"রাত যত ঘনাবে, ততই ইসরায়েলিরা ভাবতে বাধ্য হবে— আমাদের গন্তব্য আসলে কোথায়?"

"রাত যত ঘনাবে, ততই ইসরায়েলিরা ভাবতে বাধ্য হবে— আমাদের গন্তব্য আসলে কোথায়?"

Image: The Associated Press

By Admin User

Reporting from Dhaka - June 16, 2025

ইরানের পাল্টা আকাশ হামলা: কতটা সুরক্ষিত ইসরায়েলিরা?

ইরানের পাল্টা আকাশপথে হামলা ইসরায়েলের জনগণের জন্য কতটা হুমকি হয়ে উঠছে? এই প্রশ্নের উত্তর জানতে চেয়েছিল আল–জাজিরা। উত্তর দিয়েছেন ইসরায়েলি প্রভাবশালী পত্রিকা হারেৎজ-এর বিশিষ্ট সাংবাদিক গিদেওন লেভি।

গিদেওন লেভি বলেন, বেশিরভাগ ইসরায়েলি নাগরিক আকাশপথের হামলা থেকে “খুব ভালোভাবে সুরক্ষিত”। তাঁর মতে, ইসরায়েলের অ্যালার্ম সিস্টেম অত্যন্ত কার্যকর। এখন লোকজন সাইরেন বাজার আগেই মোবাইল অ্যাপে সতর্কবার্তা পাচ্ছেন, যা তাঁদের নিরাপদ আশ্রয় নিতে সাহায্য করছে।

আধুনিক নিরাপত্তা অবকাঠামো:
ইসরায়েলের বড় শহরগুলো, বিশেষ করে তেল আবিবে, বহু আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। এমনকি নতুন প্রতিটি আবাসিক ভবনেই বাধ্যতামূলকভাবে নির্দিষ্ট সুরক্ষিত কক্ষ রাখা হয়। এই ব্যবস্থাগুলো ইসরায়েলিদের অনেকটা মানসিক স্বস্তিও দিচ্ছে।

তবে গিদেওন লেভি একটি গুরুত্বপূর্ণ অসাম্য তুলে ধরেন—এই সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো সব নাগরিকের জন্য সমান নয়
ফিলিস্তিনি নাগরিক বা বেদুইন সম্প্রদায়ের বাসিন্দারা সেই পর্যায়ের নিরাপত্তা পান না।

তিনি উদাহরণ হিসেবে তুলে ধরেন উত্তর ইসরায়েলের ফিলিস্তিনি প্রধান শহর তামরার কথা। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষের এই শহরে সম্প্রতি এক ইরানি ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় চারজন নিহত হয়েছেন। অথচ শহরটিতে কোনো আশ্রয়কেন্দ্র নেই। এর পাশেই অবস্থিত একটি মাত্র এক হাজার জনসংখ্যার ইহুদি গ্রামে রয়েছে একাধিক সুরক্ষাকেন্দ্র।

মানসিক চাপ ও ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন:
গিদেওন লেভি বলেন, “এই ধরনের রাত যত বাড়বে, ইসরায়েলিরা শুধু ক্লান্ত আর আতঙ্কিতই হবে না, বরং শেষমেশ আমরা নিজেরাই প্রশ্ন করতে শুরু করব—এর কি কোনো অর্থ আছে? আমরা কোথায় যাচ্ছি? এক যুদ্ধ থেকে আরেক যুদ্ধে? এক গোলাবর্ষণ থেকে আরেক গোলাবর্ষণে?”

তাঁর মতে, এবারের সংঘাত গাজা বা লেবাননের মতো সীমিত নয়, বরং পুরো অঞ্চল জুড়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে, যার সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী হবে বেসামরিক নাগরিকরা। ইসরায়েল হয়তো কয়েক দিন এই চাপ সামলাতে পারবে, তবে দীর্ঘমেয়াদে তা টেকসই নয় বলে তিনি সতর্ক করেন।

বিপরীতে চিত্র ইরানে:
অন্যদিকে, গত শুক্রবার ভোররাতে ইসরায়েল ইরানে সরাসরি হামলা শুরু করে। এখন পর্যন্ত ইরানে নিহত হয়েছেন অন্তত ২২৪ জন, যাঁদের মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছেন ঊর্ধ্বতন সেনা কর্মকর্তা। ইরানের পাল্টা হামলায় ইসরায়েলে নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে কমপক্ষে ২৪ জনে।

Related Topics:

Share: