<h2 data-start="153" data-end="245">আসামের &lsquo;মিয়া&rsquo; মুসলিমদের নিপীড়ন ও জোরপূর্বক বিতাড়নের ছায়া: একটি মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট</h2>
 ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বসবাসকারী বাংলাভাষী মুসলিম সম্প্রদায় আজ এক অদৃশ্য কিন্তু ক্রমবর্ধমান শোষণের শিকার। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে &lsquo;অবৈধ বাংলাদেশি&rsquo; হওয়ার, অথচ বহু প্রজন্ম ধরে তারা এই ভূমিতেই বসবাস করছেন, কাজ করছেন, জীবনযাপন করছেন। কিন্তু রাজ্য সরকারের ঘোষিত &lsquo;বিদেশি নাগরিক ধরপাকড়&rsquo; অভিযানের নামে অনেককেই বন্দিশিবিরে আটকে রেখে এবং জোর করে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের &lsquo;নো ম্যানস ল্যান্ড&rsquo;-এ ঠেলে দেওয়া হচ্ছে &mdash; যেখানে খাবার, পানীয়, আশ্রয় কিংবা নিরাপত্তার কোনো বন্দোবস্ত নেই।
২৩ মে ২০২৫ সালে ৬৭ বছর বয়সী আসামের আলী, যিনি জন্মের পর থেকে কখনো বাংলাদেশে পা দেননি, চার দিনের বন্দিশিবির থেকে তুলে এনে জোর করে সীমান্তের ওই দূষিত, জলমগ্ন স্থানেই ফেলে দেওয়া হয়। বিজিবি এবং স্থানীয় বাংলাদেশিরা বাধা দিলেও বিএসএফের নিপীড়ন চলে অবিরাম। আলীর চোখে আতঙ্ক আর যন্ত্রণার ছবি সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, যা একটি গভীর মানবিক সংকটের পরিচায়ক।
আলীর মতো আরও শত শত মানুষ&mdash;যাদের মধ্যে শিক্ষক, ট্রাক চালক, চা বাগানের শ্রমিক ও গৃহিণী&mdash;জোরপূর্বক ঠেলে দেওয়া হচ্ছে, যাদের নাগরিকত্ব সংক্রান্ত মামলা এখনও বিচারাধীন, এবং যারা নথিপত্রের অমিল বা খাটো ভুলের কারণে &lsquo;বিদেশি&rsquo; হিসেবে বর্ণিত হচ্ছেন। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মা নিজেই স্বীকার করেছেন, এ অভিযান আরও জোরদার হবে এবং &lsquo;আমাদের রাজ্যকে বাঁচাতে&rsquo; এ পদক্ষেপ জরুরি।
এর পেছনে আছে দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উত্তেজনা। আসামের আদিবাসী জনগোষ্ঠী তাদের ভাষা, সংস্কৃতি ও নিরাপত্তার হুমকি হিসেবে বাংলাভাষী মুসলিমদের দেখে আসছে, যা ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলের জমা দেওয়া জাতিগত বিভাজনের এক বিস্তার। ২০১৬ সালে বিজেপি আসামে ক্ষমতায় আসার পর থেকে এই বিভাজন আরও তীব্র হয়ে উঠেছে।
নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন (CAA) উভয়পক্ষে বিতর্কিত হয়ে ওঠে; যেখানে হিন্দু, সিখ, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ও জৈন সম্প্রদায়কে ২০১৪ সালের ৩১ ডিসেম্বরের আগে ভারতে প্রবেশ করলে সহজ নাগরিকত্ব দেয়া হয়, কিন্তু মুসলিমদের এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা হয়। এই বৈষম্যমূলক আইন ভারতীয় সংবিধানের মূলনীতির পরিপন্থী বলে অভিযোগ উঠেছে।
আসামের জাতীয় নাগরিকপঞ্জি (NRC) তালিকা থেকে প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাদ পড়েছে, যার অধিকাংশই মুসলিম। এই তালিকা প্রকাশের পর থেকেই ভারত সরকারের জোরপূর্বক বিতাড়ন শুরু হয়, যেখানে বন্দিশিবিরগুলো নির্মিত হয়েছে, যেখানে সারা জীবন বসবাসকারী বহু মানুষকে বন্দি করা হয়। তবে এই বন্দিশিবিরগুলোয় থাকা মানুষদের অধিকাংশের বিরুদ্ধে কোনো আপীল বা বিচার হয় না।
পুশ ইন বা জোরপূর্বক ঠেলে দেওয়ার প্রক্রিয়ায় ঠেলাঠেলি, মারধর, রাবার বুলেট ছোড়া ও গুলির হুমকি দিয়ে সীমান্তে ফেলে দেয়া হচ্ছে। যারা সীমান্ত পেরিয়ে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে আসার চেষ্টা করে, তাদের ওপর গুলি চালানোর ভয় দেখানো হয়। &lsquo;নো ম্যানস ল্যান্ড&rsquo; হয়ে দাঁড়ানো ওই জলাভূমি ও খোলা মাঠে মানুষের নিরাপত্তা, খাদ্য ও আশ্রয়ের কোনো ব্যবস্থা থাকে না। ফলে তীব্র শীত, গরম, অনাহার আর মানসিক অবসাদে বহু মানুষ মারাত্মক শারীরিক ও মানসিক কষ্ট ভোগ করছে।
এই মানবাধিকার লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে পশ্চিমবঙ্গের মতো কয়েকটি রাজ্য প্রতিবাদ করলেও মহারাষ্ট্র, গুজরাট ও আসামে সরকারের নীরব সমর্থন ও পুলিশি অভিযান অব্যাহত রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদের মানুষকেও একইভাবে বাংলাদেশি বলে ধরে ঠেলে দেয়ার ঘটনা ঘটেছে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ব্যাপারে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।
সীমান্তবর্তী বাংলাদেশও এই সমস্যার শিকার। তারা অসংখ্য ভারতীয় নাগরিককে উদ্ধার করেছে, কিন্তু একই সঙ্গে অসংখ্য লোক সীমান্তের সাদাপোশাকধারী স্থানীয়দের মাধ্যমে &lsquo;হাইওয়ে&rsquo;তে ফেলে দেওয়া হচ্ছে, যেখানে তাদের জীবন অস্থিতিশীল।
একদিকে ভারতীয় প্রশাসনের কঠোর পদক্ষেপ, অন্যদিকে সীমান্তবর্তী বাংলাদেশের সীমাবদ্ধতার মধ্যে আটকে থাকা এসব মানুষের ভাগ্য মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইনের বড় প্রশ্নচিহ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আসামের মুসলিম সম্প্রদায় &lsquo;মিয়া&rsquo; নামে একটি অপমানজনক শব্দের শিকার, যা তাদের জন্য &lsquo;বাংলাদেশি&rsquo; হিসেবে ব্যবহার করা হয় এবং সেই কারণে তাদের অধিকার হরণ করা হয়। বহু মানুষ এক প্রজন্মেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় ভূমিতেই বসবাস করছে, তবু তাদের ওপর অবিচার ও বৈষম্যের হানা অব্যাহত।
এই সংকট শুধু আসামের নয়, গোটা ভারতীয় উপমহাদেশের বহুত্ববাদ ও ধর্মনিরপেক্ষতার প্রতি বড় আঘাত। জাতিগত ও ধর্মীয় পরিচয়ের নামে মানুষকে &lsquo;অবৈধ&rsquo; ঘোষণা করে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপে বিতাড়ন, ধর্মীয় নির্যাতনের অভিযোগ, নাগরিকত্বের প্রশ্ন&mdash;এসব মিলিয়ে এক নতুন ধরনের &lsquo;অভিবাসী&rsquo; সমস্যা তৈরি হয়েছে, যা আঞ্চলিক নিরাপত্তার জন্যও বড় চ্যালেঞ্জ।
বিস্তারিত এই সংকট থেকে উদ্ধার ও শান্তির পথের সন্ধান ছাড়া, এই অঞ্চলের মানুষের জীবন ও অধিকার কতদূর নিরাপদ থাকবে তা অজানা।

<h2 data-start="193" data-end="273">The Plight of Assam&rsquo;s &lsquo;Miya&rsquo; Muslims: A Humanitarian and Political Crisis</h2>
 The Bengali-speaking Muslim community residing in Assam, a northeastern state of India, faces an invisible yet intensifying wave of persecution. Despite many having lived in the region for generations&mdash;working, raising families, and contributing to society&mdash;they are increasingly labeled as &ldquo;illegal Bangladeshis.&rdquo; The Assam government&rsquo;s crackdown under the guise of a &lsquo;foreigners&rsquo; detention campaign&rsquo; has resulted in hundreds being detained in detention camps and forcibly pushed into the no-man&rsquo;s land along the India-Bangladesh border&mdash;an area devoid of food, shelter, or protection.
On May 23, 2025, Ali, a 67-year-old man from Assam who claims never to have set foot in Bangladesh, was forcibly taken from a detention center and abandoned in this harsh, flooded zone. Although the Border Guard Bangladesh (BGB) and local Bangladeshis protested to stop this, the Indian Border Security Force (BSF) continued to mistreat and threaten the deportees. The harrowing image of Ali&rsquo;s terrified face became viral on social media, highlighting the human cost of this crisis.
Hundreds more, including teachers, truck drivers, tea garden laborers, and homemakers, are being subjected to forced deportation. Many have ongoing legal battles concerning their citizenship, but discrepancies in official documents have led courts to declare them foreigners. Assam&rsquo;s Chief Minister, Himanta Biswa Sarma, has admitted the government plans to intensify these deportations, citing a need to &ldquo;save&rdquo; the state.
This crisis has deep political, social, and cultural roots. The indigenous Assamese population sees the Bengali-speaking Muslims as a threat to their language, culture, and security&mdash;a tension dating back to British colonial times. The rise of the Bharatiya Janata Party (BJP) in Assam since 2016 has further inflamed these divisions.
The Citizenship Amendment Act (CAA) of 2019, widely criticized as discriminatory, grants citizenship to non-Muslim immigrants from neighboring countries who arrived before December 31, 2014, while excluding Muslims. This law contradicts India&rsquo;s secular constitution and has triggered widespread protests nationwide.
Assam&rsquo;s National Register of Citizens (NRC) excluded nearly 2 million residents, mostly Muslims, from its final list. Following this, forced evictions began in earnest, with hundreds imprisoned in detention centers often without access to proper legal recourse.
The pushback or forcible deportation involves violent methods: beatings, rubber bullets, and threats of live fire by BSF personnel. Those attempting to return to their homes are met with gunfire warnings. Stranded in no-man&rsquo;s land&mdash;marshy, exposed, and perilous&mdash;these people endure extreme weather, hunger, and psychological trauma.
While some states like West Bengal have protested these actions, police operations continue unabated in Maharashtra, Gujarat, and Assam, with authorities labeling Bengali-speaking Muslims as illegal Bangladeshis. West Bengal&rsquo;s Chief Minister Mamata Banerjee has condemned the police handing over Indian citizens to BSF without coordination with the state government.
Bangladesh also faces challenges, rescuing many Indian citizens but also witnessing them abandoned by local border guards and civilians on highways without support, leaving their futures uncertain.
This dire humanitarian and legal predicament raises profound questions about human rights and international law compliance. The derogatory term &ldquo;Miya&rdquo; is used to demean Assamese Bengali Muslims, equating them with illegal immigrants regardless of their long-standing ties to the land.
This crisis transcends Assam, posing a threat to the pluralistic and secular fabric of the entire Indian subcontinent. State-led ethnic and religious profiling, forced deportations, and citizenship revocations create a new kind of migrant problem that jeopardizes regional security and social cohesion.
Without a peaceful resolution that respects human rights and cultural diversity, the lives and liberties of millions in this region remain at grave risk.

আসামের ‘মিয়া’ মুসলিমদের নিপীড়ন ও জোরপূর্বক বিতাড়নের ছায়া: একটি মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট

The Plight of Assam’s ‘Miya’ Muslims: A Humanitarian and Political Crisis

<h3 data-start="208" data-end="307">ইসরায়েলি হামলার ছায়ায় ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা জোরদার: কুর্দিস্তান অঞ্চল কেন্দ্রবিন্দুতে</h3>
 ইসরায়েল ও ইরানের মধ্যকার সাম্প্রতিক সংঘাত সাময়িক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছালেও, এর রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া থেমে নেই। যুদ্ধবিরতি ঘোষণার পরপরই ইরান সরকার দেশের অভ্যন্তরে ব্যাপক নিরাপত্তা তৎপরতা শুরু করে, বিশেষ করে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এবং রাজনৈতিকভাবে অস্থির কুর্দিস্তান অঞ্চলে। সরকারি বাহিনী ব্যাপক চেকপয়েন্ট জোরদার করেছে, অসংখ্য গ্রেপ্তার পরিচালনা করেছে এবং কার্যত একটি ভয়ভীতির পরিবেশ তৈরি করেছে&mdash;যার মাধ্যমে অভ্যন্তরীণ প্রতিবাদ দমন ও রাষ্ট্রীয় কর্তৃত্ব পুনঃপ্রতিষ্ঠার প্রয়াস লক্ষ্য করা যাচ্ছে।
সূত্র অনুযায়ী, ১৩ জুন ইসরায়েলি বিমান হামলা শুরু হওয়ার পরপরই ইরানের নিরাপত্তা বাহিনী দেশজুড়ে রাস্তাঘাটে অবস্থান জোরদার করে। কুর্দিস্তানসহ বিভিন্ন অঞ্চলে শুরু হয় সন্দেহভাজন ও সমালোচকদের বিরুদ্ধে গণগ্রেপ্তার। একাধিক আন্দোলনকারী ও নিরাপত্তা সূত্র জানায়, এই তৎপরতা মূলত সম্ভাব্য বিদ্রোহ দমনে প্রস্তুতির অংশ। আন্দোলনকারীরা অভিযোগ করেছেন, ইসলামিক প্রজাতন্ত্র পরিস্থিতিকে &lsquo;সাম্প্রতিক যুদ্ধের অভিঘাত&rsquo; হিসেবে ব্যাখ্যা করে কঠোর দমনপীড়নের যৌক্তিকতা তৈরির চেষ্টা করছে।
তবে যুদ্ধ ও নিরাপত্তাহীনতার ভেতরে ইরানে গণ-আন্দোলনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে অনেকে আশা করেছিলেন। ইসরায়েলের অনেক পর্যবেক্ষক এবং প্রবাসী বিরোধী রাজনৈতিক গোষ্ঠীগুলো আশা করেছিল&mdash;যুদ্ধের চাপে জনগণ রাস্তায় নেমে আসবে, এবং এর মাধ্যমে ইরানের ইসলামিক শাসনের পতনের পথ খুলে যাবে। কিন্তু বাস্তবতা হয়েছে সম্পূর্ণ বিপরীত। জনগণের বৃহৎ অংশ নিশ্চুপ রয়েছে&mdash;একদিকে রাষ্ট্রীয় দমন, অন্যদিকে সাম্প্রতিক সংঘর্ষকে কেন্দ্র করে শাসকের বিরুদ্ধে কথা বলার ঝুঁকি বিবেচনায় তারা সতর্ক।
 ২০২২ সালের গণআন্দোলনে অংশ নেওয়া এক অধিকারকর্মী রয়টার্সকে বলেন, &ldquo;বর্তমান পরিস্থিতিতে আমাদের মনোভাব অনেক বেশি সতর্ক। আমরা জানি, শাসকগোষ্ঠী এই সংকটকে ব্যবহার করতে পারে কোনো নতুন নিষেধাজ্ঞা বা জেল-জরিমানার পথ তৈরির জন্য।&rdquo; তিনি আরও জানান, নিরাপত্তা বাহিনী আন্দোলনকারীদের ফোন করে হুমকি দিচ্ছে বা জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডেকে নিচ্ছে&mdash;যা এক প্রকার মানসিক নিপীড়ন হিসেবেই কাজ করছে।
ইরানভিত্তিক অধিকার সংস্থা HRANA জানিয়েছে, যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০৫ জন নাগরিককে রাজনৈতিক অথবা নিরাপত্তাজনিত অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, অনেককে "ইসরায়েলের পক্ষে গুপ্তচরবৃত্তির" অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়েছে, যদিও এসব অভিযোগের পেছনে যথাযথ প্রমাণ বা আদালতের প্রক্রিয়া নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।
অন্যদিকে, রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে&mdash;ইরানের উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের উরমিয়া শহরে তিনজন ব্যক্তিকে &ldquo;মোসাদের সঙ্গে যোগসাজশ এবং হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি চোরাচালানের&rdquo; দায়ে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে। তবে মানবাধিকার সংস্থা হেঙ্গাও দাবি করেছে, তিনজনের সবাই কুর্দি এবং বিচারিক প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা ছিল না।
কুর্দি গোষ্ঠীগুলো ইতিহাসজুড়ে ইরানে সংবিধানগত অধিকার ও স্বায়ত্তশাসনের দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে এসেছে। রাষ্ট্রের চোখে এই অঞ্চল &lsquo;হুমকির উৎস&rsquo; হওয়ায় সেখানে অতিরিক্ত নজরদারি, সেনা মোতায়েন ও রাজনৈতিক নির্যাতন পুরোনো বাস্তবতা।
 বিশ্লেষকরা বলছেন, যুদ্ধ পরিস্থিতির পর ইরানের বর্তমান অভ্যন্তরীণ নীতি বেশ কৌশলগত। একদিকে তারা ইসরায়েলের সঙ্গে সরাসরি সংঘাতে জড়িয়ে পড়েছে, অন্যদিকে অভ্যন্তরীণ অস্থিরতা দমন করে একটি "একতাবদ্ধ" রাষ্ট্রীয় চেহারা দেখাতে চায়। তবে এর ফলে রাজনৈতিক মুক্তি, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও সংখ্যালঘু অধিকার আরও সংকুচিত হচ্ছে বলেও মত দিয়েছেন আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংগঠনগুলো।
রয়টার্সের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে ইরানের স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্তব্য চাওয়া হলেও কোনো তাৎক্ষণিক সাড়া পাওয়া যায়নি।
সবমিলিয়ে, ইরান এখন দুটি যুদ্ধের মধ্যে&mdash;একটি বাহ্যিক এবং আরেকটি অভ্যন্তরীণ। বাহ্যিক যুদ্ধ হচ্ছে ইসরায়েলের সঙ্গে, আর অভ্যন্তরীণ যুদ্ধ হচ্ছে রাষ্ট্রের নিজের জনগণের সঙ্গে নিয়ন্ত্রণের কৌশল নিয়ে। যতক্ষণ না পর্যন্ত সংলাপ, মানবাধিকার রক্ষা ও রাজনৈতিক সংস্কার এগিয়ে আনা হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত এই দুই যুদ্ধের শেষ কোথায় গিয়ে ঠেকবে&mdash;তা কেউই নিশ্চিত করে বলতে পারছে না।

<h3 data-start="146" data-end="252">Iran Tightens Domestic Security Amid Ceasefire with Israel: Crackdown in Kurdistan Under Spotlight</h3>
 Following the recent ceasefire in the Israel-Iran conflict, Iran's focus appears to have shifted inward. The Iranian authorities have intensified internal security measures, marked by mass arrests, military deployments, and a crackdown on dissidents, especially in the country&rsquo;s restive Kurdish regions. According to officials and activists, this shift highlights Tehran&rsquo;s intention to prevent any domestic unrest in the aftermath of external tensions.
Security operations began shortly after Israeli airstrikes commenced on June 13. Iranian forces established more checkpoints and launched widespread arrest campaigns across key cities. Activists report that the regime is using the ongoing tension as a pretext to suppress potential dissent and reassert control in volatile areas.
Opposition groups, including Israeli commentators and exiled Iranian factions, had speculated that the airstrikes might ignite a popular uprising inside Iran. They hoped that public outrage over the strikes and Iran&rsquo;s leadership would lead to widespread protests or even the collapse of the Islamic regime. However, no significant protests have emerged. Fear of retaliation, tighter surveillance, and a stronger security presence have kept the streets largely quiet.
One activist from the 2022 protests told Reuters, &ldquo;Many of us are being cautious now. We know the government might use this situation as justification for harsher measures. I've seen people summoned, threatened, or even arrested just for expressing opinions.&rdquo;
According to HRANA, a human rights organization based in Iran, at least 705 individuals have been arrested since the onset of the Israel conflict, primarily on charges related to national security or alleged espionage for Israel. The accusations have raised serious concerns about due process and the rule of law.
The Iranian judiciary has also executed three individuals in Urmia, near the Turkish border, alleging ties with Israel&rsquo;s Mossad and smuggling equipment used in assassinations. Kurdish human rights group Hengaw reported that all three executed individuals were ethnic Kurds and claimed the trials lacked transparency.
Ethnic Kurds have long faced political discrimination in Iran, and regions like Kurdistan are often treated as hotspots for &ldquo;foreign-backed subversion.&rdquo; Experts note that Tehran&rsquo;s intensified focus on these areas reflects its fear of both internal rebellion and external manipulation, especially from groups like the People&rsquo;s Mujahedin Organization, which Iran accuses of planning past attacks.
Despite the external conflict, Iran&rsquo;s streets remain subdued. Many activists believe this is not due to support for the regime, but rather fear, surveillance, and the militarization of civil life. &ldquo;People are silent, not because they agree, but because the cost of dissent has become too high,&rdquo; one protestor said.
Iran&rsquo;s approach appears to combine military resilience abroad with strict authoritarian control at home. While it faces a technologically superior adversary in Israel, Tehran is attempting to maintain the image of unity and control domestically. Analysts believe this dual approach may provide short-term stability but could deepen long-term discontent.
Reuters reached out to Iran's interior and foreign ministries for comment, but no immediate response was received.
In conclusion, Iran currently stands in the midst of two parallel conflicts&mdash;one external with Israel, and one internal with its own population. Without genuine political reform and human rights protections, the risk of deeper instability will continue to loom, regardless of military strength.

যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অভিযানের দিকে ঝুঁকেছে ইরান

Iran Tightens Domestic Security Amid Ceasefire with Israel: Crackdown in Kurdistan Under Spotlight

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইস জানিয়েছেন, রাখাইনে মানবিক করিডোর গঠনের বিষয়টি সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করছে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার সরকারের সম্মতির ওপর। উভয় দেশ যদি একমত হয়, তাহলে এটি বাস্তবায়ন সম্ভব হবে এবং সেক্ষেত্রে জাতিসংঘ প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিতে প্রস্তুত। তবে জাতিসংঘ নিজে থেকে কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবে না।
জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে &lsquo;ডিপ্লোম্যাটিক করেসপন্ডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন, বাংলাদেশ (ডিকাব)&rsquo; আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে গোয়েন লুইস জানান, জাতিসংঘ আগামী জাতীয় নির্বাচনে কারিগরি সহায়তা দিতে আগ্রহী। তবে নির্বাচন কবে হবে, তা নির্ধারণ করবে বাংলাদেশের সরকার এবং জনগণ। জাতিসংঘ এ বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আরোপ করবে না।
রাখাইনে জাতিসংঘের ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বর্তমানে সেখানে প্রবেশ করা অত্যন্ত কঠিন এবং অনেক চ্যালেঞ্জের মুখে। এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ আকর্ষণ করা জরুরি।
রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়ে তিনি বলেন, জাতিসংঘ সবসময় রোহিঙ্গাদের নিরাপদ প্রত্যাবাসনের পক্ষে এবং এ সংকটের একটি রাজনৈতিক সমাধান প্রত্যাশা করে। এটি আর শুধু বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নয়, বরং একটি বৈশ্বিক ইস্যুতে পরিণত হয়েছে। জাতিসংঘ রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষায় বিভিন্ন ধরনের সহায়তা অব্যাহত রেখেছে।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সরকারের যেসব সংস্কার উদ্যোগ রয়েছে, জাতিসংঘ সেগুলোর প্রতি সমর্থন জানায়। তবে কোন খাতে সংস্কার প্রয়োজন, তা নির্ধারণ করার এখতিয়ার সরকারের।
"নির্বাচন আগে, নাকি সংস্কার আগে&mdash;জাতিসংঘ কী চায়?" এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এ বিষয়ে জাতিসংঘের কোনো অবস্থান নেই। এটি সরকারের এবং জনগণের ওপর নির্ভর করছে।
ঢাকায় জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিস স্থাপন প্রসঙ্গে গোয়েন লুইস জানান, এ উদ্যোগ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে এবং শিগগিরই ছোট পরিসরে এটি চালু করা হবে।
আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে মন্তব্য করা তার দায়িত্ব নয়। এটি সরকারের বিষয় এবং সামগ্রিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে সরকারকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীদের অবদান অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষত লাইবেরিয়া ও কঙ্গোর মতো চ্যালেঞ্জিং অঞ্চলে তারা প্রশংসনীয়ভাবে দায়িত্ব পালন করছেন।

United Nations Resident Representative in Bangladesh, Gwyn Lewis, has stated that the establishment of a humanitarian corridor in Rakhine entirely depends on the consent of both the governments of Bangladesh and Myanmar. If both nations agree, its implementation would be possible, and the UN stands ready to provide necessary support. However, she emphasized that the UN will not make any unilateral decision on this matter.
She made these remarks at an event organized by the Diplomatic Correspondents Association, Bangladesh (DCAB), held at the VIP Lounge of the National Press Club.
In response to a question from journalists, Gwyn Lewis said that the United Nations is interested in providing technical support for the upcoming national election in Bangladesh. However, the timing of the election will be decided by the government and the people of Bangladesh. The UN will not impose any decision in this regard.
Regarding humanitarian operations in Rakhine, she noted that gaining access there has become extremely difficult and remains highly challenging. She urged the international community to pay attention to this issue.
On the Rohingya crisis, she said the UN supports the safe repatriation of Rohingyas and hopes for a political resolution to the crisis. It is no longer just a domestic issue for Bangladesh but has evolved into a global concern. The UN continues to provide various forms of assistance to protect the lives of the Rohingya people.
She also stated that the UN supports the reform initiatives taken by the current government of Bangladesh. However, it is up to the government to decide which areas require reform.
When asked whether the UN prefers reforms before elections or vice versa, she responded that this is not a matter for the UN to decide&mdash;it is entirely up to the government and the people of Bangladesh.
Regarding the establishment of a UN human rights office in Dhaka, Gwyn Lewis said that the initiative has reached its final stage and will be launched soon on a small scale.
When questioned about the possibility of banning the Awami League, she said that it is not her place to comment. This is a matter for the government, which must make decisions based on the overall political situation.
She further noted the significant contributions of Bangladeshi peacekeepers in UN peacekeeping missions, particularly in challenging environments like Liberia and the Congo, and praised their efforts.

"রাখাইনে মানবিক করিডোর বাস্তবায়ন নির্ভর করছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্মতির ওপর: গোয়েন লুইস"

"UN’s Gwyn Lewis: Humanitarian Corridor in Rakhine Depends on Bangladesh-Myanmar Consent"

<h3 data-start="158" data-end="260">যুক্তরাষ্ট্রের হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় ভয়াবহ ক্ষতি: সিআইএ প্রধানের দাবি ও প্রতিক্রিয়া</h3>
 সম্প্রতি ইরানের তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের বিমান হামলার পর গোটা মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে উত্তেজনা আরও বেড়ে গেছে। পরিস্থিতির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা (সিআইএ)-এর পরিচালক জন র&zwj;্যাটক্লিফের বক্তব্য, যেখানে তিনি বলেন, &ldquo;এই হামলায় ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং এর ফলে ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক বছর পিছিয়ে গেছে।&rdquo;
এই বক্তব্য এমন এক সময় এসেছে, যখন মার্কিন গোয়েন্দা প্রতিবেদন ফাঁস হয়ে গিয়েছে এবং সেই প্রতিবেদনে বলা হয়েছিল যে, হামলার প্রভাব খুবই সীমিত এবং ইরানের পারমাণবিক অবকাঠামো বেশিরভাগটাই অক্ষত রয়েছে। এমন মূল্যায়ন প্রকাশ্যে আসার পরই প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্ষোভে ফেটে পড়েন এবং সংবাদমাধ্যমগুলোকে দায়ী করে তাদের &lsquo;ভুয়া সংবাদ প্রচারকারী&rsquo; হিসেবে অভিযুক্ত করেন। ট্রাম্প বলেন, &ldquo;এই প্রতিবেদনের তথ্যগুলো ভুয়া এবং ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে।&rdquo; এরপর সিআইএ প্রধানের এমন তীব্র বক্তব্যকে অনেকেই প্রেসিডেন্টের রাজনৈতিক অবস্থান দৃঢ় করার কৌশল হিসেবে দেখছেন।
সিআইএ পরিচালক জন র&zwj;্যাটক্লিফ সরাসরি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত সফলভাবে ইরানের একাধিক পারমাণবিক স্থাপনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফোর্দো, নাতাঞ্জ ও ইসফাহান। যদিও তিনি স্বীকার করেন, ইরানের পুরো পারমাণবিক কর্মসূচি এখনো নির্মূল হয়নি। এর ফলে প্রশ্ন উঠেছে, সত্যিই কি ইরানের পরমাণু সক্ষমতা দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে, নাকি এই বক্তব্য কেবল রাজনৈতিক অবস্থান রক্ষার চেষ্টা?
 এই বিতর্কিত মন্তব্যের প্রেক্ষিতে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেন, &ldquo;গোয়েন্দা প্রতিবেদনে &lsquo;কম আত্মবিশ্বাসের&rsquo; ভিত্তিতে বিশ্লেষণ করা হয়েছিল। এই ধরনের হামলার ফলাফল তাৎক্ষণিকভাবে নির্ধারণ করা কঠিন, বিশেষ করে যখন টার্গেট ভূগর্ভস্থ এবং বহুস্তরবিশিষ্ট নিরাপত্তা বলয়ে আবদ্ধ।&rdquo;
এদিকে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ (আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা) জানিয়েছে, হামলার পর ইরান হয়তো উচ্চ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম অন্যত্র সরিয়ে নিতে পারে। সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসি বলেন, &ldquo;আমরা নিশ্চিত করতে পারি না ইরানের পারমাণবিক কার্যক্রম কতখানি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, তবে সম্ভাবনা রয়েছে ইরান তাদের গুরুত্বপূর্ণ উপাদান অন্যত্র সরিয়ে ফেলেছে।&rdquo;
উল্লেখযোগ্য যে, স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে ফোর্দো ও ইসফাহানের স্থাপনাগুলোর আশেপাশে বিস্ফোরণের গর্ত রয়েছে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এগুলোর ভেতরে অবস্থিত গোপন ল্যাব ও সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র কতটা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যায় না, কারণ সেগুলো ভূগর্ভস্থ এবং ভারী বাঙ্কারে আবদ্ধ।
অন্যদিকে, ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ইসমাইল বাঘাই আল&ndash;জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেছেন, &ldquo;আমাদের স্থাপনাগুলো বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়েছে, তবে বিস্তারিত তথ্য এখনো যাচাই করা হচ্ছে।&rdquo; তাঁর এই মন্তব্য থেকে ইঙ্গিত মেলে, ইরান এখনো পুরো ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা নির্ধারণে সময় নিচ্ছে এবং হয়তো আন্তর্জাতিক প্রতিক্রিয়ার কথা বিবেচনা করেই তারা কৌশল নির্ধারণ করবে।
 এই ঘটনাবলির মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে&mdash;যুক্তরাষ্ট্র ও ইরানের মধ্যে পুনরায় আলোচনায় বসার সম্ভাবনা। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজেই জানিয়েছেন, আগামী সপ্তাহে এক সম্ভাব্য আলোচনায় ইরানকে পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা পরিত্যাগের প্রতিশ্রুতি দিতে বলবেন। যদিও তেহরানের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সম্মতি এখনো মেলেনি।
উল্লেখ্য, এই সামরিক অভিযানে যুক্তরাষ্ট্রের ১২৫টি যুদ্ধবিমান অংশ নেয়, যা সাম্প্রতিক ইতিহাসে অন্যতম বৃহৎ ও সুসমন্বিত হামলা বলে বিবেচিত হচ্ছে। যদিও হামলার বাস্তব ফলাফল নিয়ে মতভেদ রয়েছে, তবে এটা স্পষ্ট যে, মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের ঝুঁকি আবারও প্রকট হয়ে উঠেছে এবং কূটনৈতিক সমাধানের পথ এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে।
সামগ্রিকভাবে, এই হামলা এবং তা ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের অভ্যন্তরীণ বিভাজন, ইরানের সম্ভাব্য প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের ভূমিকা&mdash;সব মিলিয়ে পারমাণবিক কূটনীতি নতুন মোড়ে পৌঁছেছে। বিশ্ব এখন অপেক্ষা করছে এই উত্তপ্ত পরিস্থিতি কি একটি বড় সংঘাতে রূপ নেবে, না কি নতুন আলোচনার দ্বার খুলবে।

<h3 data-start="160" data-end="244">Iran&rsquo;s Nuclear Sites &ldquo;Severely Damaged&rdquo; by U.S. Strikes, Claims CIA Director</h3>
In the wake of recent U.S. airstrikes on Iran's key nuclear facilities, CIA Director John Ratcliffe has claimed that the attacks caused &ldquo;severe damage&rdquo; to Tehran&rsquo;s nuclear infrastructure, potentially setting back its nuclear program by several years. His remarks come amid growing global scrutiny and contrasting intelligence assessments that have stirred debate both within the United States and abroad.
The strikes, carried out on Iran&rsquo;s Fordow, Natanz, and Isfahan nuclear sites, involved 125 U.S. military aircraft in what is considered one of the most extensive coordinated aerial operations in recent times. However, shortly after the operation, leaked intelligence assessments suggested that the impact may have been limited, indicating that much of Iran&rsquo;s nuclear infrastructure remained intact. This triggered a sharp response from President Donald Trump, who accused U.S. media of misrepresenting facts and undermining the success of the mission. Trump labeled the reports as &ldquo;fake news&rdquo; and criticized the press for spreading &ldquo;false and misleading narratives.&rdquo;
In response, Director Ratcliffe emphasized that the CIA has credible evidence confirming significant damage to Iran&rsquo;s underground facilities. However, he stopped short of declaring the complete destruction of the nuclear program, acknowledging that some elements might have survived or been relocated.
Defense Secretary Pete Hegseth also addressed the intelligence leak, saying the assessment was made with &ldquo;low confidence&rdquo; due to limited immediate access to underground structures and secure sites. &ldquo;It is difficult to fully assess damage to subterranean facilities without direct on-site verification,&rdquo; he added.
Meanwhile, the International Atomic Energy Agency (IAEA) warned of a potential shift in Iran&rsquo;s approach. Director-General Rafael Grossi noted that Iran might consider relocating its highly enriched uranium to undisclosed locations, further complicating monitoring efforts. &ldquo;We cannot confirm the extent of the destruction yet, but strategic changes in storage and enrichment practices are likely,&rdquo; said Grossi.
Satellite imagery released days after the strike showed multiple craters surrounding the entrances of the Fordow and Isfahan facilities. While these visuals confirm surface-level damage, experts remain uncertain whether the deeply buried enrichment chambers were critically hit. Some analysts suggest that if Iran had anticipated the strikes, it could have moved critical components beforehand.
Adding further complexity, Iran&rsquo;s Foreign Ministry spokesperson Esmail Baghaei told Al Jazeera, &ldquo;Our facilities have suffered major losses, but the full assessment is ongoing.&rdquo; His guarded statement indicates that Tehran is still evaluating the long-term implications of the attack, possibly to strategize its response on diplomatic and security fronts.
Interestingly, this escalation has occurred just as Iran and Israel reached a temporary ceasefire after 12 days of deadly conflict. President Trump has taken credit for facilitating the ceasefire and announced that direct U.S.-Iran talks may take place soon, potentially focusing on nuclear disarmament commitments. However, Iran has not officially confirmed participation in any such dialogue.
U.S. Middle East envoy Steve Witkoff stated in an interview with NBC News that &ldquo;both direct and indirect lines of communication remain open,&rdquo; hinting at a complex but ongoing backchannel diplomacy.
In the broader context, the strikes represent a critical moment in U.S. strategy toward Iran. While the Trump administration aims to project strength and deter further nuclear development, critics argue that such unilateral actions could embolden hardliners within Iran, weaken moderates, and derail fragile diplomatic progress.
At NATO&rsquo;s high-level summit in The Hague, President Trump described the strike as &ldquo;decisive and destructive,&rdquo; while reiterating that the U.S. would defend global non-proliferation efforts with full force if necessary.
Despite these assertions, Pentagon analysts remain divided over the long-term impact. A leaked intelligence summary released earlier in the week concluded that the strikes may have delayed Iran&rsquo;s nuclear program by &ldquo;only a few months,&rdquo; contradicting the more optimistic view shared by the administration.
With Iran&rsquo;s nuclear ambitions, geopolitical tensions, and potential negotiations all at a critical crossroads, the coming weeks will be crucial in determining whether this confrontation leads to a larger conflict or a return to the diplomatic table. For now, the world watches with cautious anticipation, aware that the balance between war and peace may rest on a razor&rsquo;s edge.

ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতায় বড় ধাক্কা: হামলার পরিণতি ‘মারাত্মক’—সিআইএ

Major Blow to Iran’s Nuclear Capability: Israeli Attacks Caused Severe Damage, Says CIA Director

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিণতি ও এর প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতে দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধ শুধু ইউরোপ নয়, গোটা বিশ্বের রাজনৈতিক ও কৌশলগত মানচিত্র আমূল বদলে দিয়েছে। ২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার ইউক্রেন আগ্রাসনের মধ্য দিয়ে যে যুদ্ধের সূত্রপাত, তা এখন আর কোনো একক দেশ বা অঞ্চলের সীমাবদ্ধ বাস্তবতা নয়; বরং এটি হয়ে উঠেছে এক নতুন ঠান্ডা যুদ্ধের প্রতিচ্ছবি, যেখানে পশ্চিমা শক্তি, রাশিয়া, চীন ও অনেক ছোট দেশও একেকটি মোচড় নেওয়া ঘুঁটির মতো ব্যবহৃত হচ্ছে।
প্রথমত, ইউক্রেন যুদ্ধ বিশ্ব রাজনীতিতে একটি ধাক্কা দিয়েছিল, যেটি ইউরোপের নিরাপত্তা চুক্তিগুলোর কার্যকারিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। ন্যাটো, যা এক সময় ছিল কেবল পশ্চিম ইউরোপের প্রতিরক্ষা জোট, আজ তা আবারও সক্রিয় হয়ে উঠেছে। ফিনল্যান্ড ও সুইডেনের মত নিরপেক্ষ রাষ্ট্রগুলো ন্যাটোতে যোগদান করে, যা এক ঐতিহাসিক ধারা পরিবর্তনের দিকচিহ্ন।
রাশিয়ার ওপর একের পর এক পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা, বিশেষ করে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত খাতে, বিশ্ব অর্থনীতিতে নতুন ধরনের ছন্দ এনেছে। মুদ্রাস্ফীতি, জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি, খাদ্য নিরাপত্তার হুমকি&mdash;এগুলো সরাসরি যুদ্ধের প্রতিক্রিয়া। ইউক্রেন বিশ্ব খাদ্য সরবরাহের অন্যতম বড় উৎস। রাশিয়াও বিশ্বের অন্যতম তেল ও গ্যাস রপ্তানিকারক। যুদ্ধ সেই শৃঙ্খল ভেঙে দিয়েছে।
চীন এই যুদ্ধকে সরাসরি সমর্থন না করলেও, পশ্চিমা আধিপত্যের বিরুদ্ধে রাশিয়ার অবস্থানকে আড়ালে সমর্থন করে যাচ্ছে। &lsquo;চীন-রাশিয়া সীমাহীন বন্ধুত্ব&rsquo; নামের যে সম্পর্ক ২০২২ সালে ঘোষিত হয়েছিল, তা এখন প্রযুক্তি, সামরিক সরঞ্জাম ও জ্বালানিতে দ্বিপাক্ষিক লেনদেনে প্রমাণিত। এ সম্পর্ক যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন পশ্চিমা ব্লকের জন্য বড় কৌশলগত চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
মধ্যপ্রাচ্য, আফ্রিকা, ল্যাটিন আমেরিকার অনেক রাষ্ট্র রাশিয়া ও চীনের সাথে ঘনিষ্ঠতা বাড়াচ্ছে&mdash;পশ্চিমা প্রভাব হ্রাস পাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের ভূ-রাজনৈতিক নীতিতে তাই এখন "মিত্র সুরক্ষা" এবং "প্রভাব রক্ষা" গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এদিকে, যুদ্ধটি &ldquo;প্রক্সি ওয়ার&rdquo;-এর চরিত্র পেয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলো ইউক্রেনকে যে পরিমাণ অর্থ, অস্ত্র এবং গোয়েন্দা সহায়তা দিচ্ছে, তা এটিকে কার্যত ন্যাটো বনাম রাশিয়ার যুদ্ধ হিসেবে দাঁড় করিয়েছে। তবে যুদ্ধক্ষেত্রে কূটনৈতিক অচলাবস্থা ও সময়ক্ষেপণ শুধু রুশ অর্থনীতি নয়, ইউরোপের অর্থনীতিতেও নেতিবাচক প্রভাব ফেলছে।
বিশ্লেষকেরা মনে করছেন, এই যুদ্ধ শুধু ইউক্রেনের ভূখণ্ড নিয়ে নয়, বরং এটি &ldquo;নতুন বিশ্বব্যবস্থার&rdquo; রূপরেখা নির্ধারণের একটি সংঘর্ষ। চীন, রাশিয়া, ইরানসহ কিছু দেশ পশ্চিমা মূল্যবোধ ও আধিপত্যভিত্তিক ব্যবস্থার বিকল্প গড়তে চায়, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের একক নেতৃত্ব প্রশ্নবিদ্ধ হবে।
বাংলাদেশের মতো ছোট ও মাঝারি রাষ্ট্রগুলোও এই বৈশ্বিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার প্রভাবে নানাভাবে চাপে রয়েছে। একদিকে মার্কিন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি, অন্যদিকে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ&mdash;এই দুই বলয়ের মাঝে নিজেদের অবস্থান নিরপেক্ষ রাখতে গিয়েও নানা সমস্যায় পড়ছে।
এই যুদ্ধের এক করুণ মানবিক দিক হলো&mdash;বিশাল শরণার্থী সঙ্কট, যার ফলে ইউরোপে অভিবাসন নীতিতে রক্ষণশীলতা বেড়েছে এবং ডানপন্থী শক্তি আরও জনপ্রিয় হয়ে উঠছে।
শেষ পর্যন্ত, এই যুদ্ধ কবে শেষ হবে, তার চেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে&mdash;এই যুদ্ধ কীভাবে বিশ্ব ব্যবস্থাকে পুনর্গঠিত করবে। স্নায়ুযুদ্ধ&ndash;পরবর্তী বিশ্ব যদি মার্কিন নেতৃত্বে গড়ে ওঠা হয়, তাহলে এই যুদ্ধ-পরবর্তী বিশ্ব হতে পারে আরও বহুধাবিভক্ত, মেরুকৃত, এবং নতুন পরাশক্তি-ভিত্তিক স্নায়ুযুদ্ধের দিকে ধাবমান।

<h3 data-start="3426" data-end="3743">Consequences of the Ukraine-Russia War and Its Impact on Global Politics</h3>
 The ongoing Ukraine-Russia war, now in its third year, has dramatically altered the global geopolitical landscape. What began on February 24, 2022, as a unilateral Russian invasion has since evolved into a defining conflict of the 21st century&mdash;one that symbolizes a new era of Cold War-style polarization and rivalry.
At the core of this war lies the challenge to the post-Cold War security architecture. NATO, once seen as a dormant military alliance, has reawakened. With Finland and Sweden breaking from decades of neutrality to join NATO, a tectonic shift has occurred in European defense policy.
Economic sanctions imposed on Russia by the US and EU have triggered significant global aftershocks. Disruptions in energy supplies, inflationary pressures, and food insecurity&mdash;particularly affecting developing nations&mdash;are all fallout from the conflict. Ukraine was a major grain exporter; Russia, a global energy giant. The war upended these dynamics.
China, while not overtly endorsing the war, has positioned itself strategically by deepening ties with Russia&mdash;be it in trade, energy, or military cooperation. Their &ldquo;no-limits friendship&rdquo; underscores a shared interest in challenging Western hegemony. For Washington and Brussels, this evolving axis presents a formidable strategic dilemma.
Furthermore, many states in the Global South&mdash;Africa, Latin America, and the Middle East&mdash;are recalibrating their diplomatic ties, showing increasing reluctance to side with the West unconditionally. This geopolitical recalibration is a clear indication of waning Western influence.
The war has increasingly taken the shape of a proxy conflict, with the West funneling billions of dollars in military aid, intelligence, and logistics to Ukraine. While this has helped Ukraine resist, it has also prolonged the war and created a quagmire with no clear resolution in sight.
Geopolitical analysts argue that the conflict is not merely about territorial sovereignty; it&rsquo;s a contest over the very nature of the global order. Powers like China, Russia, and Iran are striving to reshape international norms and reduce U.S. dominance in global affairs.
Countries like Bangladesh, caught between strategic blocs like the U.S.-led Indo-Pacific Strategy and China&rsquo;s Belt and Road Initiative, face increasing diplomatic pressure to align. The war, while geographically distant, is testing the strategic autonomy of many nations.
The humanitarian consequences are staggering&mdash;millions displaced, cities reduced to rubble, and a refugee crisis that has reignited nationalist politics in Europe. Right-wing parties are surging, immigration policies are tightening, and liberal democracies are under strain.
Ultimately, the real question is not just when this war will end, but how it will reshape the post-war world order. Unlike the unipolar post-Cold War era, the future could be multipolar, fragmented, and marked by an enduring contest among competing power centers.

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিণতি ও এর প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতে

Consequences of the Ukraine-Russia War and Its Impact on Global Politics

<h3 data-start="115" data-end="170">পিএলওর যাত্রাপথ: সংগ্রাম, কূটনীতি ও বাস্তবতার আয়নায়ঃ</h3>
১৯৬৪ সালে মিসরের কায়রোতে আরব লিগের অধিবেশনে ফিলিস্তিনিদের জাতীয় স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রত্যাশা নিয়ে গঠিত হয় প্যালেস্টাইন লিবারেশন অর্গানাইজেশন (পিএলও)। একটি স্বাধীন ফিলিস্তিন রাষ্ট্র গঠনের লক্ষ্যে এই সংগঠন শুরুতে ছিল নতুন সম্ভাবনার প্রতিশ্রুতি। একীভূত আরব জাতীয়তাবাদের ছায়ায় গড়ে ওঠা এই সংগঠন সময়ের পরিক্রমায় পরিণত হয় রাজনৈতিক সংগ্রাম, সশস্ত্র প্রতিরোধ, আন্তর্জাতিক কূটনীতি ও বিতর্কের এক জটিল সমন্বয়ে।
দীর্ঘ সময় ধরে ফিলিস্তিন ভূখণ্ডকে ঘিরে মধ্যপ্রাচ্যে রাজনৈতিক মানচিত্রে তৈরি হয়েছে রক্তাক্ত ও জটিল অধ্যায়। ১৯৪৭ সালের জাতিসংঘের বিভাজন প্রস্তাব থেকে শুরু করে লাখ লাখ ফিলিস্তিনির দেশছাড়া, যুদ্ধ ও সংঘাত&mdash;সব কিছুর কেন্দ্রে রয়েছে একটি মৌলিক আকাঙ্ক্ষা: নিজের ভূমিতে স্বাধীনভাবে বেঁচে থাকার অধিকার। এই আকাঙ্ক্ষা থেকেই জন্ম পায় পিএলও।
অনেকে মনে করেন, পিএলও তাদের মূল লক্ষ্য থেকে অনেকটাই সরে এসেছে। সময়ের ব্যবধানে সংগঠনটি আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক আপস ও সমঝোতায় এমন কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যা সাধারণ ফিলিস্তিনিদের আকাঙ্ক্ষা থেকে দূরে অবস্থান করে। ফলে বাস্তবতায় পিএলও আজ অনেকটাই প্রতীকী ও জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন এক কাঠামোতে পরিণত হয়েছে।
<hr data-start="1190" data-end="1193">
<h3 data-start="1195" data-end="1238">পিএলওর সূচনা: প্রেক্ষাপট ও প্রাসঙ্গিকতা</h3>
১৯৪৭ সালে জাতিসংঘের প্রস্তাবে ফিলিস্তিনকে বিভক্ত করে পৃথক ইহুদি ও আরব রাষ্ট্র গঠনের পরিকল্পনা করা হয়। জেরুজালেমকে আন্তর্জাতিক নগরী হিসেবে পরিচালনার কথা বলা হয়। ইহুদি নেতারা প্রস্তাবটি গ্রহণ করলেও ফিলিস্তিনিরা তাতে সম্মত হননি। তাঁদের আশঙ্কা ছিল, এতে ইহুদিদের অধিক সুবিধা হবে এবং আরবদের অধিকার ক্ষুণ্ণ হবে।
১৯৪৮ সালে ইসরায়েল রাষ্ট্রের ঘোষণার পর প্রায় ৭ লাখ ৫০ হাজার ফিলিস্তিনি নিজের ভূমি থেকে উৎখাত হন। শুরু হয় আরব-ইসরায়েল যুদ্ধ। দীর্ঘ সময় ফিলিস্তিনিদের কোনো সংগঠিত নেতৃত্ব ছিল না। তারা ছিল রাজনৈতিকভাবে দুর্বল ও ছড়িয়ে&ndash;ছিটিয়ে থাকা এক জনগোষ্ঠী। বিভিন্ন দেশে ছোট ছোট প্রতিরোধ সংগঠন গড়ে উঠলেও সেগুলো কার্যকর কেন্দ্রীয় কাঠামোর অভাবে ছন্দহীন ছিল।
এই প্রেক্ষাপটেই ১৯৬৪ সালে আরব লিগের সহায়তায় গঠিত হয় পিএলও। এর ছায়াতলে একাধিক ফিলিস্তিনি রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন একত্রিত হয়। পরে জাতিসংঘে পর্যবেক্ষক মর্যাদা অর্জন করে সংগঠনটি। বর্তমানে পিএলওর নেতৃত্বে রয়েছে ফাতাহ রাজনৈতিক দল।
<hr data-start="2108" data-end="2111">
<h3 data-start="2113" data-end="2129">সাংগঠনিক গঠন</h3>
পিএলওর সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারক সংস্থা হলো প্যালেস্টাইন ন্যাশনাল কাউন্সিল (PNC), যাদের দায়িত্ব নীতিনির্ধারণ, নির্বাহী কমিটি নির্বাচন ও সদস্যপদ নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ। নির্বাহী কমিটি পিএলওর দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রতিনিধিত্ব করে এবং নীতিনির্ধারক সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করে।
PNC ও নির্বাহী কমিটির মধ্যে সেতুবন্ধনের কাজ করে মধ্যবর্তী পরিষদ (Central Council), যার সদস্য সংখ্যা ১২৪ জন। এছাড়া রয়েছে পিএলওর সামরিক শাখা&mdash;প্যালেস্টাইন লিবারেশন আর্মি (PLA)।
<hr data-start="2622" data-end="2625">
<h3 data-start="2627" data-end="2664">আরাফাতের উত্থান ও পিএলওর রূপান্তর</h3>
১৯৬৭ সালের আরব-ইসরায়েল যুদ্ধের পর ইয়াসির আরাফাতের নেতৃত্বাধীন ফাতাহ পিএলওর মূল নিয়ন্ত্রক শক্তি হিসেবে আবির্ভূত হয়। ১৯৬৯ সালে আরাফাত নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হন এবং মৃত্যুর আগ পর্যন্ত সে দায়িত্বে ছিলেন।
৭০-এর দশকে পিএলওর কার্যক্রম লেবাননে স্থানান্তরিত হয়। সশস্ত্র প্রতিরোধের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে সক্রিয় হয়ে উঠে সংগঠনটি। ১৯৭৪ সালে আরব লিগ পিএলওকে &lsquo;ফিলিস্তিনি জনগণের একমাত্র বৈধ প্রতিনিধি&rsquo; হিসেবে স্বীকৃতি দেয়। একই বছরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দেন ইয়াসির আরাফাত&mdash;এটাই ছিল প্রথম কোনো অরাষ্ট্রীয় নেতার জাতিসংঘ ভাষণ।
<hr data-start="3196" data-end="3199">
<h3 data-start="3201" data-end="3224">অসলো চুক্তি ও ফলাফল</h3>
১৯৯৩ সালে ইসরায়েল ও পিএলওর মধ্যে স্বাক্ষরিত হয় ঐতিহাসিক অসলো চুক্তি। এর ফলে গঠিত হয় ফিলিস্তিন কর্তৃপক্ষ (PA), যাকে পশ্চিম তীর ও গাজা উপত্যকার কিছু অংশে সীমিত স্বায়ত্তশাসন দেওয়া হয়। এই চুক্তি ইয়াসির আরাফাতকে দেশফেরার সুযোগ দেয় এবং অনেকেই এটিকে স্থায়ী শান্তির পথ হিসেবে দেখেছিলেন।
তবে চুক্তির বিরোধিতায় ফুঁসে ওঠে ফিলিস্তিনের ইসলামপন্থী সংগঠন হামাস। তারা মনে করে, এই চুক্তি জাতীয় স্বার্থের বদলে ব্যক্তিগত ও কূটনৈতিক স্বার্থকেই অগ্রাধিকার দিয়েছে।
<hr data-start="3683" data-end="3686">
<h3 data-start="3688" data-end="3721">হামাস-পিএলও দ্বন্দ্ব ও বিভাজন</h3>
২০০৬ সালের নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে হামাস পিএর নেতৃত্বে আসে। কিন্তু ফাতাহ ও হামাসের ক্ষমতা ভাগাভাগি বিফলে যায়। ২০০৭ সালে গাজা নিয়ন্ত্রণে নেয় হামাস। ফাতাহ পশ্চিম তীর শাসনে ফিরে এলেও দুই অংশের মধ্যে বিভাজন আরও গভীর হয়।
ফাতাহ ইসরায়েল রাষ্ট্রের অস্তিত্ব মেনে নেয় এবং শান্তি প্রক্রিয়ার পক্ষে। অন্যদিকে, হামাস পুরো ফিলিস্তিন ভূখণ্ড নিজেদের দাবি করে এবং ইসরায়েলকে রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকৃতি জানায়।
গাজার ওপর হামাসের নিয়ন্ত্রণ এবং দীর্ঘদিনের অবরোধ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। কয়েকবার ঐক্য সরকারের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা ব্যর্থ হয়।
<hr data-start="4267" data-end="4270">
<h3 data-start="4272" data-end="4307">বর্তমান সংকট ও ভবিষ্যতের প্রশ্ন</h3>
মাহমুদ আব্বাস ২০০৫ সালে ইয়াসির আরাফাতের মৃত্যুর পর পিএলও ও পিএর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন। ২০০৭ সালে পার্লামেন্ট বিলুপ্ত হওয়ার পর থেকে কোনো নির্বাচন হয়নি, এবং তিনিই একাধারে প্রেসিডেন্ট ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
নতুন নেতৃত্ব গঠনের প্রশ্নে চাপের মুখে গত এপ্রিল মাসে পিএলও ভাইস প্রেসিডেন্ট পদ সৃষ্টি করে এবং হুসেন আল-শেখকে সেই পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। কিন্তু সমালোচকেরা বলছেন, এটি নেতৃত্ব সংকট মেটাবে না, বরং অভ্যন্তরীণ বিরোধ আরও বাড়াতে পারে। নির্বাচনের মাধ্যমে নেতৃত্ব নির্ধারণই হতে পারে সংকট থেকে উত্তরণের একমাত্র পথ।

<h3 data-start="94" data-end="160">The Journey of the PLO: Between Promise, Politics, and Reality</h3>
In 1964, during a summit of the Arab League in Cairo, the Palestine Liberation Organization (PLO) was established with the hope of realizing the Palestinian national dream. At its inception, the PLO represented a promise&mdash;a vision of an independent Palestine founded on united Arab nationalism.
However, over time, that vision has been diluted. The PLO has evolved into a complex blend of political struggle, armed resistance, diplomatic engagement, and international controversy. While once seen as the embodiment of Palestinian aspirations, today the PLO is often regarded as a symbolic structure&mdash;disconnected from the people it once vowed to liberate.
<hr data-start="818" data-end="821">
<h3 data-start="823" data-end="848">Historical Background</h3>
The modern Palestinian tragedy traces back to the 1947 United Nations partition plan, which proposed dividing Palestine into separate Jewish and Arab states, with Jerusalem as an internationally governed city. Jewish leaders accepted the plan, but Palestinian Arabs rejected it, fearing disproportionate benefit for the Jews and systemic injustice toward Arabs left under Jewish rule.
In 1948, Israel was declared an independent state, prompting the displacement of over 750,000 Palestinians. This led to the first Arab-Israeli war, establishing a long-standing foundation of conflict and bloodshed. For years, the Palestinians lacked unified leadership and remained politically fragmented, scattered across various countries and often operating under the patronage of different Arab states.
It was in this context that the PLO was formed in 1964 under the auspices of the Arab League. The organization brought together multiple Palestinian political and resistance groups and was later granted observer status at the United Nations. The Fatah party eventually emerged as the PLO&rsquo;s dominant faction.
<hr data-start="1953" data-end="1956">
<h3 data-start="1958" data-end="1986">Organizational Structure</h3>
The PLO&rsquo;s highest decision-making body is the Palestine National Council (PNC), responsible for setting policies, electing the Executive Committee, and managing membership matters. The Executive Committee oversees daily operations and represents the PLO internationally, ensuring the implementation of policies approved by the PNC and the Central Council.
The Central Council, with 124 members, serves as a bridge between the PNC and the Executive Committee. The PLO also has a formal military wing&mdash;the Palestine Liberation Army (PLA).
<hr data-start="2542" data-end="2545">
<h3 data-start="2547" data-end="2598">Yasser Arafat and the Transformation of the PLO</h3>
After Israel's victory in the 1967 Six-Day War, Yasser Arafat&rsquo;s Fatah began to dominate the PLO. Arafat became the chairman of the Executive Committee in 1969 and led until his death in 2004.
In the 1970s, following expulsion from Jordan, the PLO shifted its base to Lebanon. Its operations expanded beyond military resistance to include guerrilla attacks and high-profile operations such as plane hijackings. In 1974, Arafat called for halting attacks outside Israeli borders as part of a broader plan to gain international legitimacy.
That same year, the Arab League recognized the PLO as the "sole legitimate representative of the Palestinian people." Arafat became the first non-state leader to address the UN General Assembly, marking a historic moment for the Palestinian cause.
<hr data-start="3388" data-end="3391">
<h3 data-start="3393" data-end="3430">The Oslo Accords and Their Impact</h3>
The 1993 Oslo Accords, signed between the PLO and Israel, led to the formation of the Palestinian Authority (PA), granting it limited administrative control over parts of the West Bank and Gaza Strip. This agreement allowed Arafat and other exiled leaders to return and was hailed by many as a first step toward lasting peace.
However, the deal was rejected by Hamas, an emerging Islamist faction, which accused the PLO of compromising national interests for personal and diplomatic gains. Hamas viewed Oslo as a betrayal of the broader Palestinian struggle.
<hr data-start="4001" data-end="4004">
<h3 data-start="4006" data-end="4032">The Fatah-Hamas Divide</h3>
In the 2006 Palestinian legislative elections, Hamas emerged victorious, leading to attempts at power-sharing with Fatah. These efforts failed, and in 2007, Hamas seized control of Gaza through armed conflict. In response, President Mahmoud Abbas dissolved the Hamas-led legislature and formed an emergency government, restoring Fatah&rsquo;s control over the West Bank.
Since then, the political and territorial divide between Fatah and Hamas has only deepened. While Fatah acknowledges Israel&rsquo;s right to exist and supports UN Resolution 242, Hamas refuses to recognize Israel and maintains its founding goal of establishing Palestinian control over all of historic Palestine.
Gaza remains under blockade by both Israel and Egypt, leading to humanitarian crises and increasing political isolation for Hamas, which many Western countries designate as a terrorist organization.
<hr data-start="4908" data-end="4911">
<h3 data-start="4913" data-end="4956">Present Realities and Leadership Crisis</h3>
The Palestinian Authority, though structured like a sovereign government with ministries and civil services, operates under the tight control of Israeli authorities. From tax collection to movement restrictions in the West Bank, Israel retains overwhelming influence. Military incursions into PA-administered areas are frequent, and Palestinians must navigate a labyrinth of permits and limitations.
Since the dissolution of the Palestinian parliament in 2007, Mahmoud Abbas has continued to govern without holding new elections. Now 89 years old, he remains both President of the PA and Chairman of the PLO. Critics argue that this prolonged absence of democratic legitimacy has weakened the PA and the broader Palestinian cause.
In April 2024, under mounting pressure to designate a successor, the PLO created a new Vice President position, appointing Abbas&rsquo;s close ally, Hussein al-Sheikh. The move was intended to reassure the international community, but many believe it may intensify internal rivalries.
Last year, Abbas issued a presidential decree stating that, in the event of an unexpected vacancy, the head of the Palestine National Council&mdash;Rawhi Fattouh&mdash;would serve as interim president until elections could be held.
However, legal expert Diana Buttu warned that this new post may deepen the leadership crisis rather than resolve it. According to her, the real solution lies not in creating new political positions, but in holding transparent elections that can rejuvenate the Palestinian political system and restore public trust.
<hr data-start="6512" data-end="6515">
<h3 data-start="6517" data-end="6531">Conclusion</h3>
The PLO was born out of the Palestinian people's dream of liberation. Over the decades, it has transformed&mdash;from a revolutionary movement to a diplomatic actor, from armed resistance to institutional compromise. Today, amid leadership stagnation, territorial division, and limited sovereignty, that dream remains unfulfilled.
If the Palestinian cause is to move forward, many believe it must return to its roots&mdash;reconnecting with its people through democratic renewal, unity, and a reaffirmed commitment to genuine self-determination.

