্রয় নিচ্ছেন।
চরম আবহাওয়া ঘটনাও জলবায়ু উদ্বাস্তু সৃষ্টির একটি বড় কারণ। ২০২০ সালের ঘূর্ণিঝড় আম্পান এবং ২০২২ সালের সিত্রাংয়ের প্রভাবে খুলনা ও বরিশাল অঞ্চলের লক্ষাধিক মানুষ তাদের ঘরবাড়ি হারিয়েছেন। এই ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের পরিমাণ ও তীব্রতা দিন দিন বাড়ছে, যা এই সংকটকে আরও গভীর করছে।
এই সংকট মোকাবিলায় প্রয়োজন জরুরি ও দীর্ঘমেয়াদি পদক্ষেপ। জলবায়ু-সহিষ্ণু অবকাঠামো নির্মাণ একটি সম্ভাবনাময় সমাধান। সাতক্ষীরায় "টায়ার-ভিত্তিক উঁচু বাড়ি" প্রকল্প সফলভাবে বাস্তবায়িত হয়েছে, যা অন্যান্য উপকূলীয় অঞ্চলে প্রয়োগ করা যেতে পারে। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সহযোগিতাও অপরিহার্য। Loss and Damage Fund-এর মাধ্যমে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তা প্রদান এই সংকট মোকাবিলায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।
এছাড়াও, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য নগর পরিকল্পনা বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ। ঢাকার মতো বড় শহরগুলিতে ইতিমধ্যেই অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাপ সৃষ্টি হয়েছে। তাই, জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য ঢাকার আশেপাশে স্যাটেলাইট টাউন নির্মাণ একটি কার্যকর সমাধান হতে পারে।
জলবায়ু উদ্বাস্তুদের সমস্যা শুধু বাংলাদেশের নয়, এটি একটি বৈশ্বিক সংকট। এই সংকট মোকাবিলায় আমাদের দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে হবে। নইলে ভবিষ্যতে এর পরিণতি হবে ভয়াবহ।

<h3>Climate Refugees in Bangladesh: The Looming Crisis and Our Future</h3>
Bangladesh is facing a severe humanitarian crisis due to climate change, with thousands of people becoming climate refugees every year. The situation is escalating so rapidly that experts fear it could fundamentally alter the country's economic and social structure in the coming decades.
A recent World Bank report (2023) warns that by 2050, approximately 13 million people in Bangladesh could be displaced due to climate change. The primary drivers of this displacement include rising sea levels, river erosion, and extreme weather events.
Coastal areas are the hardest hit by rising sea levels. According to NASA, Bangladesh's coastal regions are sinking at a rate of 3 to 8 millimeters per year. This has led to increased saltwater intrusion in the Sundarbans region, rendering agricultural lands infertile. Many farmers are abandoning their traditional livelihoods and migrating to urban areas.
River erosion is another major issue. A study by the Bangladesh University of Engineering and Technology (BUET) reveals that 10,000 to 15,000 people are affected by river erosion annually. Those living along the banks of the Padma, Meghna, and Jamuna rivers are particularly vulnerable. As the rivers devour their homes and farmland, they are forced to seek refuge in major cities like Dhaka and Chittagong.
Extreme weather events also contribute significantly to the climate refugee crisis. Cyclones Amphan (2020) and Sitrang (2022) displaced hundreds of thousands in Khulna and Barishal. The frequency and intensity of such disasters are increasing, exacerbating the crisis.
Addressing this crisis requires both immediate and long-term solutions. Climate-resilient infrastructure, such as the successful "tire-based elevated homes" project in Satkhira, could be replicated in other vulnerable areas. International cooperation is also crucial, with initiatives like the Loss and Damage Fund playing a key role in supporting affected communities.
Urban planning is another critical aspect. Major cities like Dhaka are already overburdened by population pressure. Developing satellite towns for climate refugees on the outskirts of Dhaka could provide a sustainable solution.
The climate refugee crisis is not just Bangladesh's problem&mdash;it is a global challenge. Without urgent and effective action, the consequences will be devastating for future generations.

বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু: ক্রমবর্ধমান সংকট ও আমাদের ভবিষ্যৎ

Climate Refugees in Bangladesh: The Looming Crisis and Our Future

<h3 data-start="205" data-end="268">জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের পরিবেশ: সংকট, সম্ভাবনা ও করণীয়</h3>
 বাংলাদেশ বিশ্বের জলবায়ু পরিবর্তনের সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম, যদিও এই পরিবর্তনে দেশের অবদান অত্যন্ত নগণ্য। ভৌগোলিক অবস্থান, নিম্নাঞ্চলীয় ভূমি এবং ঘনবসতিপূর্ণ অঞ্চল হিসেবে বাংলাদেশ নিয়মিতভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগের মুখোমুখি হয়, যেমন&mdash;ঘূর্ণিঝড়, বন্যা, নদীভাঙন ও লবণাক্ততার অগ্রগতি। সম্প্রতি এসব প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রকোপ আরও বেড়েছে, যার প্রধান কারণ হচ্ছে বৈশ্বিক উষ্ণতা বৃদ্ধি ও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত অস্থিরতা।
খেয়াল করলে দেখা যাবে, বাংলাদেশের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোতে লবণাক্ততা ক্রমেই ছড়িয়ে পড়ছে। এর ফলে কৃষিকাজ বিঘ্নিত হচ্ছে, সুপেয় পানির সংকট দেখা দিচ্ছে এবং জীববৈচিত্র্যের ভারসাম্য মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সুন্দরবনের মতো ম্যানগ্রোভ বনও এ প্রভাব থেকে মুক্ত নয়। সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধির ফলে সুন্দরবনের নিম্নভূমি প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, যা রয়েল বেঙ্গল টাইগারের আবাসস্থলকেও হুমকির মুখে ফেলছে।
অন্যদিকে, উত্তরাঞ্চলে খরার প্রকোপ বাড়ছে। কৃষিজ উৎপাদনশীলতা কমে যাওয়ার পাশাপাশি মৌসুমি জলবায়ুর পরিবর্তনে কৃষকেরা দিশেহারা হয়ে পড়ছে। এমনকি শহরগুলোতেও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব স্পষ্ট&mdash;অতিরিক্ত গরম, বায়ু দূষণ, অপরিকল্পিত নগরায়ন এবং নির্মাণ কার্যক্রমে গাছপালা কেটে ফেলার ফলে শহরের পরিবেশ বাসযোগ্যতা হারাচ্ছে। ঢাকায় গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা আগের চেয়ে ২&ndash;৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেড়ে গেছে বলে গবেষণায় দেখা গেছে।
তবে সংকটের মধ্যেই সম্ভাবনার দ্বারও উন্মুক্ত রয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তি যেমন সৌর ও বায়ু বিদ্যুৎ, পরিবেশবান্ধব কৃষি পদ্ধতি এবং সবুজ অবকাঠামো নির্মাণে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য উন্নতি করতে পারে। দেশের যুবসমাজ, শিক্ষিত জনশক্তি ও স্থানীয় জ্ঞান এই পরিবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। আন্তর্জাতিক জলবায়ু তহবিল থেকেও বাংলাদেশ পর্যাপ্ত সহায়তা পেতে পারে, তবে এজন্য দরকার কার্যকর কূটনৈতিক উদ্যোগ ও স্বচ্ছ ব্যবস্থাপনা।
ন政策গতভাবে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন কার্যকর করা, গ্রীণ জোন বাড়ানো, প্লাস্টিক ব্যবহার নিয়ন্ত্রণ এবং শিল্পকারখানার বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নও জরুরি। সর্বোপরি, জনসচেতনতা বৃদ্ধি ও পরিবেশ শিক্ষা জাতীয় পাঠ্যক্রমে অন্তর্ভুক্তি জরুরি হয়ে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন শুধু বিজ্ঞান বা প্রকৌশলের বিষয় নয়; এটি এখন আর্থ-সামাজিক বাস্তবতা, যা আমাদের জীবনযাত্রা, স্বাস্থ্য ও ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে প্রভাবিত করছে।
বাংলাদেশ এখনো সময়ের মধ্যে আছে&mdash;যদি আমরা সমন্বিতভাবে সরকার, নাগরিক সমাজ, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলোকে নিয়ে একটি সুদূরপ্রসারী, বাস্তবভিত্তিক পরিবেশনীতি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন করতে পারি। অন্যথায়, ভবিষ্যতের বাংলাদেশ হয়তো আর এই রূপে বাসযোগ্য থাকবে না।

Climate Change and Bangladesh's Environment: Crisis, Potential, and Way Forward
Bangladesh stands among the most climate-vulnerable countries in the world, despite contributing minimally to global greenhouse gas emissions. Due to its geographic location, low-lying deltaic terrain, and high population density, the country faces frequent natural calamities such as cyclones, floods, river erosion, and saltwater intrusion. These phenomena have become more intense and unpredictable in recent years&mdash;driven largely by rising global temperatures and unstable climate patterns.
Coastal areas in Bangladesh are increasingly threatened by salinity intrusion, rendering large swathes of land uncultivable. Access to fresh drinking water is declining, and biodiversity is under stress. The Sundarbans, the world's largest mangrove forest and home to the endangered Royal Bengal Tiger, is also facing the onslaught of sea-level rise and saline encroachment, threatening both ecological and human security.
In the northern regions, droughts are becoming more frequent, adversely affecting crop yields and disrupting traditional agricultural calendars. Farmers are struggling to adapt to erratic rainfall and shifting seasons. Meanwhile, urban centers like Dhaka are witnessing worsening heatwaves, air pollution, and deteriorating livability. Reports suggest that summer temperatures in Dhaka have risen by 2&ndash;3&deg;C over the past two decades, pushing the limits of urban resilience.
Yet amid the crisis lies an opportunity for transformation. Renewable energy&mdash;particularly solar and wind&mdash;offers hope for a greener energy transition. Eco-friendly farming practices, green infrastructure, and sustainable urban planning can create a new model of development. Bangladesh&rsquo;s youth, skilled workforce, and indigenous knowledge systems can play vital roles in this transition. Accessing international climate finance, however, will require proactive diplomacy, transparency, and policy coherence.
Enforcing environmental protection laws, expanding green zones, regulating plastic use, and improving industrial waste management are essential steps. Public awareness campaigns and environmental education should be integrated into the national curriculum. Climate change is no longer just a scientific or engineering issue&mdash;it has become a socio-economic reality that affects our health, livelihoods, and the future of our children.
Bangladesh still has time&mdash;if we act collectively, involving government, civil society, academia, and international organizations, to design and implement a far-reaching and realistic environmental strategy. Otherwise, the Bangladesh we know today may not be livable tomorrow.

জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের পরিবেশ: সংকট, সম্ভাবনা ও করণীয়

