"নির্বাচনের সিদ্ধান্তে স্বস্তি ফিরেছে, গার্মেন্ট ট্যারিফ ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা প্রয়োজন" — আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচনের বিষয়ে একটি সামগ্রিক সমঝোতার পথে দেশ এগোচ্ছে, যা রাজনৈতিক অঙ্গনে স্বস্তির পরিবেশ তৈরি করেছে। তিনি বলেন, “নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে যে অচলাবস্থা ছিল, তা এখন অনেকটাই কাটিয়ে উঠেছে। এটি দেশের গণতান্ত্রিক রূপান্তরের প্রক্রিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি। ফলে স্বাভাবিকভাবেই মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে।”
রোববার সকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চার্জ ডি’অ্যাফেয়ার্স (CDA) ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসনের সঙ্গে বৈঠকের পর সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
ব্রিফিংয়ে আমীর খসরু আরও জানান, যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে দুই দেশের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, বাণিজ্য এবং বিনিয়োগ সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। তিনি বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে সম্প্রতি বাংলাদেশের পণ্যের ওপর যে ট্যারিফ আরোপ করা হয়েছে, সেটি আমাদের রপ্তানি খাত—বিশেষ করে গার্মেন্টস শিল্পের জন্য মারাত্মক ক্ষতির কারণ হতে পারে।”
তিনি বলেন, “বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা স্পষ্টভাবে জানিয়েছি—এ সমস্যার সমাধানে সরকারের উচিত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে গঠনমূলক আলোচনায় বসা। কারণ, ট্যারিফ বৃদ্ধির কারণে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক শিল্প রপ্তানির প্রতিযোগিতায় পিছিয়ে পড়বে, যা সার্বিক অর্থনীতিতেই নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।”
এছাড়া দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণ এবং বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাব্য বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
নির্বাচন প্রসঙ্গে আমীর খসরু বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিনিধিদল নির্বাচন নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি জানতে চেয়েছে। আমরা তাদের জানিয়েছি—বিএনপি একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পক্ষে। ইতোমধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি, প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক পরিবেশ নিয়ে আমাদের পক্ষ থেকে বিস্তারিত ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।”
তিনি আরও উল্লেখ করেন, লন্ডনে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার সাম্প্রতিক বৈঠককে যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখেছে। “সেই আলোচনার প্রভাব দেশব্যাপী পড়েছে এবং নির্বাচনের পরিবেশ তৈরিতে বড় ধরনের ইতিবাচক ভূমিকা রেখেছে,” বলেন আমীর খসরু।