পিএলওর যাত্রাপথ: সংগ্রাম, কূটনীতি ও বাস্তবতার আয়নায়

The Journey of the PLO: Between Promise, Politics, and Reality

<h3 data-start="169" data-end="238">ইউক্রেনের নতুন কৌশল: যুদ্ধের মোড় ঘোরাচ্ছে, না কি সময়ক্ষেপণ মাত্র?</h3>
রাশিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেনের সাম্প্রতিক ড্রোন হামলা আলোচনার ঝড় তুলেছে পশ্চিমা বিশ্বে। যুক্তরাষ্ট্রের এক প্রভাবশালী পত্রিকা এই আক্রমণকে &lsquo;রাশিয়ার পার্ল হারবার&rsquo; বলে আখ্যায়িত করেছে। এমন শিরোনামে আবেগের প্রাবল্য থাকলেও, এই যুদ্ধের প্রকৃত চিত্র আরও জটিল, বহুমাত্রিক এবং বহুস্তর বিশ্লেষণের দাবি রাখে।
যুদ্ধের বাস্তবতা হলো, রাশিয়া ধীরে ধীরে ইউক্রেনীয় বাহিনীর ওপর চাপ বাড়িয়ে চলেছে। যদিও ইউক্রেনের এসব আক্রমণ রাশিয়ার অভ্যন্তরে অনিশ্চয়তা এবং কিছু কৌশলগত পরিবর্তন সৃষ্টি করেছে, তবে তা যুদ্ধের সামগ্রিক ভারসাম্যে নাটকীয় পরিবর্তন আনতে পারেনি।
২০২৪ সালের আগস্টে কুরস্কে ইউক্রেনের অভিযান দিয়ে যেটি শুরু হয়েছিল, তা ছিল তাদের নতুন কৌশলের সূচনা। এ অভিযানে ইউক্রেন ব্যাপক মানবসম্পদ হারায়। একই সময়েই শুরু হয় রুশ ভূখণ্ডে ধারাবাহিক ড্রোন হামলা। ইউক্রেন বুঝেছিল, সরাসরি যুদ্ধক্ষেত্রে রাশিয়াকে প্রতিহত করা সহজ নয়, বরং রাশিয়ার অভ্যন্তরে দুর্বল জায়গাগুলোতে আঘাত হানাই হতে পারে বড় কৌশল। সেই কৌশলের অংশ হিসেবে বিমানঘাঁটি, রেলপথ, রেলসেতু, বিদ্যুৎকেন্দ্র এমনকি গুরুত্বপূর্ণ সেতু যেমন কের্চ ব্রিজেও হামলা চালানো হয়। এসব হামলা রাশিয়াকে যেমন চাপে ফেলেছে, তেমনি তাদের কৌশলে কিছুটা রক্ষণাত্মক মনোভাব দেখা দিয়েছে।
রাশিয়ার জবাব ছিল ধীর কিন্তু সুদূরপ্রসারী। তারা যুদ্ধের ধরন পাল্টে ছোট ছোট ইউনিটে ভাগ হয়ে যুদ্ধ শুরু করে, যাতে ইউক্রেনীয় ড্রোন বা কামানের হামলায় বড় ক্ষয়ক্ষতি না হয়। এটি যুদ্ধের গতি কিছুটা মন্থর করে দিলেও কার্যকরভাবে ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনে। রাশিয়া এরপর থেকে তাদের লক্ষ্য ঠিক রেখেছে&mdash;ইউক্রেনীয় বাহিনীর লজিস্টিক চেইন ধ্বংস করা এবং সম্ভাব্যভাবে তাদের ঘিরে ফেলে দীর্ঘমেয়াদে দুর্বল করে দেওয়া।
অন্যদিকে, ইউক্রেন পশ্চিমা প্রযুক্তি, গোয়েন্দা তথ্য এবং নিজস্ব ড্রোন ও সফটওয়্যার সক্ষমতা কাজে লাগিয়ে একটি অপ্রচলিত যুদ্ধ কৌশল নিয়েছে। তাদের আক্রমণ কেবল যুদ্ধক্ষেত্রেই সীমাবদ্ধ নয়; বরং রাশিয়ার অভ্যন্তরে গুপ্তহত্যা, সন্ত্রাসমূলক বিস্ফোরণ, তথ্য সংগ্রহ, সাইবার অপারেশন সবই এর অংশ। গুরুত্বপূর্ণ রাশিয়ান সামরিক অফিসারদের হত্যা, জ্বালানি অবকাঠামোতে আঘাত এবং সেনা সরবরাহের রাস্তায় বিঘ্ন ঘটানো ছিল এই কৌশলের লক্ষ্য। তবে এতসব কার্যক্রম চালাতে গিয়ে ইউক্রেন নিজেই ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে&mdash;যা পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমে তুলনামূলকভাবে কম আলোচিত হয়।
রাশিয়া তাদের প্রতিপক্ষের তুলনায় বেশি সামরিক সম্পদ ও মজুদ নিয়ন্ত্রণ করে। তাদের ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন এবং বিশেষভাবে গ্লাইড বোমার ক্ষমতা ইউক্রেনের অস্ত্রভাণ্ডারের তুলনায় অনেক বেশি ধ্বংসাত্মক। ইউক্রেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে কিছু গ্লাইড বোমা পেলেও, তা রাশিয়ার ব্যবহৃত বোমার কাছে তুলনামূলকভাবে দুর্বল। এছাড়া, ইউক্রেনের যুদ্ধবিমানসংখ্যাও ধীরে ধীরে কমে আসছে। যুদ্ধের বাস্তবতায় রাশিয়ার এই তুলনামূলক &lsquo;ধৈর্যশীল কিন্তু আক্রমণাত্মক&rsquo; কৌশল ইউক্রেনের জন্য দীর্ঘমেয়াদে বেশি চ্যালেঞ্জ তৈরি করছে।
আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক হলো, পশ্চিমা সহায়তার ভবিষ্যৎ। ইউরোপ ইউক্রেনকে অস্ত্র সরবরাহ অনেকাংশে কমিয়ে দিয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রও চীনকে সামলাতে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করছে। ফলে ইউক্রেনের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার উপকরণ সংকুচিত হচ্ছে। যুদ্ধক্ষেত্রে সফলতার জন্য কেবল কৌশল নয়, দীর্ঘমেয়াদি সরবরাহ চেইন, প্রশিক্ষিত সেনা এবং অস্ত্রের মজুদ প্রয়োজন&mdash;যা বর্তমানে ইউক্রেনের জন্য নিশ্চিত করা কঠিন হয়ে উঠেছে।
ইউক্রেনের সামনে রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জও রয়েছে। তাদের বর্তমান নেতৃত্ব রাশিয়াকে কোনো ভূখণ্ড ছেড়ে দিতে রাজি নয়। তবে তারা যদি স্থিতাবস্থাভিত্তিক একটি যুদ্ধবিরতিতে রাজি হয়, তাও রাশিয়া সহজে মেনে নেবে না। যুদ্ধ শেষ করতে রাজনৈতিক সমঝোতা প্রয়োজন, যা বর্তমানে দৃষ্টিগোচর নয়। অন্যদিকে, রাশিয়ার অভ্যন্তরীণ পরিস্থিতি ও নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গি সম্পর্কে বাইরের দুনিয়া তেমন পরিষ্কার কোনো ধারণা রাখে না। এই অস্পষ্টতা আরও জটিলতা তৈরি করছে।
সব মিলিয়ে, ইউক্রেনের নতুন কৌশল যে কৌশলগত নতুন মাত্রা সৃষ্টি করেছে, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই। তবে তা যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দেবে এমন ধারণা বাস্তবতা থেকে অনেক দূরে। ড্রোন হামলা, গোপন অপারেশন কিংবা সীমান্তে দখলদারি যুদ্ধ&mdash;সবই চলমান অবস্থার অংশ। কিন্তু এই যুদ্ধের নিয়ন্ত্রণ এখনও রাশিয়ার হাতেই রয়ে গেছে। যুদ্ধ যত দীর্ঘায়িত হচ্ছে, ততই ইউক্রেনের ওপর চাপ বাড়ছে&mdash;সামরিক, কূটনৈতিক এবং রাজনৈতিক&mdash;তিন দিক থেকেই।

<h3 data-start="141" data-end="208">Ukraine&rsquo;s New Strategy: Turning the Tide or Merely Buying Time?</h3>
Ukraine&rsquo;s recent drone strike on a key Russian airbase has stirred waves of discussion across Western media. A prominent U.S. newspaper even likened the attack to &ldquo;Russia&rsquo;s Pearl Harbor.&rdquo; While such headlines reflect a surge of emotional and symbolic interpretation, the ground reality of this war remains far more complex, multilayered, and uncertain.
In practice, the momentum of the war still leans in Russia&rsquo;s favor. Despite Ukraine&rsquo;s tactical innovations and symbolic strikes, Russia continues to steadily exert pressure on Ukrainian forces. The widely discussed "new strategy" of Ukraine began around August 2024, with a bold but costly operation in Kursk. That assault resulted in heavy Ukrainian casualties and marked the beginning of a shift in focus: from direct front-line engagement to a hybrid approach that includes cross-border drone attacks, infrastructure sabotage, and psychological warfare.
Ukraine&rsquo;s tactical evolution has seen it strike deep into Russian territory, targeting airbases, rail networks, bridges, and power stations&mdash;most notably the explosion on the Kerch Strait Bridge. These attacks aim to project the idea that Russian control over occupied territories is fragile and vulnerable. At the same time, Ukraine has reportedly engaged in covert assassinations and intelligence-based operations that further stretch Russian defenses.
In response, Russia has adapted. Their forces have shifted to smaller, more agile units to minimize casualties from drone strikes and artillery, even if it slows down their overall offensive momentum. Russia&rsquo;s strategic focus remains consistent: to wear down the Ukrainian military, disrupt supply chains, and, where possible, encircle and isolate frontline Ukrainian troops.
Ukraine, for its part, has leveraged Western intelligence, surveillance, and advanced technologies. Its growing domestic capabilities in drone manufacturing and software development have allowed it to conduct unconventional military operations with increasing precision. Yet, these advantages come with limitations. Ukrainian forces remain overstretched across a wide and volatile frontline. While their drone strikes create disruption, they have not significantly halted the broader Russian offensive.
On the technological front, Ukraine still lags behind in firepower. Russian glide bombs, capable of carrying up to 3 tons of explosives and reaching targets from nearly 60 kilometers away, far outweigh Ukraine&rsquo;s U.S.-supplied glide bombs, which max out around 250 pounds. Moreover, Ukraine&rsquo;s fleet of combat aircraft continues to shrink&mdash;an issue that limits its ability to deliver even the weapons it possesses.
Another mounting concern for Ukraine is the reliability of continued Western support. European countries have already started scaling back arms shipments, citing concerns over their own defense capabilities. The U.S., meanwhile, is increasingly focused on countering Chinese influence in the Indo-Pacific region, raising questions about whether its military assistance to Ukraine can remain at previous levels. Should U.S. support diminish, Ukraine&rsquo;s ability to sustain its war effort could quickly weaken.
There are political complications as well. Ukraine&rsquo;s current leadership is unwilling to concede any territory to Russia. While they may be open to a status-quo-based ceasefire, Russia has shown little inclination to accept such terms. Without political compromise on both sides, a negotiated settlement remains unlikely. At the same time, very little is known about Russia&rsquo;s internal deliberations, particularly within the Kremlin, its security agencies, or military leadership&mdash;leaving analysts uncertain about future strategic shifts.
In sum, Ukraine&rsquo;s new strategy&mdash;bold, disruptive, and technologically sophisticated&mdash;has indeed altered the tactical landscape. However, it has not decisively changed the strategic trajectory of the war. While Ukrainian attacks within Russian territory create moments of uncertainty and force limited adaptation, the core dynamics remain largely unchanged. Russia continues to hold the initiative, both militarily and logistically.
As the war drags on, the pressure on Ukraine is mounting&mdash;from the battlefield, from shifting Western priorities, and from within its own political sphere. Ukraine&rsquo;s new strategy may have gained attention and bought some time, but as of now, it has yet to truly turn the tide.

ইউক্রেনের নতুন কৌশলে রাশিয়া কতটা কোণঠাসা?

How Cornered Is Russia by Ukraine’s New Strategy?

ইরানে হামলা নিয়ে ট্রাম্পের নীতিগত অনুমোদন, অপেক্ষা কূটনৈতিক সমাধানেরঃ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে সম্ভাব্য সামরিক হামলার পরিকল্পনায় নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছেন, তবে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নির্দেশনা জারি করেননি। যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায়।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ট্রাম্প তার ঘনিষ্ঠ উপদেষ্টাদের জানিয়েছেন যে, তেহরানের পারমাণবিক কর্মসূচি রুখতে তিনি সামরিক পদক্ষেপের অনুমতি দিয়েছেন। তবে ইরান শেষ মুহূর্তে সমঝোতার টেবিলে আসে কিনা, তা দেখার জন্য তিনি এখনো কিছু সময় নিচ্ছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য হামলার লক্ষ্যগুলোর একটি হতে পারে ফোর্দো ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্র। পাহাড়ের গভীরে অবস্থিত এই স্থাপনাটি ধ্বংসে প্রয়োজন সবচেয়ে শক্তিশালী বোমা&mdash;এমন মতামত বিশ্লেষকদের।
সম্প্রতি ট্রাম্পের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কি ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় হামলার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন? জবাবে তিনি বলেন, &ldquo;আমি করতেও পারি, নাও করতে পারি।&rdquo; একই সঙ্গে তিনি ইরানের নিঃশর্ত আত্মসমর্পণের আহ্বান জানিয়ে মন্তব্য করেন, &ldquo;আগামী সপ্তাহটি খুব গুরুত্বপূর্ণ হতে যাচ্ছে&mdash;এমনকি পুরো সপ্তাহও লাগতে পারে না।&rdquo;
অন্যদিকে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, তার দেশ আত্মসমর্পণ করবে না। তিনি হুঁশিয়ার করে বলেন, &ldquo;যুক্তরাষ্ট্র যদি সামরিক আগ্রাসনে যায়, তাহলে তার কঠিন মূল্য দিতে হবে।&rdquo;
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যে তাদের সামরিক উপস্থিতি জোরদার করেছে। পূর্ব ভূমধ্যসাগরে পাঠানো হয়েছে আরও একটি ডেস্ট্রয়ার, এবং আরব সাগরের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে দ্বিতীয় একটি এয়ারক্রাফ্ট ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ।
যদিও পেন্টাগনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই মোতায়েন প্রতিরক্ষামূলক, তবু সামরিক বিশ্লেষকদের মতে, এটি একটি আক্রমণাত্মক প্রস্তুতিরই অংশ, যা ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বিতভাবে বড় কোনো অভিযানের ইঙ্গিত দিতে পারে। একই সঙ্গে তেহরানের ওপর চাপ বাড়ানো এবং সমঝোতায় বাধ্য করাও হতে পারে এই কৌশলের উদ্দেশ্য।
প্রসঙ্গত, ইসরাইল ও ইরানের চলমান পাল্টাপাল্টি হামলায় ইরানে নিহতের সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪৫০ ছাড়িয়েছে। আর ইরানে চালানো ইসরায়েলি হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ২৪ জন।

ট্রাম্পের আলোচিত ইরান নীতি: হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: লক্ষ্য, প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য পরিণতিঃ
যেকোনো সামরিক অভিযানের একটি সুস্পষ্ট কৌশলগত লক্ষ্য থাকা জরুরি। ইসরায়েলের ক্ষেত্রেও এর ব্যতিক্রম নয়। যুক্তরাষ্ট্র ও কয়েকটি পশ্চিমা দেশের নীরব সমর্থনে ইসরায়েল যে ব্যাপক বিমান হামলা চালিয়েছে ইরানের ওপর, তার অন্যতম প্রধান উদ্দেশ্য ছিল তেহরানকে পারমাণবিক অস্ত্র অর্জন থেকে বিরত রাখা। যদিও এটি সরাসরি বলা হচ্ছে না, তবে বিশ্লেষকদের মতে এই অভিযানের আরও গভীর রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে&mdash;ইরানে শাসন পরিবর্তন।
ইসরায়েলের কৌশল হলো, এমন একটি সরকার ইরানে প্রতিষ্ঠিত হোক, যা সৌদি আরব বা সংযুক্ত আরব আমিরাতের মতো তেলআবিব-বান্ধব হবে। যে সরকার গাজা বা পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের ওপর ইসরায়েলের জাতিগত নিধনের নীতি নিয়ে কেবল আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দিলেই সন্তুষ্ট থাকবে।
এই যুদ্ধের আরেকটি উদ্দেশ্য&mdash;বিশ্বের দৃষ্টি গাজার পরিস্থিতি থেকে অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া। গাজায় মানবিক বিপর্যয় ও জাতিগত নির্মূল অভিযান নিয়ে ইউরোপের কিছু মিত্র দেশ ইতোমধ্যে অস্বস্তি প্রকাশ করেছে। এ অবস্থায় যুদ্ধের নাটক তৈরি করে ইসরায়েল আন্তর্জাতিক মনোযোগ ঘুরিয়ে নিতে চায়।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, গাজার গণহত্যার পেছনে প্রধান কারণ ২০২৩ সালের অক্টোবরে হামাসের হামলায় ইসরায়েলি জিম্মি হওয়া নয়। তা প্রমাণ হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দূত স্টিভ উইটকফের কার্যক্রমে। তিনি এমন সব সম্ভাব্য চুক্তি থেকে পিছিয়ে গেছেন, যেখানে বন্দি বিনিময়ের মাধ্যমে জিম্মি মুক্তির সুযোগ ছিল। অথচ ইসরায়েলি কারাগারে এখনো শত শত ফিলিস্তিনি বন্দি।
এদিকে, ইসরায়েলের বিমান হামলার লক্ষ্যবস্তু ছিল ইরানের শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তা ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলো। পাল্টা হামলায় ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রগুলো ইসরায়েলকে বড় ধরনের ক্ষতি করতে সক্ষম হয়েছে। এতে বেশ কয়েকজন উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা নিহত হয়েছেন। তবুও প্রশ্ন থেকেই যায়&mdash;এটি কি ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি থামাতে পারবে?
সাবেক ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী ও সেনাপ্রধান এহুদ বারাক সিএনএন-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, এই বিমান হামলা হয়তো ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি মাত্র কয়েক সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে পেরেছে। তার ভাষায়, &ldquo;ইরানের কাছে এমন পরিমাণ সমৃদ্ধ ইউরেনিয়াম মজুত আছে, যা দিয়ে গ্যারেজেই বোমা তৈরি করা সম্ভব।&rdquo;
বারাক আরও বলেন, ইরানের অনেক গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাই মাটির গভীরে পুরনো খনিতে গোপন অবস্থানে রাখা, যা বিমান হামলার নাগালের বাইরে। তাই কূটনৈতিক চুক্তি ও শান্তিপূর্ণ সমাধানের ওপরই জোর দিতে হবে। বিশেষ করে সৌদি আরবসহ গোটা অঞ্চলে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনার জন্য।
বারাক খোলাখুলি বলেছেন&mdash;যুক্তরাষ্ট্রের সরবরাহ ও সহযোগিতা ছাড়া ইসরায়েলের পক্ষে বড় পরিসরের যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া কঠিন। তিনি মনে করেন, ইরানে শাসন পরিবর্তন কেবল মার্কিন সেনা মোতায়েন ছাড়া সম্ভব নয়। কিন্তু মার্কিন জনগণ ও নেতৃত্বের মধ্যে সেই ইচ্ছা নেই। কোরিয়া, ভিয়েতনাম ও আফগান যুদ্ধের অভিজ্ঞতা তাদের অনেক কিছু শিখিয়েছে।
২০১৮ সালে ডোনাল্ড ট্রাম্প একতরফাভাবে ইরানের সঙ্গে করা ওবামার পারমাণবিক চুক্তি বাতিল করেন। এই চুক্তি থাকলে ইরানের কর্মসূচি নিয়ন্ত্রণে রাখা যেত এবং নিষেধাজ্ঞা কিছুটা শিথিল করা সম্ভব হতো। ফলে এখনকার যুদ্ধ ইরানের পরমাণু কর্মসূচি ঠেকানোর চেয়ে, দেশটিকে রাজনৈতিকভাবে নতজানু করতে চাওয়ার ইঙ্গিতই বেশি দেয়।
এই সংঘাতের শেষ কোথায়&mdash;তা এখনো অনিশ্চিত। ইসরায়েল শক্তিশালী প্রযুক্তি ও পশ্চিমা অস্ত্রভাণ্ডারের ওপর ভর করে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে, ইরান বিমান প্রতিরক্ষায় দুর্বল হলেও, তাদের কাছে রয়েছে প্রায় দুই হাজার ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র। প্রশ্ন হচ্ছে&mdash;এই মজুদ কতদিন চলবে?
সবচেয়ে বড় শঙ্কা হলো, যদি ইরান আরও কোণঠাসা হয়, তবে তারা সরাসরি যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি, সম্পদ বা মিত্রদের ওপর হামলা চালাতে পারে। তখন এটি আর কেবল মধ্যপ্রাচ্যের সংকট থাকবে না&mdash;এর অভিঘাত ছড়িয়ে পড়বে বিশ্বজুড়ে, অর্থনীতি, নিরাপত্তা ও ভূরাজনীতির ভারসাম্য কেঁপে উঠবে।

<h3 data-start="94" data-end="165">Iran-Israel War: Objectives, Context, and Possible Consequences</h3>
Every military operation must have a clear strategic objective. Israel is no exception. Backed silently by the United States and some Western powers, Israel launched massive airstrikes on Iran, with one of the primary goals being to halt Tehran's progress toward acquiring nuclear weapons. However, many analysts argue that the offensive had another, more profound political objective: regime change in Iran.
Israel envisions a government in Tehran that would be more aligned with its regional allies&mdash;nations like Saudi Arabia or the UAE&mdash;that are content maintaining friendly ties with Tel Aviv and limit their reactions to Israeli actions in Gaza or the West Bank to formal condemnations only.
Another goal of this war is to divert global attention away from the ongoing atrocities in Gaza. The humanitarian catastrophe and accusations of ethnic cleansing have already begun to unsettle some of Israel&rsquo;s European allies. Creating the spectacle of a regional war helps Israel shift the narrative.
Analysts argue that the real cause behind the mass killings in Gaza is not Hamas's October 2023 attack that led to Israeli hostages, as claimed. This becomes evident from the actions of U.S. envoy Steve Witkoff, who walked away from potential deals involving prisoner exchanges that could have secured the hostages&rsquo; release. Meanwhile, hundreds of Palestinians remain imprisoned in Israeli jails.
Israel&rsquo;s airstrikes targeted key Iranian military officials and nuclear installations. In response, Iran&rsquo;s ballistic missiles inflicted significant damage, killing several high-ranking officials. But the crucial question remains: will this actually halt Iran's nuclear ambitions?
In an interview with CNN, former Israeli Prime Minister and military chief Ehud Barak admitted that the airstrikes might have delayed Iran&rsquo;s nuclear program by only a few weeks. He noted, &ldquo;Iran has 400 kilograms of 60% enriched uranium. With the right equipment, they could build a bomb in a garage.&rdquo;
Barak also acknowledged that many of Iran&rsquo;s nuclear facilities are hidden deep underground in abandoned mines&mdash;well beyond the reach of airstrikes. He emphasized the need to leverage any short-term military success into a broader diplomatic effort, including restarting nuclear negotiations, halting the war in Gaza, and promoting regional stability involving countries like Saudi Arabia. He admitted this won&rsquo;t be easy, but stressed, &ldquo;It must be done.&rdquo;
He further stated that Israel cannot go much further without U.S. military and logistical support. In his words, &ldquo;Israel has done what it could. Now it's America's turn.&rdquo; Barak emphasized that regime change in Iran would not be possible without U.S. ground troops&mdash;a move he doubts any American leader or public would support, citing examples from Korea, Vietnam, and Afghanistan.
The roots of the crisis go back to 2018, when then-President Donald Trump unilaterally withdrew from the Iran nuclear deal brokered under Obama. That agreement had successfully limited Iran&rsquo;s nuclear program in exchange for lifting sanctions. Its collapse brought Iran closer than ever to nuclear capability. Hence, the current war seems less about nuclear deterrence and more about forcing Iran into political submission to the U.S.-Israel axis.
What remains to be seen is who will ultimately prevail in this conflict. With advanced Western-supplied weaponry, Israel may outlast Iran in a prolonged war. Iran lacks a strong air force and has limited air defense systems. But the critical question is: how long can Iran continue launching its estimated 2,000 ballistic missiles? And what happens when those run out?
The real danger lies in the possibility of escalation. If Iran becomes further cornered, it may retaliate by striking U.S. military bases, economic interests, or allied nations. Such a development would have global repercussions&mdash;not just in terms of human lives lost but in economic disruption and geopolitical instability.