Climate Change and Bangladesh's Environment: Crisis, Potential, and Way Forward

<h3 data-start="259" data-end="319">নগরায়ন ও পরিবেশ: বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের সংকট ও সমাধান</h3>
 বাংলাদেশের দ্রুত নগরায়ন এখন আর শুধুই উন্নয়নের প্রতীক নয়, বরং এটি পরিবেশ ও অর্থনীতির এক দ্বিমুখী চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মানুষ গ্রাম ছেড়ে শহরমুখী হচ্ছে, যার প্রধান কারণ কর্মসংস্থানের খোঁজ, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসেবা এবং নাগরিক সুযোগ-সুবিধা। কিন্তু এই অভ্যন্তরীণ জনসংখ্যা চাপ ঢাকা, চট্টগ্রামসহ বড় শহরগুলোর ওপর এমনভাবে পড়ছে যে, পরিবেশের ভারসাম্য সম্পূর্ণরূপে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে।
শহরের বাড়তি জনসংখ্যার কারণে প্রতিনিয়ত গাছপালা নিধন, জলাশয় ভরাট এবং নির্মাণকাজের বিস্তার ঘটছে। ফলস্বরূপ শহর হারাচ্ছে তার প্রাকৃতিক শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যবস্থাকে। বায়ু দূষণ, শব্দদূষণ, তাপমাত্রা বৃদ্ধি এবং জলাবদ্ধতা এখন নাগরিক জীবনের স্থায়ী সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ঢাকার বায়ু মান সূচক (AQI) বছরের প্রায় অর্ধেক সময়ই বিশ্বে অন্যতম নিকৃষ্ট থাকে, যা শিশু ও বয়স্কদের স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক হুমকি।
অর্থনৈতিক দিক থেকেও এই অস্বাভাবিক নগরায়নের ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে। অপরিকল্পিত নগরায়ন ও পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে উৎপাদনশীল শ্রমশক্তির কর্মক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে, স্বাস্থ্য খাতে ব্যয় বাড়ছে এবং যানজটের কারণে প্রতিদিন হাজার কোটি টাকার সমপরিমাণ কর্মঘণ্টা অপচয় হচ্ছে। বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী, শুধু যানজটের কারণে ঢাকায় প্রতিদিন প্রায় ৩২ লাখ কর্মঘণ্টা অপচয় হয়, যার বার্ষিক ক্ষতি প্রায় ৫০০ কোটি টাকার সমান।
শুধু ক্ষতি নয়, পরিবেশবান্ধব উন্নয়নের সুযোগও রয়েছে। যদি পরিকল্পিতভাবে নগর উন্নয়ন, ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থায় বৈপ্লবিক পরিবর্তন, সবুজ স্থাপত্য এবং পাবলিক স্পেসের উন্নয়ন করা যায়, তাহলে এ নগরগুলো হতে পারে আগামী দিনের &lsquo;সবুজ অর্থনীতির&rsquo; কেন্দ্র। বাংলাদেশে সৌর শক্তি ব্যবহার বৃদ্ধির উদ্যোগ, নদী পুনরুদ্ধার প্রকল্প এবং রেইন ওয়াটার হারভেস্টিং প্রযুক্তি প্রয়োগ&mdash;এসব ইঙ্গিত দেয় যে পরিবেশ ও অর্থনীতি একসাথে এগোতে পারে, যদি রাজনৈতিক সদিচ্ছা ও বিজ্ঞানভিত্তিক পরিকল্পনা থাকে।
সরকারি-বেসরকারি সমন্বয়, নগর পরিকল্পনাবিদদের কার্যকর সম্পৃক্ততা, এবং জনগণের পরিবেশ সচেতনতা এখন সময়ের দাবি। দেশের ভবিষ্যৎ কেবলমাত্র জিডিপি প্রবৃদ্ধি দিয়ে মাপা যাবে না; টেকসইতা, বাসযোগ্যতা এবং প্রাকৃতিক ভারসাম্য ধরে রাখা যে কোনো উন্নয়ন সূচকের অন্তর্ভুক্ত হওয়া উচিত। পরিবেশ যদি ধ্বংস হয়, তাহলে অর্থনীতিও হবে ভঙ্গুর; আর সে ভাঙনের শব্দ এখনই শোনা যাচ্ছে।

Urbanization and the Environment: Crisis and Pathways for Bangladesh&rsquo;s Sustainable Development
Bangladesh&rsquo;s rapid urbanization is no longer a mere symbol of development&mdash;it has evolved into a complex challenge intertwining environmental degradation and economic vulnerability. Every day, approximately 2,000 people migrate from rural to urban areas in search of employment, education, healthcare, and modern amenities. However, this intense internal migration is placing overwhelming pressure on cities like Dhaka and Chattogram, leading to a severe disruption in environmental equilibrium.
The surge in urban population has led to unrestrained deforestation, filling of natural water bodies, and relentless construction. As a result, the cityscapes are losing their ecological breathing spaces. Air pollution, noise pollution, rising temperatures, and chronic waterlogging have become permanent fixtures in urban life. In fact, Dhaka&rsquo;s air quality index (AQI) frequently ranks among the worst in the world for over half of the year&mdash;posing serious health threats, especially to children and the elderly.
Economically, the ramifications of this chaotic urbanization are deeply concerning. Unplanned development and environmental deterioration are reducing the productivity of the workforce, increasing healthcare expenditures, and causing immense economic losses due to traffic congestion. A study by BUET (Bangladesh University of Engineering and Technology) estimates that Dhaka loses nearly 3.2 million work hours daily due to traffic jams, amounting to an annual economic loss equivalent to over BDT 5 billion.
Despite the grim scenario, opportunities for green transformation exist. Planned urban development, radical shifts in public transport systems, eco-friendly architecture, and revitalization of public spaces could position these urban centers as future hubs of green economy. Initiatives like solar energy expansion, river restoration projects, and the adoption of rainwater harvesting technologies suggest that environmental sustainability and economic growth can progress hand in hand&mdash;provided there is political will and science-led planning.
The need of the hour is a coordinated strategy involving government, private sector, urban planners, and the public. Bangladesh&rsquo;s development cannot be measured by GDP growth alone; sustainability, liveability, and environmental balance must be integrated into national indicators of progress. If the environment collapses, the economy will falter too&mdash;and the tremors of that collapse are already being felt.

