সারা জীবনে প্রধানমন্ত্রী পদে সর্বোচ্চ ১০ বছর—বিএনপিসহ তিন দল একমত নয়
প্রধানমন্ত্রী পদে একজন ব্যক্তি যেন সারা জীবনে সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারেন—এ প্রস্তাবে বিএনপি, বাংলাদেশ লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (বিএলডিপি) এবং ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্ট (এনডিএম) ছাড়া বাকি সব রাজনৈতিক দল সম্মত হয়েছে।
রোববার রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপের এক ফাঁকে একাধিক রাজনৈতিক দলের নেতা সাংবাদিকদের কাছে এ তথ্য জানান।
জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ ও টার্ম নিয়ে যে জটিলতা রয়েছে, তা নিরসনে আমি প্রস্তাব করেছি—চলুন, ১০ বছর মেয়াদের বিষয়ে একমত হই। এতে বারবার টার্মের ব্যাখ্যায় যেতে হবে না।” তিনি জানান, বিএনপি, বিএলডিপি ও এনডিএম ছাড়া সব দল এ প্রস্তাবে একমত হয়েছে।
তাহের আরও বলেন, “একজন ব্যক্তি সারা জীবনে যতবারই প্রধানমন্ত্রী হন না কেন, সর্বোচ্চ ১০ বছর দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। আমাদের দেশে ৫ বছর একটি পূর্ণ মেয়াদ, ফলে স্বাভাবিকভাবে দুই মেয়াদ মিলিয়ে এটি ১০ বছর হয়। এর বেশি পূর্ণ মেয়াদ থাকলে তিনি আর প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না। এমন প্রথা অনেক উন্নত দেশেও রয়েছে। বাংলাদেশেও এটি জরুরি বলে আমরা মনে করি।”
সংলাপে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক এবং গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিও এই প্রস্তাবের প্রতি সমর্থন জানিয়েছেন।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের চলমান সংলাপের অংশ হিসেবে প্রধানমন্ত্রী পদের মেয়াদ সীমিতকরণ প্রশ্নে এই প্রস্তাবটি আলোচনায় আসে, যা নিয়ে বেশিরভাগ রাজনৈতিক দলের মধ্যে ঐকমত্য দেখা গেলেও বিএনপি ও দুটি দল আপত্তি জানিয়েছে।