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: লক্ষ্য, প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য পরিণতি

Iran-Israel War: Objectives, Context, and Possible Consequences

<h3 data-start="172" data-end="251">ভূ-রাজনীতির ফাঁদে বাংলাদেশ: মার্কিন নিষেধাজ্ঞা, গণতন্ত্র এবং কৌশলগত স্বার্থ</h3>
 যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বব্যাপী অনেক দেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বজায় রাখে&mdash;যাদের অনেকেরই দেশে গণতন্ত্র, মানবাধিকার বা স্বচ্ছ নির্বাচন বলতে তেমন কিছুই নেই। তা সত্ত্বেও, বাংলাদেশে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রশ্নে যুক্তরাষ্ট্রের এতটা কঠোর অবস্থান গ্রহণ একটি ব্যতিক্রম এবং এই অবস্থানের পেছনে রয়েছে ভিন্নমাত্রিক ভূ-রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশ।
এই কঠোরতার পেছনে মূলত দুটি কারণ রয়েছে। প্রথমত, যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের মধ্যকার গভীর বাণিজ্যিক সম্পর্ক, বিনিয়োগ, প্রবাসী আয়ের প্রবাহ এবং সর্বোপরি নিরাপত্তা সহযোগিতা&mdash;যা যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় স্বার্থের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। দ্বিতীয়ত, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলকে ঘিরে নতুন ভূ-রাজনৈতিক বাস্তবতা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র তার কৌশলগত আধিপত্য ধরে রাখতে চায় এবং বাংলাদেশের অবস্থান সেখানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
যুক্তরাষ্ট্র চায় বাংলাদেশে একটি জনগণের ম্যান্ডেটযুক্ত গণতান্ত্রিক সরকার গড়ে উঠুক, যাতে দেশটি চীনের ক্রমবর্ধমান অর্থনৈতিক ও সামরিক প্রভাব থেকে সরে আসে। এই চাপ প্রয়োগ আসলে বৃহত্তর ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ, যার লক্ষ্য হলো চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভের ছত্রছায়া থেকে দেশগুলোকে সরিয়ে আনা।
সম্প্রতি বাংলাদেশে যেসব নিষেধাজ্ঞা আরোপ হয়েছে, তা বিশ্লেষণ করলে স্পষ্ট হয়&mdash;দেশটি এখন যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যে ইন্দো-প্যাসিফিকে প্রভাব বিস্তারের প্রতিযোগিতায় পড়ে গেছে। এর সাথে যোগ হয়েছে ভারতের ঐতিহাসিক ও নিত্য সক্রিয় ভূমিকা। ফলে বাংলাদেশ কার্যত তিন দিক থেকে কৌশলগত চাপের মুখে পড়েছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র যখন ইন্দো-প্যাসিফিক স্ট্র্যাটেজি ঘোষণা করে, তখন এতে উল্লেখ করা হয় যে, বিশ্বের ২৫% ভূমি এবং ৬৫% সামুদ্রিক এলাকা এই অঞ্চলের অন্তর্ভুক্ত। বিশ্বের অর্ধেক জনসংখ্যা এখানেই বসবাস করে, যার ৫৮% তরুণ। বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির দুই-তৃতীয়াংশ, ৬০% জিডিপি এবং ৬০% ভোক্তা এই অঞ্চলেই অবস্থিত। এতে চীন, ভারত, জাপান, কোরিয়া, পাকিস্তানসহ একাধিক প্রভাবশালী দেশ রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র বিশ্বাস করে, এই অঞ্চলই এখন বৈশ্বিক রাজনীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রূপ নিচ্ছে।
এই প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশসহ ১৬টি দেশের ওপর নানা ধরনের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এর মধ্যে আটটি দেশের ক্ষেত্রে ভিসা নিষেধাজ্ঞা এবং বাকিদের ক্ষেত্রে ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ওপর বিভিন্ন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেই তালিকায় সবচেয়ে আলোচিত, কারণ এটি নির্বাচন ঘিরে ভিসা নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে ভোটের আগেই&mdash;যা অন্য দেশগুলোর ক্ষেত্রে নির্বাচন পরবর্তী সময়ে আরোপিত হয়েছিল।
 এই প্রসঙ্গে ওয়াশিংটনভিত্তিক উইলসন সেন্টারের সাউথ এশিয়া ইনস্টিটিউটের পরিচালক মাইকেল কুগেলম্যান বলেন, বাইডেন প্রশাসন গণতন্ত্র বিষয়ক তার এজেন্ডাকে সামনে রেখে বাংলাদেশকে একটি &lsquo;দৃষ্টান্তমূলক কেস&rsquo; হিসেবে বিবেচনা করছে। তার মতে, যুক্তরাষ্ট্র এখানে মূল্যবোধভিত্তিক পররাষ্ট্রনীতি প্রয়োগ করছে&mdash;যা বাংলাদেশে বিশেষভাবে দৃশ্যমান।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলারও স্পষ্টভাবে বলেন, যারা বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করবে, তাদের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। এই তালিকায় প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিচার বিভাগ, ক্ষমতাসীন ও বিরোধী রাজনৈতিক দল&mdash;সবাই থাকবেন। শুধু ব্যক্তি নয়, তার পরিবারের সদস্যরাও এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বেন। ফলে যাদের যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ, ব্যবসা বা বিনিয়োগ আছে, তারাও ঝুঁকির মুখে পড়তে পারেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও ভয়েস অব আমেরিকাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, &ldquo;আরও স্যাংশন দিতে পারে, এটা তাদের ইচ্ছা।&rdquo; যদিও এটি আত্মবিশ্বাসী বক্তব্য, তবুও নিষেধাজ্ঞার অর্থনৈতিক, কূটনৈতিক ও সামাজিক অভিঘাত অস্বীকার করার সুযোগ নেই।
 মার্কিন নিষেধাজ্ঞা শুধুমাত্র মানবাধিকার বা মতপ্রকাশের স্বাধীনতা রক্ষার প্রশ্ন নয়&mdash;বরং এর পেছনে রয়েছে কৌশলগত স্বার্থ। যেসব দেশ এই নিষেধাজ্ঞার শিকার হয়েছে, তাদের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাংলাদেশে যদি নির্বাচনের প্রশ্নে রাজনৈতিক সমঝোতা ও আলোচনার মাধ্যমে সংকট নিরসন সম্ভব হতো, তাহলে এমন কূটনৈতিক চাপ এড়ানো যেত।
এখানে উল্লেখযোগ্য, বাংলাদেশ ২০১৬ সালে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভে (BRI) যুক্ত হয়। ২০২১ সালে ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক অনুষ্ঠানে বলেন, বাংলাদেশ যেন যুক্তরাষ্ট্র-নেতৃত্বাধীন কোয়াড জোটে (Quad) যোগ না দেয়&mdash;এটি করলে চীন-বাংলাদেশ সম্পর্ক মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে।
যদিও বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে কোয়াডের সদস্য নয়, তবে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের ওপর কৌশলগত নজর রাখছে। ২০২৩ সালের মার্চে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদা এক বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের ভূ-অবস্থান এবং সম্ভাবনা এ অঞ্চলে জাপানসহ মিত্রদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এরপরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার জাপান, যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র সফরের পূর্বে বাংলাদেশ সরকার একটি &lsquo;ইন্দো-প্যাসিফিক আউটলুক&rsquo; প্রকাশ করে&mdash;যেখানে &lsquo;সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়&rsquo; নীতির ভিত্তিতে ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থানের কথা বলা হয়।
এইসব ঘটনাপ্রবাহের পটভূমিতে ২২ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্র আবারও জানিয়ে দেয়, বাংলাদেশের অবাধ নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় যারা বাধা দেবে, তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হবে। শুধু ব্যক্তি নয়, তাদের পরিবারও এ বিধিনিষেধের আওতায় পড়বে। যারা যুক্তরাষ্ট্রে সম্পদ কিংবা বিনিয়োগ করেছেন, তা হারানোর ঝুঁকিও থেকে যাবে।
সব মিলিয়ে বলা যায়, বাংলাদেশ এখন ভূ-রাজনীতির এক জটিল ফাঁদে আটকে পড়েছে। যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ভারতের পরস্পরবিরোধী কৌশলগত প্রতিযোগিতার মধ্যবিন্দুতে অবস্থান করছে ঢাকা। এই পরিস্থিতিতে বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে&mdash;সাবলীল কূটনৈতিক কৌশল গ্রহণ, অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক ঐক্য নিশ্চিত করা এবং পরাশক্তিদের চাপ মোকাবেলায় একটি ভারসাম্যপূর্ণ, স্বার্থ-সচেতন অবস্থান গ্রহণ করা।

<h3 data-start="200" data-end="291">Bangladesh in the Geopolitical Trap: U.S. Sanctions, Democracy, and Strategic Interests</h3>
 The United States maintains strong alliances with many countries around the world&mdash;some of which have little to no practice of democracy, free elections, or respect for human rights. Yet, despite these contradictions, Washington has adopted a particularly assertive stance on the issue of free and fair elections in Bangladesh. Why is that?
There are two primary explanations behind this intensified scrutiny. First, Bangladesh and the United States share extensive and multifaceted bilateral relations, including significant trade, foreign direct investment, remittance flows, and security cooperation&mdash;each of which intersects with American national interests. Second, and more importantly, the shifting geopolitical landscape in the Indo-Pacific has placed Bangladesh in a zone of increasing strategic contention.
The United States seeks to promote a democratic government in Bangladesh not only out of normative commitments to democratic values but also as a geopolitical necessity. Washington's broader Indo-Pacific Strategy hinges on maintaining influence in a region where China is expanding rapidly through economic and military means. In this context, Bangladesh has become a critical piece on the regional chessboard. U.S. pressure tactics, including sanctions and visa restrictions, are part of a calculated effort to pull Bangladesh out of Beijing&rsquo;s sphere of influence.
An analysis of recent U.S. sanctions suggests that Bangladesh has become entangled in a wider competition for dominance in the Indo-Pacific region, especially between the U.S. and China. Additionally, India, a long-time player in Bangladesh's internal political and regional matters, continues to exert significant influence over Dhaka&rsquo;s geopolitical orientation.
In 2021, the United States unveiled its Indo-Pacific Strategy, which emphasized the region&rsquo;s strategic centrality. The document highlighted that the Indo-Pacific constitutes 25% of the world's landmass and 65% of its oceans. Over half of the global population resides in the region, with 58% under the age of 30. Economically, it contributes two-thirds of global economic growth, 60% of global GDP, and 60% of global consumption. The region includes both rising powers and developed economies such as China, India, Japan, South Korea, and others. According to Washington, this region is becoming the epicenter of global political and economic dynamics.
To advance its strategic agenda, the U.S. has imposed various sanctions on at least 16 countries, including Bangladesh. These include visa restrictions in eight nations&mdash;Cambodia, Nigeria, Haiti, Afghanistan, Belarus, Uganda, Liberia, and Bangladesh&mdash;and broader sanctions on individuals and entities in countries such as North Korea, Myanmar, Iran, China, Russia, Sudan, DR Congo, and Nicaragua. In most of these countries, the sanctions did not lead to meaningful political change or democratic reforms. Notably, in Nigeria, the U.S. imposed visa bans six months before the election, but this did not prevent electoral malpractice.
In Bangladesh's case, the U.S. approach has been comparatively proactive. Sanctions on the Rapid Action Battalion (RAB) came before the 2024 national election cycle, and visa restrictions followed at least three months before voting. This early and targeted action indicates that Washington is keeping Bangladesh under close observation. According to Michael Kugelman, Director of the South Asia Institute at the Wilson Center in Washington, D.C., the Biden administration is using Bangladesh as a test case for its democracy promotion agenda. He noted to the BBC that the U.S. is prioritizing a values-based foreign policy in South Asia and is applying this doctrine more assertively in Bangladesh than in many other countries.
Further reinforcing this message, U.S. State Department Spokesperson Matthew Miller stated that the United States reserves the right to impose visa sanctions on any individual&mdash;regardless of political affiliation&mdash;who undermines Bangladesh&rsquo;s democratic process. This includes officials from law enforcement, the judiciary, the ruling party, the opposition, and administrative bodies. Importantly, these restrictions could also extend to the family members of those sanctioned.
Prime Minister Sheikh Hasina, in an interview with Voice of America, acknowledged this reality, stating, &ldquo;They may impose more sanctions&mdash;it&rsquo;s their choice.&rdquo; While this response may appear dismissive, the implications of such sanctions are far-reaching. They can negatively impact not only the sanctioned individuals but also the broader economy, investment climate, and diplomatic relations.
Sanctions, when imposed in the name of democracy, human rights, and freedom of expression, often serve as tools to reinforce the U.S.&rsquo;s broader geopolitical interests. Thus, they are rarely without strategic intent. For countries on the receiving end, these measures often lead to economic and reputational damage. Had Bangladesh&rsquo;s political actors found a way to resolve their internal electoral disputes through dialogue and consensus, it might have been possible to avoid such international consequences.
One of the underlying triggers for U.S. concern is Bangladesh's involvement in China's Belt and Road Initiative (BRI). In May 2021, Chinese Ambassador to Dhaka Li Jiming openly warned that Bangladesh&rsquo;s potential involvement with the U.S.-led Quad alliance (comprising the United States, Japan, India, and Australia) could seriously harm Sino-Bangladeshi relations. Although Bangladesh is not a member of the Quad, it remains clear that these powers are interested in drawing Dhaka closer to their strategic orbit.
Japanese Prime Minister Fumio Kishida, during a visit in March, hinted at Bangladesh&rsquo;s potential integration into the broader U.S. Indo-Pacific vision. In response, just before Prime Minister Sheikh Hasina's trip to Japan, the UK, and the U.S. in April, the Bangladesh government released its own Indo-Pacific Outlook, emphasizing a balanced foreign policy under the principle of &ldquo;friendship to all, malice toward none.&rdquo;
Despite such diplomatic balancing, the U.S. has continued to reiterate its stance. On September 22, the U.S. State Department confirmed that visa restrictions would be enforced against those obstructing Bangladesh&rsquo;s democratic election process. This includes members of law enforcement, administrative officials, the ruling party, opposition groups, and the judiciary. Those sanctioned&mdash;and their families&mdash;could also face restrictions on property and business activities within the U.S.
In summary, Bangladesh finds itself caught in a dangerous geopolitical crosscurrent. On one side stands the United States, pushing for democratic reforms while safeguarding its Indo-Pacific interests. On the other side lies China, whose economic and strategic presence continues to grow. And in between, India&rsquo;s enduring influence complicates the landscape further. In this fraught context, Bangladesh must navigate its foreign policy with extraordinary caution, lest it fall victim to the very geopolitical trap now tightening around it.