নগরায়ন ও পরিবেশ: বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের সংকট ও সমাধান

Urbanization and the Environment: Crisis and Pathways for Bangladesh’s Sustainable Development

<h3 data-start="255" data-end="340">পরিবেশ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ত্রিমাত্রিক চ্যালেঞ্জ</h3>
 বাংলাদেশের উন্নয়নচিত্র গত দুই দশকে আমূল বদলেছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন, বৈদেশিক রেমিট্যান্স ও শিল্পায়নের প্রসার অনেক ক্ষেত্রে আমাদের দক্ষিণ এশীয় প্রতিবেশীদের চেয়েও এগিয়ে রেখেছে। কিন্তু এই উন্নয়ন-ধারার ছায়ায় যে পরিবেশগত ক্ষয় এবং রাষ্ট্রনীতির দুর্বলতা ক্রমে জমে উঠছে, তা ভবিষ্যতের জন্য এক গভীর সংকেত। এই ত্রিমাত্রিক সংকট&mdash;পরিবেশ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি&mdash;আজ আমাদের উন্নয়নকে একটি কঠিন মোড়ের সামনে এনে দাঁড় করিয়েছে।
প্রথমত, পরিবেশগত দিক থেকে দেশ এক ভয়াবহ ভারসাম্যহীনতায় ভুগছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রত্যক্ষ প্রভাবে উপকূলীয় অঞ্চল লবণাক্ত হয়ে পড়ছে, পাহাড়ি এলাকায় ভূমিধ্বস বাড়ছে, আর শহরগুলো বায়ু ও শব্দ দূষণের বিষাক্ত ঘেরাটোপে বন্দী। বৃক্ষনিধন, নদী দখল, ভূগর্ভস্থ পানির নিঃশেষন ও উষ্ণায়নের ফলে প্রকৃতি যেন প্রতিশোধ নিচ্ছে। অথচ নীতিনির্ধারক মহল এখনও উন্নয়ন মানেই অবকাঠামো ও জিডিপি বাড়ানো মনে করে, যা পরিবেশের বিপরীতে গিয়ে দাঁড়ায়।
দ্বিতীয়ত, অর্থনীতিতে প্রবৃদ্ধির বিপরীতে দেখা যাচ্ছে বৈষম্য, দুর্নীতি ও কর্মসংস্থানের অভাব। &lsquo;গ্রোথ উইদাউট জবস&rsquo;&mdash;এই বাস্তবতা স্পষ্ট হয়ে উঠছে যখন দেখা যায়, বিপুল অবকাঠামো নির্মাণ হলেও শিক্ষিত যুবকদের একটি বড় অংশ বেকার। পরিবেশবিধ্বংসী প্রকল্পে বিদেশি বিনিয়োগ এলেও সেগুলোর দীর্ঘমেয়াদি টেকসইতা প্রশ্নবিদ্ধ। নদী শাসন, কয়লা ও গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র কিংবা শিল্পাঞ্চল&mdash;এসব প্রকল্প যতটা না অর্থনৈতিক মুক্তি দেয়, তার চেয়ে বেশি পরিবেশগত ক্ষয় ডেকে আনে।
তৃতীয়ত, রাষ্ট্রনীতি বা গভার্নেন্সের দুর্বলতা এই সমস্যাগুলোকে আরও জটিল করে তুলছে। পরিবেশ সংরক্ষণের আইন থাকলেও প্রয়োগ নেই। রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত গ্রহণে বৈজ্ঞানিক উপাত্তের ব্যবহার কম, এবং নাগরিক মতামত প্রায় অনুপস্থিত। পরিকল্পনা প্রণয়ন থেকে বাস্তবায়ন পর্যন্ত যে ধরণের স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও টেকসই দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োজন, তা প্রাথমিকভাবে অনুপস্থিত। পাশাপাশি, জলবায়ু তহবিল কিংবা আন্তর্জাতিক সহায়তা ব্যবহারে দুর্নীতি ও সুশাসনের ঘাটতি উন্নয়নের গতিকে অনির্ভরযোগ্য করে তুলেছে।
বাংলাদেশ এখন এমন এক সময় অতিক্রম করছে, যেখানে উন্নয়নকে অবশ্যই পরিবেশ এবং রাষ্ট্রীয় নীতির সঙ্গে সমন্বয় করে টেকসই করতে হবে। শুধুমাত্র অবকাঠামো বা অর্থনীতির সূচক দিয়ে ভবিষ্যৎ পরিমাপ করা যাবে না। বরং দেখতে হবে, এই উন্নয়ন কতটা পরিবেশবান্ধব, কতটা কর্মসংস্থান সৃষ্টি করছে এবং কতটা ন্যায্যতাভিত্তিক। রাষ্ট্রকে হতে হবে অংশগ্রহণমূলক, তথ্যনির্ভর ও পরিবেশ সচেতন। অন্যথায় এই অগ্রগতি দীর্ঘস্থায়ী হবে না, বরং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য রেখে যাবে এক বিষাক্ত পৃথিবী।

<h3 data-start="2557" data-end="2657">Environment, Economy, and Governance: Bangladesh's Trilateral Challenge for Sustainable Progress</h3>
 Bangladesh has witnessed a significant transformation in its development trajectory over the past two decades. Economic growth, infrastructural expansion, remittance inflow, and industrial development have, in many respects, outpaced several of its South Asian neighbors. Yet beneath this progress lies an emerging crisis&mdash;one that binds environmental degradation, economic imbalance, and policy-level weaknesses into a single, multidimensional challenge. Today, these three forces&mdash;environment, economy, and governance&mdash;converge to test the sustainability of Bangladesh&rsquo;s future.
Environmentally, the country is spiraling into deep ecological instability. Rising salinity in coastal areas, increased landslides in hill tracts, and extreme air and noise pollution in urban centers are direct manifestations of climate change and poor resource management. Deforestation, illegal river encroachments, depletion of groundwater, and heatwaves are turning nature into a reactive force. Yet, policymakers often continue to define development in terms of concrete structures and GDP numbers, sidelining ecological balance.
Economically, growth has not translated into equity or opportunity. Bangladesh is experiencing a form of &lsquo;growth without jobs,&rsquo; where flashy megaprojects rise, but a large section of educated youth remains unemployed. Foreign investments in environmentally hazardous sectors&mdash;such as coal-based power plants or river dredging&mdash;raise serious questions about long-term sustainability. These ventures may promise short-term gains, but their environmental costs are likely to outweigh economic benefits in the future.
The third and most binding concern is governance. Despite the presence of environmental protection laws, enforcement remains weak. Policy decisions often ignore scientific research and exclude citizen participation. There is a lack of transparency and accountability from the planning stage to execution. Moreover, climate finance and international aid are often mismanaged due to corruption and governance loopholes, making long-term development strategies unreliable and prone to elite capture.
Bangladesh now stands at a decisive crossroad. The nation must redefine development as an inclusive, participatory, and environmentally conscious process. No longer can GDP growth alone serve as the yardstick of progress. Instead, sustainability, employment generation, and equitable resource use must be central to national policies. Governance should be data-driven, transparent, and responsive to ecological realities. Without such recalibration, today's growth may become tomorrow&rsquo;s burden&mdash;leaving behind a toxic legacy for future generations.

পরিবেশ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ত্রিমাত্রিক চ্যালেঞ্জ

Environment, Economy, and Governance: Bangladesh's Trilateral Challenge for Sustainable Progress