ভূ-রাজনীতির ফাঁদে বাংলাদেশ

Bangladesh in the Geopolitical Trap

তাইওয়ান প্রশ্নে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত: দক্ষিণ চীন সাগরের ভবিষ্যৎ
 তাইওয়ানকে কেন্দ্র করে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে দীর্ঘদিনের কৌশলগত উত্তেজনা বর্তমানে এক নতুন মাত্রায় পৌঁছেছে। একদিকে তাইওয়ানকে চীনের "অবিচ্ছেদ্য অংশ" বলে দাবি করে বেইজিং; অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্র তাইওয়ানের "স্বশাসনের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ" থাকায় দুই পরাশক্তির মধ্যে বিরোধ ক্রমশ তীব্রতর হচ্ছে। এই দ্বন্দ্ব শুধু তাইওয়ান দ্বীপকে ঘিরেই সীমাবদ্ধ নয়&mdash; বরং দক্ষিণ চীন সাগরের ভূরাজনৈতিক ভবিষ্যতকেও অনিশ্চয়তায় ফেলেছে।
চীনের পক্ষ থেকে &ldquo;এক চীন নীতি&rdquo; কঠোরভাবে অনুসরণ করা হলেও, যুক্তরাষ্ট্র এবং তার মিত্ররা &ldquo;স্ট্র্যাটেজিক অ্যাম্বিগুইটি&rdquo; বা কৌশলগত অনির্ধারকতা বজায় রেখে তাইওয়ানের প্রতি সামরিক ও কূটনৈতিক সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে। ২০২২ সালে সাবেক মার্কিন স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি তাইওয়ান সফর করার পর এই উত্তেজনা আরও বেড়ে যায়। এর জবাবে চীন তাইওয়ানকে ঘিরে ব্যাপক সামরিক মহড়া চালায়, যা কার্যত দ্বীপটিকে অবরুদ্ধ করে ফেলে।
দক্ষিণ চীন সাগর আজ বিশ্বের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সামুদ্রিক রুট, যার মাধ্যমে বছরে প্রায় ৫ ট্রিলিয়ন ডলারের বাণিজ্য হয়। এই অঞ্চলে চীনের কৃত্রিম দ্বীপ নির্মাণ, সেনা স্থাপন এবং মালিকানার দাবি নিয়ে প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়েছে। ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশগুলোও দক্ষিণ চীন সাগরের বিভিন্ন অংশ নিয়ে চীনের দাবির বিরোধিতা করছে। এর ফলে এই অঞ্চল হয়ে উঠেছে এশিয়ার ভূরাজনীতির টানাপোড়েনের কেন্দ্রবিন্দু।
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশলের অংশ হিসেবে তারা এই অঞ্চলে তাদের নৌ-উপস্থিতি বৃদ্ধি করেছে, &ldquo;ফ্রিডম অফ ন্যাভিগেশন&rdquo; মিশনের আওতায় নিয়মিত টহল পরিচালনা করছে। চীন এটিকে তাদের সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ হিসেবে দেখে। এই মেরুকরণ পরিস্থিতি দক্ষিণ চীন সাগরকে ভবিষ্যতে একটি সামরিক সংঘাতের সম্ভাব্য রণক্ষেত্রে পরিণত করতে পারে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, চীন চাইছে তাইওয়ানকে পুনঃএকত্রীত করে ২১ শতকের মধ্যেই &ldquo;চীনা জাতীয় পুনর্জাগরণ&rdquo; সম্পন্ন করতে। তবে যুক্তরাষ্ট্রের এই হস্তক্ষেপ চীনকে সামরিক সমাধানের পথ বেছে নিতে উৎসাহিত করছে বলেও মত রয়েছে। বর্তমানে তাইওয়ান প্রণালীতে সামরিক মহড়া, ড্রোন ব্যবহার, এবং হ্যাকিং আক্রমণসহ বহুমুখী কৌশল বাস্তবায়ন করছে চীন।
এই প্রেক্ষাপটে দক্ষিণ চীন সাগর শুধু একটি আঞ্চলিক ইস্যু নয়, বরং এটি হয়ে উঠেছে বিশ্ব রাজনীতির একটি গুরুত্বপূর্ণ ল্যাবরেটরি&mdash; যেখানে জোট রাজনীতি, সামুদ্রিক আইন, অর্থনৈতিক নিয়ন্ত্রণ এবং শক্তির প্রতিযোগিতা একত্রে মিলিত হয়েছে।
বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর জন্যও এই সংঘাত গুরুত্বপূর্ণ। একদিকে বাণিজ্যিক স্বার্থ, অন্যদিকে কৌশলগত ভারসাম্য বজায় রাখার বিষয়টি এখানে গভীরভাবে জড়িত। বাংলাদেশ বর্তমানে &ldquo;ফ্রেন্ডশিপ টু অল, এনিমিটি টু নান&rdquo; নীতিতে থাকলেও, ইন্দো-প্যাসিফিক ফ্রেমওয়ার্কে অবস্থান পরিষ্কার করতে হবে&mdash;বিশেষ করে জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন এবং দক্ষিণ চীন সাগর ব্যবহারভিত্তিক বাণিজ্য নিরাপত্তা নিয়ে।
অতএব, চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বন্দ্ব শুধুমাত্র দুই পরাশক্তির মধ্যে নয়, এটি সমগ্র এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের ভূরাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ও ভবিষ্যতের অভিমুখ নির্ধারণ করবে। আর তাই তাইওয়ান প্রশ্ন ও দক্ষিণ চীন সাগরের ভবিষ্যত শুধুই সামরিক বা কূটনৈতিক ইস্যু নয়&mdash; এটি বিশ্বের পরবর্তী ভূরাজনৈতিক তিক্ততার সূচনা হতে পারে।

The Taiwan Question and the US-China Conflict: The Future of the South China Sea
The long-standing strategic tension between China and the United States over Taiwan has reached a critical new phase. While Beijing insists Taiwan is an "inalienable part" of its territory, Washington maintains a policy of &ldquo;strategic ambiguity,&rdquo; supporting Taiwan's de facto autonomy. This conflict, however, extends far beyond the island&mdash;casting a long shadow over the geopolitical future of the South China Sea.
China remains firm on its &ldquo;One China Policy,&rdquo; but the U.S. and its allies have steadily reinforced their support for Taiwan, both diplomatically and militarily. Tensions escalated dramatically after former U.S. House Speaker Nancy Pelosi&rsquo;s 2022 visit to Taiwan, prompting China to conduct extensive military drills that virtually encircled the island.
The South China Sea is among the world&rsquo;s most critical maritime routes, with over $5 trillion in annual trade. China's artificial island-building, militarization, and expansive territorial claims have provoked strong resistance from regional actors like the Philippines, Vietnam, Malaysia, and Indonesia. Consequently, the region has become a fulcrum of geopolitical rivalry in Asia.
As part of its Indo-Pacific Strategy, the U.S. has increased its naval presence in the region under "Freedom of Navigation" operations. China perceives these actions as direct infringements upon its sovereignty. The polarization of this region could, analysts warn, turn the South China Sea into a future battleground of global military confrontation.
China aims to complete its "national rejuvenation" by reincorporating Taiwan by mid-21st century. However, U.S. interventions may push Beijing toward military options. Military drills in the Taiwan Strait, drone surveillance, cyberattacks, and psychological warfare are all tools Beijing is actively employing.
Thus, the South China Sea is no longer just a regional issue&mdash;it has become a crucible for global politics, merging alliance-building, maritime law, economic interests, and power competition into a volatile mix.
For South Asian nations like Bangladesh, the implications are significant. The country must tread carefully, balancing commercial interests with strategic neutrality. While Bangladesh follows a "Friendship to all, malice toward none" doctrine, clarity on its position in the Indo-Pacific is increasingly essential, particularly as it deepens ties with the U.S., Japan, and China.
In essence, the US-China conflict is not just a bilateral standoff but a broader test of geopolitical resilience across the Asia-Pacific. The Taiwan question and the future of the South China Sea may well mark the beginning of the next global fault line in international relations.

তাইওয়ান প্রশ্নে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত: দক্ষিণ চীন সাগরের ভবিষ্যৎ

The Taiwan Question and the US-China Conflict: The Future of the South China Sea

যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব
 বিংশ শতাব্দীর শেষ ভাগ থেকে শুরু করে একবিংশ শতাব্দীর প্রথম দশক পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্র ছিল নিরঙ্কুশ বৈশ্বিক পরাশক্তি। কিন্তু এই একাধিপত্য আজ প্রশ্নবিদ্ধ। বিশেষত ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের উত্থান একটি স্পষ্ট বার্তা দিচ্ছে&mdash; বিশ্ব রাজনীতি এখন বহুপাক্ষিক এবং প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠেছে। এই অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের মধ্যকার কৌশলগত দ্বন্দ্ব শুধু সামরিক কিংবা অর্থনৈতিক নয়, বরং ভূ-রাজনৈতিক ভবিষ্যতের ওপর প্রভাব ফেলছে।
ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে চীনের প্রভাব বৃদ্ধির পেছনে রয়েছে এর অর্থনৈতিক বিস্তার, বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (BRI), দক্ষিণ চীন সাগরের সামরিকীকরণ এবং আঞ্চলিক সংযোগ প্রকল্পগুলো। চীন এখন এশিয়ার অনেক দেশের প্রধান বাণিজ্য অংশীদার এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের মূল সহায়ক। অন্যদিকে, যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘদিন ধরেই এই অঞ্চলে সামরিক ঘাঁটি, কূটনৈতিক প্রভাব এবং নৌবাহিনীর মাধ্যমে তার প্রভাব বিস্তার করে আসছে।
২০২১ সালে যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিক কৌশল ঘোষণা করে যা কার্যত চীনের আগ্রাসন রোধে একটি প্রতিরোধমূলক কাঠামো। এতে QUAD (যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া), AUKUS (যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া) এবং নতুন অর্থনৈতিক দিকগুলি গঠনের কথা বলা হয়। এসব উদ্যোগে স্পষ্ট হয়ে উঠছে যে, যুক্তরাষ্ট্র ইন্দো-প্যাসিফিকে চীনের বিকল্প নেতৃত্ব গড়তে চায়।
দক্ষিণ চীন সাগর, তাইওয়ান প্রণালী, হিন্দ মহাসাগর এবং প্রশান্ত মহাসাগরের পূর্বাংশ এখন পরিণত হয়েছে উচ্চ উত্তেজনাপূর্ণ অঞ্চলগুলিতে, যেখানে দুই পক্ষের সামরিক মহড়া, যুদ্ধজাহাজের মুখোমুখি অবস্থান এবং কৌশলগত হুমকি ক্রমাগত বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্রের &ldquo;ফ্রিডম অফ ন্যাভিগেশন&rdquo; অভিযানকে চীন সার্বভৌমত্বে হস্তক্ষেপ হিসেবে চিহ্নিত করে। আর চীনের নৌঘাঁটি নির্মাণ ও দ্বীপ দখলের পদক্ষেপ যুক্তরাষ্ট্রের কাছে &lsquo;আঞ্চলিক আধিপত্যের প্রয়াস&rsquo; হিসেবে বিবেচিত।
বিশেষজ্ঞদের মতে, এই দ্বন্দ্ব শুধু সামরিক প্রতিযোগিতা নয়, বরং প্রযুক্তি (৫জি, চিপস), পরিকাঠামো (বন্দর, রেলপথ), এবং কূটনৈতিক কৌশল&mdash;সবকিছুতেই ছড়িয়ে পড়েছে। আফ্রিকা, লাতিন আমেরিকা এমনকি ইউরোপেও এই দুই পরাশক্তির প্রভাব বিস্তারের প্রচেষ্টা ইন্দো-প্যাসিফিক কেন্দ্রিক প্রতিযোগিতার ছায়া ফেলে।
বাংলাদেশের মতো উদীয়মান দেশগুলোর জন্য এই পরিস্থিতি একদিকে সুযোগ, অন্যদিকে চাপ। একদিকে চীনের বিনিয়োগ ও অবকাঠামো, অন্যদিকে যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত জোটের আহ্বান&mdash;এই দুইয়ের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ। দক্ষিণ এশিয়া ইন্দো-প্যাসিফিকের কৌশলগত কেন্দ্রস্থলে পরিণত হওয়ায় বাংলাদেশের অবস্থান ভবিষ্যৎ রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠছে।
এই প্রতিযোগিতায় কেউ সরাসরি যুদ্ধ চায় না, কিন্তু ভূ-রাজনৈতিক সংঘাতের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যায় না। অতএব, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের দ্বন্দ্ব আগামী দশকে বৈশ্বিক রাজনীতির সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ রূপরেখা নির্ধারণ করবে। এখানে কূটনৈতিক ভারসাম্য, অর্থনৈতিক প্রস্তুতি ও সামরিক কৌশল&mdash;সবই প্রয়োজন আগামী সংঘর্ষ এড়াতে।

US vs China: The Indo-Pacific Power Rivalry
From the late 20th century into the early 21st, the United States stood as the unchallenged global hegemon. But that era is quickly fading. In the Indo-Pacific region, China&rsquo;s rise has posed the most formidable challenge to American dominance, signaling a shift towards multipolar and competitive geopolitics. This rivalry goes beyond military or economic posturing&mdash;it is reshaping the very architecture of global power.
China&rsquo;s assertiveness in the region is underpinned by its economic expansion, the Belt and Road Initiative (BRI), military outposts in the South China Sea, and infrastructure diplomacy. China is now the primary trade partner for most Asian countries and a leading player in development financing. In contrast, the United States has historically maintained its influence through military bases, naval power, and strategic alliances.
In 2021, the Biden administration unveiled a renewed Indo-Pacific Strategy, aimed at containing China&rsquo;s rise. This included strengthening the QUAD (US, India, Japan, Australia), launching AUKUS (US, UK, Australia), and establishing new economic frameworks. These moves underline Washington&rsquo;s intent to build an alternative leadership model to counter China&rsquo;s regional vision.
Hotspots like the South China Sea, Taiwan Strait, the Indian Ocean, and the western Pacific have become tension zones. Frequent military exercises, warship stand-offs, and near-clashes have elevated the stakes. The U.S. &ldquo;freedom of navigation&rdquo; patrols are seen by Beijing as violations of sovereignty, while China&rsquo;s island-building is viewed in Washington as expansionist behavior.
Experts argue this competition transcends military boundaries. It now encompasses technological dominance (5G, semiconductors), infrastructure (ports, railways), and diplomatic maneuvering. Even in Africa, Latin America, and parts of Europe, this power rivalry plays out through investment, influence, and ideological alignment.
For emerging nations like Bangladesh, this rivalry presents both opportunities and dilemmas. On one hand, there is Chinese investment and connectivity; on the other, there&rsquo;s U.S.-led strategic frameworks inviting alignment. Balancing between these giants has become a defining challenge of 21st-century diplomacy.
Neither side desires open war, but the risk of escalation&mdash;whether over Taiwan, trade, or maritime disputes&mdash;is real. The Indo-Pacific rivalry between the US and China is likely to shape global politics for decades to come. It demands careful diplomacy, economic foresight, and strategic neutrality from regional actors to avoid being caught in the crossfire.

Menu

ভূ-রাজনীতি

সাম্প্রতিক ভূ-রাজনীতি শিরোনাম

আসামের ‘মিয়া’ মুসলিমদের নিপীড়ন ও জোরপূর্বক বিতাড়নের ছায়া: একটি মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট

যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা অভিযানের দিকে ঝুঁকেছে ইরান

"রাখাইনে মানবিক করিডোর বাস্তবায়ন নির্ভর করছে বাংলাদেশ-মিয়ানমারের সম্মতির ওপর: গোয়েন লুইস"

ইরানের পারমাণবিক সক্ষমতায় বড় ধাক্কা: হামলার পরিণতি ‘মারাত্মক’—সিআইএ

ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরিণতি ও এর প্রভাব বিশ্ব রাজনীতিতে

পিএলওর যাত্রাপথ: সংগ্রাম, কূটনীতি ও বাস্তবতার আয়নায়

ইউক্রেনের নতুন কৌশলে রাশিয়া কতটা কোণঠাসা?

ট্রাম্পের আলোচিত ইরান নীতি: হামলার সিদ্ধান্ত নিয়ে বিতর্ক

ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধ: লক্ষ্য, প্রেক্ষাপট ও সম্ভাব্য পরিণতি

ভূ-রাজনীতির ফাঁদে বাংলাদেশ

তাইওয়ান প্রশ্নে চীন-যুক্তরাষ্ট্র সংঘাত: দক্ষিণ চীন সাগরের ভবিষ্যৎ

যুক্তরাষ্ট্র বনাম চীন: ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে আধিপত্যের দ্বন্দ্ব

আসামের ‘মিয়া’ মুসলিমদের নিপীড়ন ও জোরপূর্বক বিতাড়নের ছায়া: একটি মানবিক ও রাজনৈতিক সংকট