"জলবায়ু সংকট ও বৈশ্বিক দায়িত্ব: কোথায় দাঁড়িয়ে পৃথিবী?"
বর্তমান বিশ্বে পরিবেশ সংকট আর শুধু বিজ্ঞানীদের গবেষণার বিষয় নয়&mdash;এটি এখন রাষ্ট্রনীতি, অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও মানবাধিকারের কেন্দ্রীয় ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিক্রিয়া এখন আর কোনো একক অঞ্চলের সীমায় সীমাবদ্ধ নেই; বরং এটি পৃথিবীর প্রতিটি রাষ্ট্র, সমাজ ও অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করছে। ২০২৪ সালে বিশ্বের নানা প্রান্তে রেকর্ড মাত্রার দাবদাহ, দাবানল, খরা ও ঘূর্ণিঝড় প্রমাণ করে দিচ্ছে যে পৃথিবী এখন এক জ্বলন্ত জরুরি অবস্থার মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে।
শত শত বছর ধরে শিল্পোন্নত দেশগুলো উন্নয়নের নামে যে হারে জীবাশ্ম জ্বালানি পোড়িয়েছে, তার ফল এখন ভোগ করছে দক্ষিণ গোলার্ধের দরিদ্র রাষ্ট্রগুলো। আফ্রিকার সাহেল অঞ্চল, দক্ষিণ এশিয়া, প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপপুঞ্জ&mdash;এগুলো সবচেয়ে কম কার্বন নির্গত করেও সবচেয়ে বেশি ক্ষতির শিকার হচ্ছে। বৈশ্বিক উষ্ণতা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, মরুকরণ এবং প্রাণীবৈচিত্র্যের বিলুপ্তি&mdash;এই সব প্রভাব একসঙ্গে মানুষের জীবন, জীবিকা ও জাতীয় নিরাপত্তাকে অস্থির করে তুলছে।
তবে শুধুই প্রকৃতির রোষ নয়&mdash;এই সংকটের পেছনে রয়েছে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক বৈষম্য। শিল্পোন্নত বিশ্ব জলবায়ু তহবিলের প্রতিশ্রুতি দিলেও তার বাস্তবায়ন হচ্ছে ধীরগতিতে, কখনোই প্রয়োজন অনুসারে নয়। জলবায়ু সম্মেলনগুলোতে (যেমন COP28) যতটা উচ্চারিত হয় &lsquo;ন্যায়সংগত রূপান্তর&rsquo; (Just Transition), বাস্তবে দেখা যায় গ্লোবাল সাউথের রাষ্ট্রগুলো ঋণ, প্রযুক্তি বাধা ও রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তাদের অভিযোজন পরিকল্পনা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হচ্ছে।
বিশ্বে এখনও ৭৫ শতাংশের বেশি কার্বন নিঃসরণ করে মাত্র ২০টি রাষ্ট্র। অথচ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে লাখ লাখ মানুষ যাদের এই সমস্যার সৃষ্টিতে কোনো দায়ই নেই। জলবায়ু অভিবাসন, খাদ্য নিরাপত্তাহীনতা ও পানির সংকট এখন বিশ্বের শান্তি ও মানবিকতা রক্ষার ক্ষেত্রে প্রধান হুমকি হয়ে দাঁড়িয়েছে। অনেক দ্বীপ রাষ্ট্র ইতোমধ্যেই তাদের অস্তিত্ব হুমকির মধ্যে দেখছে&mdash;যেমন মালদ্বীপ, টুভালু, কিরিবাতি ইত্যাদি।
তবে এ সংকটের মধ্যে দিয়ে সম্ভাবনার দ্বারও খোলা রয়েছে। নবায়নযোগ্য শক্তি, সবুজ প্রযুক্তি, প্রকৃতি-ভিত্তিক সমাধান এবং আন্তর্জাতিক জলবায়ু ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে এখনই সময় সাহসী পদক্ষেপ নেওয়ার। কিন্তু এর জন্য প্রয়োজন রাজনৈতিক সদিচ্ছা, গ্লোবাল গভার্নেন্সে পরিবর্তন, এবং শক্তিধর রাষ্ট্রগুলোর কার্যকর ভূমিকা। শুধুমাত্র বক্তৃতা নয়, এখন দরকার বাস্তবায়িত পরিকল্পনা, জলবায়ু অভিযোজন তহবিলের স্বচ্ছ বণ্টন এবং বৈজ্ঞানিক জ্ঞানভিত্তিক সিদ্ধান্ত গ্রহণ।
বাংলাদেশ, ভানুয়াটু, কেনিয়া বা পেরুর মতো দেশগুলোর জন্য এটা অস্তিত্বের লড়াই। তারা চায় না দয়া; তারা চায় ন্যায্যতা। জলবায়ু পরিবর্তনের এই দৌড় আর কেবল গ্রিনহাউস গ্যাস কমানোর প্রতিযোগিতা নয়&mdash;এটি এখন সভ্যতা রক্ষার সংগ্রাম। পৃথিবী কি এই সংকেত শুনতে পারবে? সময় ফুরিয়ে যাচ্ছে, কিন্তু আশা এখনো হারিয়ে যায়নি।

"Climate Crisis and Global Responsibility: Where Does the World Stand?"
In today&rsquo;s world, the environmental crisis is no longer confined to the laboratories or lecture halls of scientists&mdash;it has become a central issue of geopolitics, economics, human rights, and global security. Climate change is no longer a future possibility; it is a present-day emergency that is already reshaping the lives, landscapes, and livelihoods of billions. The record-breaking heatwaves, wildfires, droughts, and cyclones of 2024 serve as a stark reminder that Earth is undergoing an ecological upheaval.
For centuries, industrialized nations have burned fossil fuels at unprecedented rates, building wealth and infrastructure at the expense of planetary stability. Now, the consequences of that growth are being borne by the least responsible&mdash;developing nations of the Global South. Regions like the Sahel in Africa, South Asia, and the Pacific Islands face the gravest threats, including rising sea levels, desertification, biodiversity collapse, and extreme weather&mdash;all while contributing negligible emissions themselves.
Yet, this is not merely a natural disaster; it is a product of global inequality. Despite numerous pledges from the Global North to provide climate finance, the reality remains sluggish and insufficient. While conferences like COP28 champion phrases like "Just Transition," developing countries are left grappling with debt, limited access to green technology, and a lack of political leverage to implement meaningful adaptation.
Over 75% of global carbon emissions still come from just 20 countries. Meanwhile, millions of vulnerable people&mdash;who had no role in creating the problem&mdash;are being displaced, losing livelihoods, and facing hunger and water scarcity. Climate-induced migration and resource conflicts are emerging as existential threats to global peace and human dignity. Low-lying island nations like the Maldives, Tuvalu, and Kiribati are already witnessing the slow erosion of their sovereign territory.
Yet, even amidst crisis, there is hope. Renewable energy, nature-based solutions, green technology, and a reimagined system of global climate justice offer a pathway forward. But seizing that path requires bold leadership, reform in global governance structures, and a genuine shift in the political will of major powers. It is no longer enough to speak; we must act&mdash;with transparency, urgency, and equity.
For countries like Bangladesh, Vanuatu, Kenya, and Peru, this is not just an environmental issue&mdash;it is a fight for survival. They are not asking for charity; they are demanding justice. The race against climate change is no longer about emission cuts alone&mdash;it is a battle to preserve civilization itself. The question remains: will the world listen before time runs out?

Menu

পরিবেশ

সাম্প্রতিক পরিবেশ শিরোনাম

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ, কোথাও কমার আভাস

‘ওয়ান টাইম প্লাস্টিক’ ব্যবহার বন্ধের আহ্বান প্রধান উপদেষ্টার

ঢাকায় প্রতিদিন ২৩০ টন মানববর্জ্য মিশছে জলাশয়ে, টয়লেট সম্মেলনে তথ্য

‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থা নিয়ে দূষিত বায়ুর শহরের তালিকায় ঢাকা চতুর্থ

বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫: প্লাস্টিক দূষণ বন্ধে এখনই সময়

পরিবেশ, ভূরাজনীতি ও বৈশ্বিক অর্থনীতি: বাংলাদেশ কোন পথে?

বাংলাদেশের রাস্তাঘাট এশিয়ায় সবচেয়ে নিকৃষ্ট

বাংলাদেশে জলবায়ু উদ্বাস্তু: ক্রমবর্ধমান সংকট ও আমাদের ভবিষ্যৎ

জলবায়ু পরিবর্তন ও বাংলাদেশের পরিবেশ: সংকট, সম্ভাবনা ও করণীয়

নগরায়ন ও পরিবেশ: বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নের সংকট ও সমাধান

পরিবেশ, অর্থনীতি ও রাষ্ট্রনীতি: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের ত্রিমাত্রিক চ্যালেঞ্জ

"জলবায়ু সংকট ও বৈশ্বিক দায়িত্ব: কোথায় দাঁড়িয়ে পৃথিবী?"

দেশের বিভিন্ন এলাকায় বইছে মৃদু তাপপ্রবাহ, কোথাও কমার আভাস